নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু ও তার নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউপি সদস্যসহ প্রায় দুই হাজার এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেনেট বাবু অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় তার নেতাকর্মীর ওপর আ.লীগ ও আওয়ামী পন্থী বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বড়ভাই সাবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা পাটোয়ারীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে। তারা আমার ভাইকে খুঁেজ না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঠা নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসে। এ সময় আমি তাদের কথা শোনার জন্য সামনে যাই। সেখানে তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে এবং ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি আহত হলে তারা আমার দোকানে হামলা চালিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটসহ প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি করে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নাম করে বিভিন্ন ইউনিয়ন লোক নিয়ে এসে আমাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। আমি ও আমাার সদস্যদের নামে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ কোন প্রকার টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি এবং আমার সদস্যদেরকেও সবসময় নিষেধ করে আসছি। সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষকে দিয়েছি। আমার ইউনিয়নের সকল মানুষের পাশে সবসময়ই আমি দাড়িয়েছি। সাধারণ মানুষকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মামলা ঝামেলা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছি। আমার ওপর হামলা ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরসহ সকল যড়যন্ত্রে সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আয়ওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠ বিচারে দাবি জানাচ্ছি প্রশাসন ও আমার ইউনিয়নবাসীর কাছে।