নজরুল সাহিত্যে মুসলিম ঐতিহ্য
২৮ জুন ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:১১ এএম
![](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/2-20240627210540.jpg)
তাঁর প্রেরিত রসূল (সাঃ) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ, যিনি মানব জগৎকে সঠিক পথের দিশা প্রদান করেছেন। রসূলের আদর্শ ধারণ করতে পারলে এবং কুরআনের আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে পারলে ইহ জগতের মানুষ যেমন শান্তি লাভ করতে পারবে, তেমনি পরজগতেও মানুষ মুক্তি লাভ করতে পারবে। একটি গানে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- আল্লাহ আমার প্রভু আমার নাহি নাহি ভয় আমার নবী মুহাম্মদ যাঁহার তারিফ জগৎময়। আমার কিসের শঙ্কা/ কোরআন আমার ডঙ্কাইসলাম আমার ধর্ম, মুসলিম আমার পরিচয়। কালেমা আমার তাবিজ তৌহিদ আমার মুর্শিদ ইমান আমার বর্ম, হেলাল আমার খুর্র্শিদ আল্লাহু আকবার ধ্বনি/ আমার জিহাদ বাণীআখের মোকাম ফেরদৌস খোদার আশর যেথায় রয়। (আল্লাহ আমার প্রভু .................. নাহি ভয়।।)আল্লাহকে পাইতে রসূলের মাধ্যমে যেতে হয়: মুসলিম বিশ^াসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো- আল্লাহকে পাইতে হলে রসূল(সাঃ)কে ভালবাসতে হবে এবং তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরেই হাঁটতে হবে। তাঁর প্রদর্শিত পথই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মহান আল্লাহ নির্দেশিত পথ। কাজী নজরুল ইসলাম একটি গানে লিখেছেন- আল্লাহকে যে পাইতে আয় হজরতকে ভালবেসে আরশ কুরছি লওহ কালাম, না চাহিতেই পেয়েছে সে। রসুল নামের রশি ধরে যেতে হবে খোদার ঘরে নদী তরঙ্গে যে পরেছে ভাই, দাবিয়াতে সে আপনি মেশে। এই দুনিয়ায় দিবা রাতি ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী তুই যা চাস্ তাই পাবিরে ভাই আহমদ চান যদি হেসে মানুষের অধিকার/মানুষে মানুষে ভেদজ্ঞান হীনতাঃ ইসলামী জীবন ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ঐতিহ্য হলো- ইসলামে কোন জাতি ও সম্প্রদায়গত ভেদাভেদ নাই। ভেদাভেদ নেই আমিষ ও ফকিরে। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নামে দু’টি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা ও মুসলমানদের বহুদিনের ঐতিহ্য। ধনী গরীবের ব্যবধানহীনতা, সামাজিক সম অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে ঈদের শিক্ষা নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- আজি আরাফাত-ময়দান পাতা গাঁয়ে গাঁয়ে কোলাকুলি করে বাদশা ফকিরে ভায়ে ভায়ে। আজি ইসলামী ডঙ্কা গরজে করি জাহান নাই বড় ছোট সকল মানুষ এক সমান। ইসলাম বলে- সকলের তরে মোরা সবাইসুখ দুঃখ সমভাগ করে নেব সকলে ভাই, নাই অধিকার সঞ্চয়ের কারও আঁখিজলে, কারও ঝাড়ে ফিরে জ্বলিবে দ্বীপ দু’জনার হবে বুলন্দ নসীব, লাখে লাখে হবে বদনসিব? এ নহে বিধান ইসলামের। [ঈদ মোবারক]সাম্য-প্রীতি: সাম্য বিষয়ে ‘আজাদ’ কবিতায় নজরুল লিখেছেন- অন্যেরে দাস করিতে কিংবা নিজে দাস হতে ওরেআসেনিক দুনিয়ায় মুসলিম ভুলিলি কেমন করে?ভাঙ্গিতে সকল কারাগার, সব বন্ধন ভয় লাজ এলো যে কোরান, এলেন যে নবী, ভুলিলি সে সব আজ? [ আজাদ ]“আমরা সেই সে জাতি’’ শিরোনামের গানে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- ধর্ম্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতিসাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি আমরা সেই সে জাতি।আমিরে-ফকিরে ভেদ নাই, সবে ভাই সব এক সাথীআমরা সেই সে জাতি। দান খয়রাত: প্রত্যেক সম্পদশালী লোকের উপরে তার গ”িছত সম্পদের উপরে শতকরা ২.৫০% হারে জাকাত প্রদান করা ফরত। গরীবে অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্য এবং সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই বিধান ইসলামের মৌলিক সামজিক ঐতিহ্য হিসেবে বহু বছর ধরে পালন করে আসছে মুসলিম জাতি। জাকাতের পাশাপাশি, সাধারণ দান খয়রাত করাও মুসলিম ঐতিহ্যেরই অংশ। ধনীদের সম্পাদে গরীবের অধিকার আল্লাহ নিশ্চিত করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী দান খয়রাত করা ইসলামের একটি অর্থনৈতিক বিধানও বটে। তবে গরীব মানুষকে তার অধিকার বুঝিয়ে কেউ সম্পদ ভোগ করতে চাইলে তাতে ইসলামের কোন বাধা নেই। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- ঈদ-আল্-ফিতর আনিয়াছে তাই নব বিধান ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান ক্ষধার অন্ন হোক তোমার, ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে, তৃষাতুরের হিস্যা আছে ও পেয়ালাতেদিয়ে কর ভোগ বীর দেদার। [ঈদ মোবারক]নারীমুক্তি: ইসলামের অত্যন্ত চমৎকারিত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো নারীদের সম্মান প্রদর্শন ও নারীর অধিকার সংরক্ষণ। আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে নারীদের কোন মর্যাদা ছিল না। নারী সন্তান কারও ঘরে জন্মগ্রহণ করলে সে পরিবার লজ্জা বোধ করত, অসম্মান মনে করত। এমন কি নারী সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার নির্মম ইতিহাসও অস্বাভাবিক ছিল না সে যুগে। তারা পৈত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়া তো দূরের কথা, নারীদেরকে হেনস্তা করার হত প্রতিনিয়ত। নারীরা কেবল ভোগের সামগ্রী বৈত আর কিছু ছিল না সে যুগে। এমনই এক অন্ধকার যুগে আগমণ ঘটে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব এবং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাঁর মাধ্যমে প্রাপ্ত মহান আল্লাহ পাকের বাণী পবিত্র কুরআন শরীফের মাধ্যমে প্রচারিত হলো নারীমুক্তির সনদ। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো পৈত্রিক সম্পদে। নারীরা অধিকার পেল তার স্বামীর সম্পদে, ভাইয়ের সম্পত্তিতে, মায়ের সম্পদে, এমনকি সন্তানের সম্পদেও। নারীরা পেল মায়ের মর্যাদা। ঘোষিত হলো- মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত। তারপর থেকেই নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও অধিকার প্রদান হয়ে গেল মুসলিম ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজী নজরুল ইসলাম সেই মহান মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে লিখলেন- নারীরে প্রথম দিয়াছি নরসম অধিকার মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙ্গিয়া করিয়াছি একাকার আঁধার রাতের বোরখা উতারি এনেছি আশার বাতি আমরা সেই সে জাতি। জাকাত: ইসলামের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচার, সুষম সম্পদ বন্টন নীতিমালার মূলমন্ত্র হলো জাকাত পদ্ধতি। মুসলমানগণ যুগের পর যুগ ধরে এই জাকাত ব্যব¯’াকে ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে পালন করে আসছে। এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন গান- দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত তোর দিল খুলবে পরে, আগে খুলুক হাত দেখ পাক কোরান, শোন নবীজীর ফরমান ভোগের তরে দুনিয়ায় আসেনি মুসলমান। তোর দর দালানে কাঁদে ভূখা হাজারও মুসলিমআছে দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ- বলেছেন রহীম বলেছেন রহমানুর রহীম, বলেছেন রাসুলে করীম। কালেমা, নামাজ রোজা, হজ্ব, যাকাত: মুসলিম বিশ্বাসী ঐতিহ্যের সূলমন্ত্রই হলো- কালেমা, নামাজ রোজাসহ ইসলামের মৌলিক ইবাদত সমূহের পালন। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই তোর আখেরে কাজ করে নে, সময় যে আর নাই। সম্বল যার আছে হাতে হজ্বের তরে যা কাবাতে জাকাত নিয়ে বিনিময়ে শাফায়াত যে পাই। আল কোরআন: ইসলামী আক্বিদার বীজমন্ত্র যে মহাগ্রন্থে বাণীবদ্ধ আছে, সে গ্রন্থ আসমান থেকে নাজিল হয়েছে- এমন বিশ্বাসের ঐতিহ্য বুকে ধারণ করেন মুসলিমসগণ। মুসলমান মাত্রই এ কথা বিশ্বাস করে যে, এই কুরআনের মাঝেই লুকিয়ে আছে মহান স্রষ্টার মাহাত্ম। এই কুরআনে বর্ণিত জীবন বিধানকে মেনে চলে মানুষ পেতে পারে মহা সুখের সন্ধান। পেতে পারে মহান রবের সান্নিধ্য। মহান স্রষ্টা থাকেন সপ্তম আসমানে তাঁর শাহী আরশে আজিমে। চন্দ্র সূর্য ও তারকা খচিত নীল আসমানকে দেখে কাজী নজরুল ইসলামের কাছে মনে হয়েছে তিনি যেন আল কোরআনকে খুঁজে পেয়েছেন। একজন মুমিন মুসলমান মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন সেই মহাগ্রন্থ আল কোরআন রক্ষিত ছিল মহাপবিত্র আরশে আজিমের সাথে সংযুক্ত পবিত্র লওহে মাহফুজে। একজন আক্বিদাসম্পন্ন মানুষের মনের সেই গভীর প্রকাশ যেন কাজী নজরুল ইসলামের গানে- জরিন হরফে লেখা, রূপালী হরফে লেখা আসমানের কোরআন, নীল আসমানের কুরআন লেখা তারায় তারায় খোদার কালাম পড়রে মুসলমান। সেথা ঈদের চাঁদে লেখা মোহাম্মাদের নামের রেখা খোদার আরশ লুকিয়ে আছে ঐ কুরআনের মাঝে খোঁজে ফকির দরবেশ সেই আরশ সকাল সাঁঝে। খোদার দীদার চাস রে যদি পড় এ কুরআন নিরবধি খোদার নূরের রওশনীতে রাঙ্রে দেহ প্রাণ।
ঈদ উৎসব: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হলো মুসলিম সামজিক জীবনে সব থকে বহুল উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। দ্বিতীয় হিজরী থেকে স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে এই উৎসব দুটি অত্যন্ত আনন্দমূখর পরিবেশে এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মুসলিমবিশ্ব পালন করে থাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব দু’টি। মুসলিম ঐতিহ্যের আচার অনুষ্ঠান কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানে প্রবলভাবে বিদ্যমান। তাঁর ঈদ বিষয়ক প্রতিটি লেখাতেই মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রকাশিত হয়েছে পূর্ণভাবে। ‘ঈদ মোবারক’ কবিতায় তিনি লিখেছেন- পথে পথে আজ হাঁকিব বন্ধু ঈদ মোবারক আসসালামঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল কালাম।বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ।আমার দানের অনুরাগে-রাঙা ঈদগা-রে।সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে-দেহ নয়, দিল হবে শহীদ।।ঈদের দিনের আনন্দ উৎসবের যে ঐতিহ্য বহুদিন ধরে মুসলিম সমাজ ধারণ করে, তার প্রকাশ নজরুলের কবিতায়:Ñ আজ ছেলেমেয়ে কাঁদে না কো, তারা ক্ষুধাতৃষা ভুলিয়াছেকাল সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদের নিশান যে দুলিয়াছে।শিরনি পাইবে, ফিরনী খাইবে, আনিয়াছে জামবাটি,মনের খুশীর ঈদগাহে পাতিয়াছে কে শীতল পাটি।[জাকাত লইতে এসেছে ডাকাত চাঁদ]কুরবানী: ত্যাগ ও আত্মত্যাগের এক মহান ব্রত নিয়ে বহুদিন ধরে মুসলমানগণ পালন করে আসছে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঈদুল আজহা বা কুরবানী। মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) এর কুরবানী দেবার ঘটনাকে স্মরণ করে এবং আত্মত্যাগের উদ্দেশ্যে মুসলিমগণ হালাল পশু কুরবানী করে থাকেন প্রতি বছর এবং এই কুরবানীর গোস্ত আত্মীয় স্বজন ও গরীব মানুষদের মাঝে কল্যাণার্থে বিতরণ করে থাকেন। এই ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যকে ধারণ করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। কুরবানীর ঐতিহ্যকে ধারণ করতে গিয়ে মুসলিম জাগরণের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনিঃ - দাও কোরবানী জান ও মাল বেহেস্ত তোমার কর হালাল, কোরবানী দাও প্রিয় বিভব ‘জবীহুল্লাহ’ ছেলেরা হোক যাক সব কিছু সত্য রোক মাহাজেরা হোক মায়েরা সব। [শহীদি ঈদ]
ঈদুল ফিতর: ঈদুল ফিতরের মুসলিম ঐতিহ্য নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন - ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাকিদতোর সোনা দানা বালা খানা সব রাহে লিল্লাহ দে জাকাত মূর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিঁদ। আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত দুশমন, হাত মিলাও হাতেতোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ। [ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ ]আজান: মুসলিম ঐতিহ্যের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাত্যহিক জীবনে রোদ বৃষ্টি বাতাসের মতই জড়িয়ে থাকা বিষয় হলো আজান। এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- বুঝেও বুঝিনা কো- এযে এক এক পা করে পলে পলে গোরের দিকেই যাচ্ছি ক্রমে সরে, শুনি তখন আজানের কি বজ্র গভীর স্বর- আল্লাহু আকবর - আল্লাহু আকবর। ও গো পাগল উদাস করা পবিত্র আহ্বান, কেমন করে ভক্তি ক্ষীরে ডুবিয়ে দাও জান।বক্ষে কী সে পাগল-ঝোরার উজান বয়ে যায়! ভোর বেলাকার আবছায়া আর সাঁঝের ম্লানিমায়;দুপুর বেলার রোদ বৈকালের পুরবী।রাতের ডাকে ছড়াও বিশ্বে কতই সুরভী। মাটির মানুষ প্রভুর কাজে পাছে করি হেলা- তাই তো তুমি ডেকে ডেকে জাগাও পাঁচই বেলা। [আজান]মুসলিম আচার: সকল কাজে আল্লাহকে স্মরণ করা মুসলমানদের অন্যমত সাংস্কৃতকি ঐতিহ্য। প্রত্যেক কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করা এবং তাঁকে ভরসা করা মুমিন মুসলমানের ইমানী দায়িত্ব। আল্লাহর নাম স্মরণের মাধ্যমে ভোরে ঘুম থেকে জাগরণ এবং সারা দিনের কাজের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুসলমানদের প্রাত্যহিক আচার। এ প্রসঙ্গে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- আল্লাহর লইয়া বান্দা ফজরে উঠিও,আল্লাহ নামের আহলাদে ভাই ফুলের মত ফুিটও।কাজে তোমার যাইও বান্দা আল্লাহরই নাম লইয়া,ঐ নামের গুণে কাজের ভার যাইবে হাল্কা হইয়া।শুনলে আজান কাজ ফেলিয়া মসজিদে শির লুটিও।আল্লাহর নাম লইয়া রে ভাই কইরো খানাপিনা,হাটে মাঠে যাইও না ভাই আল্লাহরই নাম বিনা। পরিশেষে, এ কথা বলা যায় যে- কাজী নজরুল ইসলাম হলেন মুসলিম ঐতিহ্যের সফল চিত্রকর, যাঁর রচনায় মুসলিম জীবনের ঐতিহ্য অত্যন্ত সুনিপুণভাবে চিত্রিত হয়েছে। সে চিত্রায়নে তিনি যুক্ত করেছেন কুরআন ও হাদীস ভিত্তিক মুসলমানদের প্রকৃত আকিদা ও বিশ^াস, যে কারণে তিনি মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়ে চলেছেন যুগের পরে যুগ ধরে।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
![‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ’ হবে, ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/untitled-1-copy-20240630163111.jpg)
‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ’ হবে, ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
![ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বর্জন শিক্ষক সমিতির](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/du-20240630141854-20240630161207.jpg)
ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বর্জন শিক্ষক সমিতির
![বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখ ৯ হাজার মামলা জট : সংসদে আইনমন্ত্রী](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/law-minister-20240630142040-20240630160358.jpg)
বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখ ৯ হাজার মামলা জট : সংসদে আইনমন্ত্রী
![পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/common/-default.jpg)
পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
![গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নিহিত, ১০ জন আহত।](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/untitled-1-copy-20240630160137.jpg)
গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নিহিত, ১০ জন আহত।
![শিবগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/common/-default.jpg)
শিবগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
![টিকিট নাই, অথচ বিমানের সিট ফাঁকা— এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে চাই : বিমানের নতুন এমডি](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/biman-3-20240630142415-20240630155437.jpg)
টিকিট নাই, অথচ বিমানের সিট ফাঁকা— এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে চাই : বিমানের নতুন এমডি
![ফতুল্লায় দুই ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই খুন হন সুরুজ, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/rab-20240630142650-20240630155215.jpg)
ফতুল্লায় দুই ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই খুন হন সুরুজ, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪
![মালয়েশিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর নামে অর্থ লুট : কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/highcourt-20240620180808-20240630144143-20240630155010.jpg)
মালয়েশিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর নামে অর্থ লুট : কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
![সাবেক এমপি বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ad-21-4-20240630151526.jpg)
সাবেক এমপি বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন
![জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ss-budget-2024-25-finance-minister-mahmud-ali-060624-qp98xzdwntlwshuymmhmbe563jv09jzrkj86hyi2vs-20240630151338.jpg)
জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস
![গুলশানে বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ad-20-3-20240630151005.jpg)
গুলশানে বেনজীরের ৪ ফ্ল্যাটে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
![গাজাযুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা বিভিন্ন দেশের](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ad-19-20240630150737.jpg)
গাজাযুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা বিভিন্ন দেশের
![সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ad-18-20240630150253.jpg)
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস
![অনলাইন জুয়া বেড়েছে, নিয়ন্ত্রণে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/cid-20240630144908-20240630150053.jpg)
অনলাইন জুয়া বেড়েছে, নিয়ন্ত্রণে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা
![ফ্রান্সে জাতীয় পরিষদের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ আজ](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/ad-17-20240630145711.jpg)
ফ্রান্সে জাতীয় পরিষদের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ আজ
![৩০ তম ভারতীয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/army-20240630144002.jpg)
৩০ তম ভারতীয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী
![দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রে ৪ শিক্ষককে বহিস্কার](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/expel-20240630141828.jpg)
দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রে ৪ শিক্ষককে বহিস্কার
![ভাঙা দাঁতই চেনাল হারানো ভাইকে! ১৮ বছর পর দেখা বোনের সঙ্গে](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/up-3-20240630141641.jpg)
ভাঙা দাঁতই চেনাল হারানো ভাইকে! ১৮ বছর পর দেখা বোনের সঙ্গে
![সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ক্লাস বন্ধ ঘোষণা](https://dailyinqilab.com/mediaStorage/content/images/2024June/SM/du-logo-20240630140830.jpg)
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ক্লাস বন্ধ ঘোষণা