স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগান কি ফাঁকা বুলি?

Daily Inqilab ড. মো. কামরুজ্জামান

৩০ জুন ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:১০ এএম

‘বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ উন্নত বিশে^র কাতারে শামিল হবে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার। আর ভিশন বাস্তবায়ন হলে মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১৬ হাজার মার্কিন ডলারে। বিশ^ব্যাংক প্রদত্ত দারিদ্র্যের সংজ্ঞা মোতাবেক, এক দশমিক ৯০ ডলারের কম আয়কারীকে দরিদ্র বলা হয়ে থাকে। সে হিসেবে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বর্তমানে সাড়ে তিন কোটি। ভিশন বাস্তবায়ন হলে দেশ থেকে এ দারিদ্র্য দূর হয়ে যাবে। বর্তমানে দেশের রপ্তানি আয় ৬৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। ভিশন বাস্তবায়ন হলে এটি ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৪ বছর। ভিশন বাস্তবায়ন হলে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরে। সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৭ শতাংশ। ভিশন বাস্তবায়ন হলে এটি শতভাগে উন্নীত হবে। দেশে বর্তমানে তিন কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পায় না। টাকার অভাবে তারা এ সেবা থেকে বঞ্চিত। ভিশন বাস্তবায়ন হলে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। এ ভিশনের আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো, ২০৪১ সাল অবধি ৯% প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা। জিডিপি অনুপাত ৪৬.৯ শতাংশে বৃদ্ধি করা। রাজস্ব কর জিডিপির ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। রপ্তানিতে বৈচিত্র বৃদ্ধি করা। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১% এরও নিচে নামিয়ে আনা ইত্যাদি। এসব পরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

স্মার্ট বাংলাদেশ হলো সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান। এটি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৫, ২০৩১ ও ২০৪১-এর সময়রেখার মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জ্ঞানভিত্তিক। স্মার্ট বাংলাদেশের রয়েছে চারটি স্তম্ভ। প্রথমটি হলো স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক বলতে শতভাগ শিক্ষিত নাগরিক বুঝানো হয়েছে। এসব শিক্ষিত নাগরিক নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি আয়ত্ত করবে। নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে সমাজ জীবনের মান বদলে দেবে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের সাথে তারা যুক্ত থাকবে। সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন পণ্যসেবা গ্রহণ করবে। তারা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নানা কর্মকা-ে জড়িত থাকবে। আর নিজ দেশের অর্থনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নির্ধারণে ভূমিকা পালন করবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তম্ভ হলো স¥ার্ট অর্থনীতি। এ নীতিতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে। এ নীতিতে কৃিষ, শিল্প ও সেবাখাতে রোবটিক্সের ব্যবহার হবে। কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে দেওয়া হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিযোগিতার বাজার সৃষ্টি হবে। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে। অপচয় ও খরচ হ্রাস পাবে। অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজার প্রসার লাভ করবে। প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত ও তথ্য নির্ভর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহজেই গ্রহণ করা যাবে। ফলে যাবতীয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হয়ে উঠবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের তৃতীয় স্তম্ভ হলো স্মার্ট সরকার। প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সরকার পরিচালনাব্যবস্থাকে দক্ষ, দৃঢ় ও সাশ্রয়ী করে তুলবে। রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিত হবে। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত হবে জ্ঞাননির্ভর। আইওটি, মেশিন লার্নিং, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদির সাথে সরকার যুক্ত থাকবে। এসব প্রযুক্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি সরকারের নীতি নির্ধারকরা বুদ্ধিমত্তার সাথে বিশ্লেষণ করবে। স্মার্ট নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথেও শেয়ার করবে। সম্মিলিত পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনার সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হবে। ফলে রাষ্ট্র স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও টেকসই রূপ লাভ করবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের চতুর্থ স্তম্ভ হলো ম্মার্ট সমাজব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা সহজতর হবে। স্মার্ট সমাজ হবে জ্ঞানভিত্তিক। জ্ঞানভিত্তিক সমাজে নাগরিকরা জ্ঞানচর্চা ও প্রয়োগের সুযোগ পাবে অনেক বেশি। সঠিক তথ্য ব্যবহারের কারণে ভুলের পরিমাণ কমে যাবে। মিথ্যা তথ্য প্রচারও সমাজ থেকে দূর হবে। ফলে বসবাসের জন্য সমাজটা উপযোগী ও টেকসই হবে।

উল্লেখিত আলোচনার মাধ্যমে জানা গেলো, স্মার্ট বাংলাদেশ মানেই হলো উন্নত বাংলাদেশ। আমাদেও দেশটি যখন স্মার্ট হয়ে যাবে তখন আমরা গর্বভরে দেশটিকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের সাথে তুলনা করতে পারবো। নিঃসন্দেহে এটা হবে আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানের ও গৌরবের। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের সামগ্রিক চরিত্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সম্পূর্ণ বিপরীতমেরুতে অবস্থান করছে। দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, সরকারব্যবস্থাপনা ও নাগরিকচরিত্র নানা পঙ্কিলতায় পরিপূর্ণ। দুরাচার, অনাচার আর স্বৈরাচারীতে ছেয়ে গেছে দেশ। দুর্নীতির রাহুগ্রাসে নিপতিত সোনার বাংলা। ক্ষমতাশালীদের অনৈতিক দাপটে নিস্পেষিত দেশের সাধারণ জনতা।

যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করে পুলিশবাহিনী। দেশের টেকসই উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে তারা। আর এ স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভর করে পুলিশবাহিনীর সততা, দক্ষতা ও নৈতিকতার উপর। কিন্তু সম্প্রতি সেই পুলিশবাহিনীর সাবেক প্রধান বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম হলো বৈরাগীটোল। এটি একটি নির্জন ও নিভৃত পল্লী। এখানে বেনজির গড়ে তুলেছেন অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন একটি রিসোর্ট। এটি সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে পরিচিত। এ রিসোর্টের ভিতরে রয়েছে হাতে গড়া অভিজাত্যের অপরূপ ছোঁয়া। রয়েছে ১৫টি পুকুর। পুকুরের চারপাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট, পানির ঝর্ণা আর অপরূপ মিষ্টি আলোর ঝলকানি। পুকুরগুলোর পাড় ঘেঁষে রয়েছে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স কটেজ। বিদেশি শিল্পীদের নিপুণ হাতে তৈরি কটেজের স্থাপত্য নকশা। কটেজের ভিতর থেকে পুকুর পর্যন্ত রয়েছে কাচে ঘেরা আবরণ। ফলে সেখানে মাটিতে পা ফেলার দরকার হয় না। এক হাজার চারশ বিঘা জমির উপর নির্মিত হয়েছে এ রিসোর্ট। রিসোর্টের বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাট করে বানানো হয়েছে কৃত্রিম পাহাড়। এখানে রয়েছে একটি সুইমিং পুল। সুইমিং পুলে শোভা পাচ্ছে সাগরের কৃত্রিম ঢেউ। পুকুরের পাড় জুড়ে রয়েছে হাজার হাজার বিদেশি নারিকেল গাছ। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেমসহ বিশালাকৃতির কনসার্ট হল। রিসোর্টে যাতায়াতের জন্য সরকারি খরচে তৈরি করা হয়েছে আট কিলোমিটার পাকা রাস্তা। নজিরবিহীন অভিজাত্যে ভরা এ রিসোর্টির মালিক পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। এটি তৈরি করতে অন্যের জমি দখল করা হয়েছে মর্মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অথচ, এই তিনিই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্সনীতির জন্য একাধিকবার পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছিলেন! এ রিসোর্টের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জা। বড়ো মেয়ে ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজির এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর পরিচালক তার ছোটো মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজির। বিলাসবহুল এ রিসোর্ট তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা!

এখানেই শেষ নয়, সাবেক এ পুলিশপ্রধান তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের নামে রয়েছে ছয়টি কোম্পানি। এছাড়া ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে তার রয়েছে অঢেল সম্পদ। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার! পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক দাম ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা। ওই একই এলাকায় তার আরো রয়েছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ১০ বিঘা জমি। তিনি পুলিশের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের ডিজি থাকাকালে ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন! যার মূল্য একশত বারো কোটি! জোর করে ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে এ জমিগুলো দখল করা হয়েছে মর্মে গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেছেন মোট ৩৪ বছর ৭ মাস। আর এ দীর্ঘ সময়ে বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় করেছেন ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা। এখন প্রশ্ন হলো, তিনি কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন?

বেনজিরের তেত্রিশটি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই হিসাব নম্বরগুলোতে শত শত কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে। একই দিনে তিনি গুলশান এলাকায় ৪টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ৪টি ফ্ল্যাটের মোট মূল্য ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আদালত তার এসব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এ নির্দেশের পর ইতোমধ্যে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন সে খবর পৃথিবীর কেউ বলতে পারেন না! এমন একজন স্মার্ট অফিসার হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলেন অথচ, সেটা বাংলাদেশের কোনো কর্তাব্যক্তি জানেন না! গোয়েন্দা বিভাগের কেউ তার ও তার পরিবারের কোনো সদস্যের খবর বলতে পারেন না! দেশে বিরোধী দলের সামান্য একজন চুনোপুঁটিও কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে না। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাকে খুঁজে বের করেই ছাড়ে। সেই গোয়েন্দা বিভাগ একটি বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তাকে খুঁজে পাবে না এটা একবারেই অবিশ^াস্য।

যেকোনো দেশের পুলিশবাহিনী সে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত থাকে। দুষ্টের দমনই তার প্রধানতম দায়িত্ব। সুনীতি, সুশাসন নিশ্চিত করাই হলো পুলিশের মৌলিক কাজ। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও চাঁদাবাজি এ বাহিনী কঠোর হস্তে দমন করবে। সুতরাং পুলিশবাহিনী একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের ১৮ কোটি জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তার জায়গা হলো এ বাহিনী। কিন্তু সে বাহিনীর প্রধান ব্যক্তি যদি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হন তাহলে সে দেশে কখনও শান্তি আসতে পারে না। বিশ্লেষকদের মতে, বেনজিরের মতো হাজারো বেনজির বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছে।

ইতোমধ্যে ছাগলকা-ে এনবিআরের মতিউরসহ আরো কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে, যারা প্রত্যেকেই দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সুশীলজনদের মতে, তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দুর্নীতিবাজ বানানো হয়েছে। এসব দুর্নীতিবাজের রয়েছে গডফাদার।

দুর্নীতিবাজদের চক্র এদেশে একদিনে গড়ে ওঠেনি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে একটু একটু করে তারা বড়ো হয়েছে। বর্তমানে মহিরুহ আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতির টাকা দেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে লাগাতার। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি ২০২০’ এর এক তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর টাকা পাচার হয় ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর সাত বছরে পাচার হয়েছে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা। দেশি টাকায় বিদেশে তৈরি হয়েছে বেগমপাড়া। এসবই ঘটেছে গত প্রায় দুই দশক ধরে। এই যখন অবস্থা তখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার শ্লোগান ফাঁকা বুলি ছাড়া অন্য কিছু নয়।

লেখক: অধ্যাপক, দা‘ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অ্যামাজনে রেকর্ড সংখ্যক দাবানল

অ্যামাজনে রেকর্ড সংখ্যক দাবানল

রাফা ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ ইসরাইলের

রাফা ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ ইসরাইলের

জীববিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক পেলেন জাবি অধ্যাপক

জীববিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক পেলেন জাবি অধ্যাপক

উখিয়ায় ভারী বর্ষণ, ভুমিধস আশংকা ও খাদ্য সংকটে-লোকালয়ে বুনো হাতির পাল

উখিয়ায় ভারী বর্ষণ, ভুমিধস আশংকা ও খাদ্য সংকটে-লোকালয়ে বুনো হাতির পাল

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ স্টিভ ব্যাননের চার মাসের জেল

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ স্টিভ ব্যাননের চার মাসের জেল

নলছিটির সন্তান রাগীব শাহরিয়ারের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

নলছিটির সন্তান রাগীব শাহরিয়ারের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : হাইকোর্ট

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : হাইকোর্ট

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালিত

মাগুরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালিত

রাজশাহীর চারঘাট থানা চত্ত্বরে রাসেল ভাইপার সাপ

রাজশাহীর চারঘাট থানা চত্ত্বরে রাসেল ভাইপার সাপ

রাজশাহীর চারঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত, আহত ১

রাজশাহীর চারঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত, আহত ১

বগুড়ায় আবারো ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

বগুড়ায় আবারো ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

মধ্য আকাশে শক্তিশালী ঝাঁকুনিতে স্প্যানিশ এয়ারলাইন্স, আহত ৩০ যাত্রী

মধ্য আকাশে শক্তিশালী ঝাঁকুনিতে স্প্যানিশ এয়ারলাইন্স, আহত ৩০ যাত্রী

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

চলতি মাসে বজ্রঝড়-লঘুচাপ-নিম্নচাপ-তাপপ্রবাহ-বন্যা- সবই হতে পারে

চলতি মাসে বজ্রঝড়-লঘুচাপ-নিম্নচাপ-তাপপ্রবাহ-বন্যা- সবই হতে পারে

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছে ৭০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছে ৭০০ পর্যটক

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

৭২ শতাংশ ব্রিটিশ সুনাককে আর চান না : জরিপ

৭২ শতাংশ ব্রিটিশ সুনাককে আর চান না : জরিপ