প্রশ্ন: আমার স্বামী প্রায়ই রোযা অবস্থায় আমার সঙ্গে যৌন আচরণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। দু’এক বার আমার অমতে জোর করে তার সঙ্গে মিলিত হতে বাধ্য করেছেন। এমতাবস্থায় আমার রোযার কি বিধান? এর ফলে রোযা ভেঙ্গে গেলে কাফফারা বা করণীয় কী?
২১ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
উত্তর: যেভাবেই হোক ফরয রোযা রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এখানে স্বামীর মনে রোযার গুরুত্ব ও আল্লাহর হুকুমের মাহাত্ম্যের অভাব থেকে থাকবে। কারণ প্রবল ক্ষুধা, পিপাসা ও যৌনকাক্সক্ষা থাকা সত্বেও দিনের বেলা পানাহার ও বৈধ দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকার নামই রোযা। যতো আগ্রহই হোক অতি সতর্কতার সাথে রোযাদারকে এসব আচরণ থেকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতেই হবে। প্রশ্ন ওঠে স্বামী নিজে রোযাদার কিনা? রোযাদার না হলে সে স্ত্রীর রোযার মূল্য বুঝবে না। নিজে রোযাদার হলেও স্ত্রীর রোযার মর্যাদা সে স্বামী দিতে পারছে না। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর যৌনাকাক্সক্ষা স্বীকৃত এবং পরস্পরের চাহিদা ও অধিকার প্রদানে শরিয়ত পূর্ণসচেতন। যেমন স্বামীর অমতে স্ত্রী নফল রোযা রাখতে পারে না। স্বামী চাইলে নফল রোযা ভেঙ্গেও নিজেদের চাহিদা পুরণ করতে হয়। আবার স্ত্রী চাইলে স্বামী নফল রোযা ও সারা রাত জেগে নফল ইবাদৎ এক পর্যায়ে ছেড়ে হলেও স্ত্রীর অধিকার পূরণ করতে হয়। যার শিক্ষা ও প্রেরণা ইসলামে রয়েছে। তবে এসবই নফল রোযার বেলা। রমজানের ফরজ রোযার ক্ষেত্রে এসবের কোনো মূল্য নেই। এখানে আল্লাহর হুকুমই সর্বোচ্চ। কোনো ক্রমেই যৌনাকাক্সক্ষার জন্য রোযা ছাড়া যাবে না। যে বিষয়টি প্রশ্নে পাওয়া গিয়েছে। এ কথা স্পষ্ট যে, বর্ণিত প্রশ্নে রোযাদার স্বামীকে নিজ রোযা ভাঙ্গার জন্য অবশ্যই কাফফারা করতে হবে । অর্থাৎ একাধারে ৬০ রোযা রাখতে হবে। তবে পূর্ণ অমত, অনিচ্ছা, অসহযোগিতা অবস্থায় গায়ের জোরে যে রোযাদার স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক দেহ মিলনে বাধ্য করা হয়েছে তার কেবল কাযা করলেই চলবে। কাফফারা করতে হবে না। এটি সে ব্যক্তির মতো যাকে তার ইচ্ছার বাইরে জোর করে কেউ কিছু খাইয়ে বা পান করিয়ে তার রোযা ভেঙ্গে দিল। এমন ব্যক্তির শুধু কাযাস্বরূপ একটি রোযা রাখলেই চলবে। নিজের ইচ্ছায় ফরয রোযা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির মতো কাফফারা করতে হবে না।
প্রশ্ন: আমার বোনকে গ্যাষ্ট্রিকের ব্যাথায় হাসপাতালে ভর্তি করি, এখন ডাক্তার বলছে এন্ডোসকপি করানোর জন্য। রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে বোন রমজানে তা করাতে চাচ্ছে না। এখন যদি আমরা এন্ডোসকপি করাই, তাহলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?
উত্তর : এন্ডোসকপি পরীক্ষাটা হলো, চিকন একটি পাইপ, যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এই নলে যদি কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভিতর দিয়ে পানি/ঔষধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, আর যদি কোন ঔষধ না থাকে তাহলে কেবল পাইপ ঢুকানোর কারণে রোজা ভাঙ্গবে না।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান