ঢাকা   শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১

আবশ্যিক সেনা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিতর্ক জার্মানিতে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের আবহে এ বার বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ ফেরার সম্ভাবনা দেখা গেল জার্মানিতে। সেই সঙ্গে ফিরল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত স্মৃতি, অস্বস্তিও। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল করে এসেছেন, ‘বুন্ডেসভের’ (জার্মানির জাতীয় সেনাদল)-এ সৈন্য সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কমে এসেছে। মোট ঘাটতি ২১ হাজার সেনার। এই বিষয়ে আশু পদক্ষেপ না করলে নেটোর প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় সেনা সরবরাহ ও বাইরের শত্রুর হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠবে।

 

এ বার সেই সুরে সুর মেলালেন দেশের শাসক দল সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও কনজ়ারভেটিভ ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অব জার্মানির তাবড় রাজনীতিকরা। আর তাতেই অস্বস্তিতে মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাশিয়ার জুজু দেখছে জার্মানি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাই এই নিয়ে আলোচনা শুরু। আর এখন, মাতামাতি আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ বন্ধ হয় জার্মানিতে।

 

মঙ্গলবার সুইডেনে সফররত জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়ের কথাতেও শোনা গিয়েছে এই ইঙ্গিত। তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের কাছে সেনায় চাকরি আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পদক্ষেপ করতে হবে।”

 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সুইডেনের সেনা প্রশিক্ষণের মডেলটিকেই আপাতত পাখির চোখ করেছে জার্মানি। তিনটি প্রস্তাব আপাতত রয়েছে রাজনীতিকদের আলোচনায়। প্রথমটি হল, ১৮ বছর বয়স হলেই সমস্ত দেশবাসীকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে ১৮ বছর ও তার উপরের সমস্ত পুরুষের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হবে। তার পরে, তাঁদের মধ্যে নির্বাচিতরা যোগ দেবেন সেনায়। এই প্রস্তাবে মেয়েরাও যোগ

দিতে পারেন।

 

তৃতীয় প্রস্তাবে বাধ্যতামূলক কোনও ব্যাপার নেই, ১৮ বছর বয়স হলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকলকেই সেনায় ভর্তির ফর্ম পাঠানো হবে। যারা ইচ্ছুক তাঁরা যোগ দেবেন। জুন মাসে এই সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত পাকাপাকি ভাবে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?

অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত

না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত

উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান

উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান

ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান

ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড

ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী

ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী

সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ

সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ

আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম

আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম

গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী

জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী

ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর

ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর

সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার

সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার

রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন

রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন

তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী

তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী

মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন

মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন

মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা

মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন

সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে

সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে