ঢালিউড ছেড়ে হলিউডে যাচ্ছেন জায়েদ খান!
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম

ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। ব্যক্তিজীবনে স্পষ্টবাদী এই অভিনেতা যতটা না আলোচিত হয়েছেন তার থেকে বেশি হয়েছেন সমালোচিত। ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন সিনেমা নেই বললেই চলে। তবুও নিজেকে চিত্রনায়ক পরিচয় দিতে যেন একটু বেশিই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন জায়েদ।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান তীব্র আন্দোলনের মুখে আগেই দেশ ছাড়েন অভিনেতা জায়েদ খান। বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। কিছুদিন আগে তাকে দেখা গেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত সিনেমা ‘৮৪০’-এ।
দেশে ফিরবেন কিনা, নতুন যুক্ত হবেন কিনা এমন নানা বিষয়ে নিয়ে এই অভিনেতার সাথে কথা হয় দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
প্রশ্ন কর্তা: অভিনেত্রী নিপুণকে বহিষ্কার করেছে শিল্পীসমিতি। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
জায়েদ খান: শিল্পীসমিতি যা করেছে, তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের তার সঙ্গে সম্পর্কই রাখা উচিত না। একটা ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের সম্মান তিনি কোথায় নিয়ে গেছেন! নায়িকারা হচ্ছে ভালোবাসার প্রতীক, তারা মানুষের সঙ্গে সাবলীল থাকবে, ভালোভাবে থাকবে। মৌসুমী আপাও তো নির্বাচন করেছিলেন, তার বেলায় তো এমনটা হয়নি! একটা মানুষ কত নোংরা হতে পারে যে, চলে যাওয়ার পরও শিল্পীসমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিবৃতি দিতে পারে। আমি তো একাধিকবার ছিলাম, এ রকম অন্যায় করিনি। জোর করে একটা মানুষ নির্বাচিত প্রতিনিধিকে বসতে দেয় না, কত বৈষম্য যে আমার সঙ্গে হয়েছে! তার এসব কাজে শিল্পী হিসেবে নিজেরই লজ্জা লাগে।
প্রশ্ন কর্তা: পরপর দুজন শিল্পী মারা গেলেন। তাদের শেষশ্রদ্ধা জানানোর আয়োজনে শিল্পীরা আপনার অভাব অনুভব করেছে। আপনি কী এমন করতেন, যে কারণে সবাই আপনার কথাই বলছিল?
জায়েদ খান: যতদিন শিল্পীসমিতি থাকবে, ততদিন তারা জায়েদ খানের অভাব অনুভব করবেন। আমি শুধু সাধারণ সম্পাদক ছিলাম না, শিল্পীদের সেবক ছিলাম। করোনার মধ্যে যতগুলো লাশ কাঁধে করে দাফন করতে নিয়েছি, সেইটা বিরল। সাংগঠনিক ক্ষমতা সবার থাকে না। অমানষিক পরিশ্রম করে শিল্পীসমিতিকে আমি যেভাবে কাঠামো দিয়েছি, সামনের দিনে কারো পক্ষে সেটা আর সম্ভব না। কেউ পারবে না।
প্রশ্ন কর্তা: দেশে ফিরছেন না কেন? আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?
জায়েদ খান: না না, আমি ভয় পাচ্ছি না। দেশে তো আর বাবা-মা নাই, ভাই-বোন নাই। আমি এই জায়গায় (নিউইয়র্কে) একটা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতেছি। যেহেতু দেশে অনেক দিন কাজ করলাম, দেশে কাজও কম, রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক শিল্পী কাজ পাচ্ছেন না, সবাই তো বিদেশে এসে কাজ করছেন। আমিও বিভিন্ন জায়গায় শো করছি। এখানে আমি বসে নেই। দেশে ফেরার ব্যাপারে আমার ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি তো কোনো অন্যায় করে আসিনি, কোনো অপরাধ করে আসিনি। শিল্পীরা কখনো অন্যায়-দুর্নীতি করতে পারে না। আপনি কোনো একটা দলকে পছন্দ করতে পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। শিল্পদের ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতে পারে। আপনারা দেখবেন, তাদের দ্বারা কোনো দুর্নীতি হচ্ছে কি না। আমি দেশের আইন অমান্য করেছি? আমি কারোও ক্ষতি করেছি? অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করেছি? আমি কষ্ট করে শৈল্পিক লাইন দিয়ে অর্থ উপার্জন করেছি, কোনো অন্যায় কাজ করিনি। অন্যায়ের কাছে মাথা নতো করিনি। যদি করতাম, তাহলে শিল্পীসমিতিই আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতো। আমি যখন সমিতিতে ছিলাম, দুপুরের খাবারও নিজের টাকায় খেয়েছি। চার বছরে কোনো দিন সমিতির টাকায় খাইনি।
প্রশ্ন কর্তা: আপনি বলছেন শিল্পীরা অন্যায় করে না। কিন্তু অনেক শিল্পীই তো ছাত্র-আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এবং কাজ করেছেন। তাদের কথা কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন?
জায়েদ খান: আমি তাদের কথা কখনও বলবো না। দলীয় মতাদর্শের হয়ে যে কেউ, যে কোনো কিছু করতে পারে। সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার নাই। আমি আমারটা বলতে পারবো, কারো কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি বলতে পারি না। এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নাই। রাজনৈতিক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন না প্লিজ। আমি তো রাজনৈতিক লোক না। রাজনৈতিক প্রশ্ন আসলে আমার জন্য না।
প্রশ্ন কর্তা: আপনাকে ‘৮৪০’-এ দেখা গেছে। পরিচিতরা আপনার অভিনয় দেখে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন?
জায়েদ খান: সবাই ভালো বলছেন। আমি আসলে ডিরেক্টরিয়াল ম্যাটেরিয়াল। আমাকে পরিচালকরা সুন্দর করে ব্যবহার করলে ভালো কাজ করতে পারি। তার প্রমাণ ‘৮৪০’। দেশে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এটা নিয়ে আর বলার কিছু নাই। এখন অনেক কাজ কম। আশা করি আঁধার কেটে যাবে। আমি একটা জিনিস বুঝে গেছি, যারা ভালো পরিচালক, তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। যারা তোমার কাছ থেকে অভিনয়টা বের করে নেবে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি যা করবো, সেটাই ওকে হয়ে যাবে – এ রকম পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা যাবে না। শিল্পীরা কাদা-মাটি, এদের ভেতর থেকে অভিনয়টা বের করে নিয়ে আসতে পারে, সেরকম পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন কর্তা: যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, হলিউডের কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন না?
জায়েদ খান: না ভাইয়া, মিথ্যা কথা বলে কোনো লাভ নাই। হলিউড গেছে পুড়ে। পুরো ক্যালিফোর্নিয়া, যেখানে হলিউডের শুটিং হয়, সেইখানে দাউদাউ আগুনের দাবানলে সমস্ত আর্টিস্টদের বাড়ি পুড়ে গেছে। তারা এখন খারাপ সময় পার করছে। এখন তাদের এইগুলো মাথায় নাই আর আমারও ট্রাই করার সুযোগ নাই। পরিবেশ-পরিস্থিতি নরমাল হলে আর আল্লাহ যদি হলিউড কপালে লেখে, হয়ে যেতে পারে কোনোদিন। মানুষের অসাধ্য কিছু নাই। আল্লাহর ইচ্ছে।
প্রশ্ন কর্তাঃ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সূত্রঃ জাগো নিউজ
বিভাগ : বিনোদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সম্প্রীতির দেশে আগুন লাগাতে চায় এরা কারা

অর্থনীতিতে আমরা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি : গভর্ণর

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

নির্বাচন নইলে আন্দোলন

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

কালুরঘাট সেতুসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন রেল সচিবের

মডেল মেঘনা কারাগারে

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান গণসংহতি আন্দোলনের

আসিয়ান অঞ্চলের বৃহত্তর স্বার্থে রোহঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান দরকার :আসিয়ান অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের অভিমত

মানুষের অধিকার আদায়ে যারা রাজপথে লড়াই করে, তাদের নিঃশেষ করা যায় না : নূরুল ইসলাম বুলবুল

কিডনির পাথর অপসারণ বিষয়ে ডা. রফিকের আধুনিক চিকিৎসার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন

মহেশপুরে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে মারল বিএসএফ

হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচাপায় নারী নিহত

সেই ‘ক্রিম আপা’ কারাগারে

জলবায়ু ধর্মঘট পালিত

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই : সেলিমা রহমান

সোমবার দেশে ফিরবেন বিএনপি মহাসচিব

ভারতের সাথে সকল চুক্তি পর্যালোচনা করার দাবি সাইফুল হকের

ফাঁদে আটকাচ্ছে না প্রশস্ত চাকার অটোরিকশা