হযরত রাসুল (দ) : আধার রাতে, আলোর প্রদীপ

Daily Inqilab সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ

২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
জাহিলি যুগে তাদের দানশলিতা,পরোপকারিতা,উদারতা,অতিথি পরায়নতা ছিল প্রবাদ তুল্য।আল্লাহ বলেন,‘আল্লাহ মোমিনদের অভিবাবক,তিনি তাদেরকে অন্ধকার রশি থেকে নুর বা আলোর দিকে বের করে নিয়ে আসেন,আর যারা কাফির তাদের প্রতি অভিভাবক হচ্ছে তাগুত খোদা বিরোধীী বাতিল শক্তি সমুহ ,তারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকেই বের করে আনে’।(সুরা বাকারা২৫৭)। মোট কথা ইসলামী আলো পেয়ে যে সন্তুষ্ট সেই ইমানদার আর যে পুর্ববতী জাহিলিয়াত কে আকড়েঁ ধরে সেই কাফির।বিশ^ নবী (দ) বলেন,‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব বা প্রভ ুরুপে পেয়ে ইসলাম কে দীন বা জীবন ব্যবস্থা রুপে পেয়ে এবং মুহাম্মদ (দ) কে নবী ও রাসুল রুপে পেয়ে তুষ্ট,সে ব্যক্তি ইমানের প্রকুত স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছে’।বিশ^ নবী (দ) জাহিলি যুগে কুরাইশ-অ-কুরাইশ,আরব-অনারব ও সাদা-কালোর পার্থক্য দুর করেন।হযরত রাসুল (দ) ঘোষনা করেন-‘হে মানব মন্ডলী! তোমাদের প্রভু এক অভিন্ন,তোমাতের পিতা এক অভিন্ন।ওহে! জেনে রেখো কোন আরবের কোন অনারবের উপর প্রধান্য নেই,কোন কালোর কোন শে^তাঙ্গের উপর প্রধান্য নেই,তবে তাকওয়ার মাধ্যমে তা হতে পারে’। জাহিলি সমাজে নারীদের কোন সম্মান বা মর্যাদা ছিল না। নারী ছিল উপেক্ষিত। ইসলাম দিয়েছে নারীর সম্মান ও মর্র্যদা। দিয়েছে পুণ অধিকার ও মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত।এরশাদ হচ্ছে,‘তাদের যেমন কর্তব্য রয়েছে,তেমনি রয়েছে তাদের অধিকারও’। আল্লাহ তাআলা পুরুষ জাতিকে বলেন,‘নারীদের সাথে সঙ্গত ভাবে সদাচারের মাধ্যমে জীবন যাত্রা করবে’।বিশ^ নবী (স) বলেন,মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত’।বিশ^ নবী (দ) এর আগমনের পুর্বে সারা বিশে^ মানুষ,মানবীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।ইসলাম তাদের স্বাধীনতার পথ সমুহ সুগম করে দিয়েছে। বিদায় হজ্জের ভাষনা বিশ^ নবী (দ) বলেন,তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তা খেতে দিবে। তোমরা যা পরবে তাদেরকেও তা পরতে দিবে’। ইসলামের পুর্বে রাজা-বাদশারা রাজ্য পরিচালনা করত। প্রজা কুলের মালিক মুখতার বলে ধারনা করা হতো। এরশাদ হচ্ছে‘আসমান জমিন সব কিছুরই মালিক একমাত্র আল্লাহ’।সুরা বাকারা-২৮৪)। আল্লাহ আরো শিখিয়ে দিলন,‘বল হে আল্লাহ!তুমিই সকল সংসারের রাজত্বের মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর,যার থেকে ইচ্ছা তুমি রাজ্য কেড়ে নাও’।(সুরা ইমরান)। বিশ^ নবী (স) বলেন,‘তোমাদের মধ্যে যারা জাহিলিয়াতের যুগে উত্তম ছিল,ইসলামেও তারাই সর্বোত্তম’। বিশ^ নবী (স) ছিলেন,অপুর্ব কান্তিময় চেহারার অনুপম ব্যক্তিত্ব।সমানুপাতিক চমৎকারিত্বে তার অঙ্গ সৌষ্ঠব ছিলো অপরুপ। তিনি ছিলেন পরশ পাথর। কোথাও দাড়ালে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্প কর্মের নির্দশন চোখের সামনে উদ্ভাসিত হতো। মহা নবী এর চরিত্র ছিল ‘আল কোরআন’। মহান আল্লাহ বলেন,‘হে নবী!আমি আপনাকে সুসংবাদদাতা,সর্তককারী,আল্লাহর নিকট আহ্বান কারী প্রদীপ্ত প্রদীপ রুপে প্রেরন করেছি’।(সুরা আহযাব-৪৫-৪৬)। যদি বিশ^ নবী(স) এর কথা,কাজ ও সর্মথন কে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করা আমাদেও জন্য অপরিহায্যৃ দাবী। আমরা তারঁ আর্দশে যেন জীবন পরিচালিত করতে পারি। আসুন বিশ^ নবী (স) এর আর্দশ ব্যক্তি পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র জীবনে যথাযথ ভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করি।তবেই হতে পারবে আধার রাতে,আলোর প্রদীপ। (সমাপ্ত)

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গ্রন্থকার।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

রোহিঙ্গাসংকট: সমাধানের পথ খুলুক দ্রুত
মাইজভা-ার শরিফ : ঐশ প্রেক্ষিত
রমজানে খাদ্য গ্রহণে সচেতন হোন
রমজানের রহমত-মাগফিরাত-নাজাতের বানে ভেসে যাক পাপ
আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নাই
আরও
X

আরও পড়ুন

ছাগলনাইয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি পিক-আপ জব্দ ও দুইটি এস্কেভেটর অকেজো

ছাগলনাইয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি পিক-আপ জব্দ ও দুইটি এস্কেভেটর অকেজো

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে  রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে : মাওলানা আহমদ হাসান ফুলতলী

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে : মাওলানা আহমদ হাসান ফুলতলী

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায়  এক দিনে নিহত ২৬ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত ২৬ ফিলিস্তিনি

সম্প্রীতির দেশে আগুন লাগাতে চায় এরা কারা

সম্প্রীতির দেশে আগুন লাগাতে চায় এরা কারা

অর্থনীতিতে আমরা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি : গভর্ণর

অর্থনীতিতে আমরা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি : গভর্ণর

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

নির্বাচন নইলে আন্দোলন

নির্বাচন নইলে আন্দোলন

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

কালুরঘাট সেতুসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন রেল সচিবের

কালুরঘাট সেতুসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন রেল সচিবের

মডেল মেঘনা কারাগারে

মডেল মেঘনা কারাগারে

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান গণসংহতি আন্দোলনের

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান গণসংহতি আন্দোলনের

আসিয়ান অঞ্চলের বৃহত্তর স্বার্থে রোহঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান দরকার :আসিয়ান অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের অভিমত

আসিয়ান অঞ্চলের বৃহত্তর স্বার্থে রোহঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান দরকার :আসিয়ান অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের অভিমত

মানুষের অধিকার আদায়ে যারা রাজপথে লড়াই করে, তাদের নিঃশেষ করা যায় না : নূরুল ইসলাম বুলবুল

মানুষের অধিকার আদায়ে যারা রাজপথে লড়াই করে, তাদের নিঃশেষ করা যায় না : নূরুল ইসলাম বুলবুল

কিডনির পাথর অপসারণ বিষয়ে ডা. রফিকের আধুনিক চিকিৎসার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন

কিডনির পাথর অপসারণ বিষয়ে ডা. রফিকের আধুনিক চিকিৎসার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন

মহেশপুরে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে মারল বিএসএফ

মহেশপুরে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে মারল বিএসএফ

হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচাপায় নারী নিহত

হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচাপায় নারী নিহত

সেই ‘ক্রিম আপা’ কারাগারে

সেই ‘ক্রিম আপা’ কারাগারে

জলবায়ু ধর্মঘট পালিত

জলবায়ু ধর্মঘট পালিত

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই : সেলিমা রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই : সেলিমা রহমান