দেশে দেশে রোজার উৎসব
০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:০৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম
ইমাম গায্যালী (র.) সিয়ামকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন :
১. সাধারণ লোকদের সিয়াম : পেট ও কাম রিপু হতে বিরত থাকাই সাধারণ লোকদের সিয়াম।
২. মধ্য শ্রেণীর লোকদের সিয়াম : হাত, পা, চোখ, কান, মুখ ও অন্য সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে পাপ কাজ হতে বিরত রাখা।
৩. তৃতীয় শ্রেণীর লোকদের সিয়াম : এরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকদের কাজের সঙ্গে সঙ্গে দিলের সিয়ামও পালন করেন। নাবী, সিদ্দীক ও আল্লাহর নিকটবর্তীরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
সিয়াম দ্বারা মানুষ শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করে, এটাই ইসলামের শিক্ষা। কাম, ক্রোধ, লোব, মোহ, মদ, মাৎসর্য এই ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রিত করাই সিয়ামের বিশেষ উদ্দেশ্য। এই ষড়রিপুই মানুষের উন্নতির প্রধান অন্তরায়। শুধু ইসলামের নয় সব ধর্মেরই নির্দেশ আছে এই রিপুগুলো নিয়ন্ত্রণ করবার। হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে, “প্রত্যেক বস্তুর যাকাত (পরিশোধক) আছে, আর দেহের যাকাত হলো সিয়াম’’ (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)। ষড়রিপু দমন করা ইসলামের শিক্ষা নয় বরং এইগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করাই ইসলামের শিক্ষা। সংসার ত্যাগ করে বনে জঙ্গলে বাস করবার মত কষ্টসাধ্য রীতি চালু আছে। ইসলাম ষড়রিপুকে ‘বস্তু শরীরের’ দাবী বলে স্বীকার করে কিন্তু এর দমন নয় বরং শরীয়তের সীমার মধ্যেই এদের নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কর্তব্য।
মানব জীবনে চারটি জিনিসের চাহিদা খুবই মৌলিক :
১. ক্ষুধা নিরাবরণের চাহিদা ২. তৃষ্ণা নিবারণের চাহিদা ৩. প্রজনন ক্রিয়ার চাহিদা ৪. বিশ্রাম গ্রহণের চাহিদা।
এগুলোর ন্যায়সঙ্গত চাহিদা পূরণের দ্বারা মানব জীবন সুন্দর, মার্জিত ও উৎকর্ষমন্ডিত হয়। এগুলোর চরম স্বল্পতা জীবনকে স্থবির, পঙ্গু ও অথর্ব করে দেয়। আবার এসবের ব্যাপারে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি জীবনকে লাগামহীন ও বেপরোয়া করে তোলে এবং পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেয়। ইসলাম এই মৌলিক চাহিদার বিজ্ঞান সম্মত ও ন্যায়সংগত বাস্তবায়নের দ্বারা মানব চরিত্রকে সর্বাধিক সুন্দর করে গড়ে তুলতে আগ্রহী এবং এই কাজে সিয়ামের ভূমিকা সর্বাধিক।
রামাদ্বান মাসটি গোটা বিশ্বের ১৩০ কোটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত বরকতময় মাস। এ মাস হচ্ছে আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য, নেয়ামত ও রহমত লাভের মাস। রামাদ্বান মাসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানগণ দৈনন্দিন চলাফেরা, কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পোষাক পচ্ছিদ, নিদ্রা, ইবাদত-বন্দেগী, সেহরী ও ইফতারী প্রভৃতিতে ইসলামী বিধি-বিধান মেনে চলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। সারা দুনিয়ার মুসলমানগণ সিয়াম রাখার জন্য মানসিকভাবে তৈয়ার হয়ে যায়। সুতরাং রামাদ্বান মাসের আগমন প্রতিটি মুসলমানের হৃদয় আলোড়িত হয় এবং ফরয, সুন্নত, নফল ইবাদত ও দান খয়রাত প্রভৃতির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশের অনেক হাফেজ কিয়ামুল লাইল তারাবী সালাতে পবিত্র কুরআন খতম করার জন্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানরাও সিয়াম পালন করে থাকেন। এখন আমরা কতগুলো মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সাথে পরিচিত হবো এবং জানতে চেষ্টা করব কিভাবে তারা সিয়াম ব্রত পালন করে থাকেন।
আমেরিকা : গোটা বিশ্বের পাওয়ার হাউস বলে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখানে আছে প্রায় ৭০ লাখ মুসলমান। বেশীর ভাগ মুসলমান বাস করেন ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ইলিনয়েস, ইস্তিয়ানো, মিসিগান. টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড রাজ্যগুলোতে। রামাদ্বান মাসে এশিয়ান মুসলিমগণ যারা এখানে বসবাস করেন তারা তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে পায়জামা, পাঞ্জাবী, কাবুলি সেট কোর্তা পরিধান করেন এবং মহিলারা ও শিশুরা মেহেদি দিয়ে হাত রং করেন। অন্যদিকে আফ্রিকান মুসলিমগণ যারা এখানে থাকেন তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে থাকেন। সিয়ামকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন বিশেষ কর্মসূচি পালন করে। যেমন, আমেরিকানা মুসিলম এলিমান্স, আমেরিকানা আরব এন্টি ডিসক্রিমিনাশন, আমেরিকান মুসিলম কাউন্সিল, মুসলিম পাবলিক এফিয়ারস কাউন্সিল, কাউন্সিল অফ আমেরিকান ইসলামিক রেলাশন, এ সমস্ত সংগঠন সিয়ামের সময়সূচী ও তাৎপর্য, ফোন, ই-মেইল, লেকচার, সেমিনার, স্থানীয় মিডিয়া ইত্যাদিতে প্রচার করে থাকে। আমেরিকাতে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে খেজুর, খোরমা, সালাদ, পনির, রুটি, ডিম, মাংস, ইয়াগার্ট, হট বিনস, সুপ, চা ইত্যাদি থাকে। আমেরিকায় ২০০২ সালে প্রথম বারের মত রামাদ্বান ও ঈদ উপলক্ষে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে। রামাদ্বান মাসে হোয়াইট হাউসে ইফতার পার্টি প্রথম শুরু করছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এটা বর্তমানে একটি প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট রামাদ্বান মাসে হোয়াইট হাউসে ৫৩টি দেশের মুসলিম প্রতিনিধিদেরকে আমন্ত্রণ করে ইফতার পার্টি আয়োজন করেন। অনেক অমুসলিম এই মহাপবিত্র বরকতময় মাসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হচ্ছেন। এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহর অনুগ্রহে ক্রমশই আমেরিকানগণ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থান আমেরিকাতে তৃতীয় স্থান। অনেক গবেষক মনে করেন অচিরেই তা দ্বিতীয় স্থান দখল করবে ইনশাআল্লাহ।
কানডা : উত্তর আমেরিকার সম্পদশালী দেশ কানাডায় উল্লেখযোগ্য মুসলমান বসবাস করেন। রাজধানী অটোরায় সর্বাধিক মুসলমান বসবাস করে, সংখ্যা প্রায় ষাট হার্জা অটোয়া ছাড়াও সাসকেচুয়ান, অল্টারিও, সিনেটোবা, টরেন্টো, কুইবেক রাজ্যগুলোতে মুসলমানগণ বসবাস করেন। রামাদ্বানে ইফতার পার্টির আয়োজন চলে মহাসমারোহে এবং প্রতি শনিবার অটোয়া ইসলামিক সেন্টারের ইফতার পার্টিতে দেশ বিদেশের অসংখ্য মুসলমান হাজির হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীয়দের জন্য ‘দ্যা মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইফতার পার্টির আয়োজন করে। ইফতারীতে খেজু, খোরমা, পনির, সালাদ, ফল, সুপ, জুস, রুটি, ডিম, মাংস, চা-কফি ইত্যাদি থাকে।
ইতালী : ইউরোপ মহাদেশের শেষ প্রান্তে এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কিনারায় অবস্থিত ইতালী দেশটির শিক্ষিতের হার ৯৮%। দেশটির অধিকাংশ অধিবাসী ক্যাথলিক খৃষ্টান, তাছাড়া বৌদ্ধ ও ইহুদী আছে। সমগ্র জনসংখ্যার ১% হলো মুসলমান। এই অল্পসংখ্যক মুসলমান রামাদ্বানকে ঘটা করে স্বাগত জানায়। ইফতারীতে তারা বার্গার জাতীয় খাদ্য, নানাবিধ ফল যেমন- মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, বিভিন্ন ফলের রস খান। সেহরীতে বার্গার ও বার্গার জাতীয় খাদ্য বেশী পছন্দ করে থাকে। ইতালীর রাজধানী রোম। পবিত্র কুরআনে সূরা রোম নামে ৩০ নম্বরে একটি স্বতন্ত্র ৬০ আয়াত বিশিষ্ট সূরা নাযিল হয়েছে। রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কী জীবনে রোমক ও পারস্যিকদের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধের কাহিনী উক্ত সূরায় বর্ণিত হয়েছে। বর্তমানে রোমকে বলা হয় নীরব শহর, শান্তির শহর, সাত পাহাড়ের শহর এবং পোপের শহর।
জার্মানী : অর্থনৈতিক ভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত দেশ জার্মানী। এখানে প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান যাদের বেশীরভাগ শ্রমিক এবং তারা বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে এসেছে। বর্তমানে এদেশে দু’হাজার মসজিদ আছে। শীত মৌসুমে এখানে সূর্য্য উঠে সকাল ৮টায় এবং সূর্য ডুবে বিকাল ৪টায়। তাই কাজের মধ্যেই ইফতারীর সময় হয়ে যায়। বড় বড় প্রতিষ্ঠান সমূহে মুসলমান শ্রমিকদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। রামাদ্বান মাসে এখানকার মুসলমানদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। একদিকে বাড়তি শিফটের কাজ অন্যদিকে ইফতারী ও সেহরীর আয়োজন এবং ইবাদত বন্দেগী করা।
সুদান : আফ্রিকা মহাদেশের বড় একটি মুসলিম দেশ হলো সুদান, যার রাজধানীর নাম হচ্ছে খার্তুম। এখানে ইফতারী সাধারণত: খেজুর দিয়ে শুরু করা হয়, এটা অবশ্য রাসূল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। তাছাড়া ‘হামড়া’ ‘লাহমা’ নামক মাংস দিয়ে তৈরী খাদ্য খেয়ে থাকে। চালের তৈরী ‘আছিদা’ এক ধরনের পিঠা তারা খায়। মাংস ও সস দিয়ে তৈরী ‘মুলাহ’ নামক খাদ্যও ইফতারীতে খায় এবং এসঙ্গে ‘গাওয়া’ নামক চা জাতীয় পানীয় তারা পান করেন। সুদানীরা ‘শোরবা’ নামক সুপ, মাংস দিয়ে তৈরী ‘মুহাম্মার’ নামক খাবার, দুধ ভাত দিয়ে তৈরী ‘রুসবিল হালিব’ সালাদ দিয়ে খায়। তদুপরি পায়েশ, খির, ফিরনী এগুলো তৃপ্তির সাথে খেয়ে থাকেন। মারাদ্বান শেষে সরকারী ভাবে সুদানে ঈদ পালন করা হয়।
মিসর : আফ্রিকার মুসলি প্রধান তুর পর্বত ও পিরামিডের দেশ হচ্ছে মিশর। বিশ্বের প্রাচীনতম আল-আযহাব বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭৩ সালে এখানে প্রতিষ্টিত হয়। রামাদ্বান মাস এলে অফিসের কর্ম ঘন্টা কমানো হয় যাতে সিয়াম পালনকারীগণ মসজিদে ইবাদতে পর্যাপ্ত সময় পান। দলবেধে তারা মসজিদের দিকে ছুটে এবং আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে চারদিক প্রকল্পিত করে। দিনের কাজকর্ম করে তারা রাতে কিয়ামুল লাইল, তারাবী এবং কুরআন তেলাওয়াত করে কাটিয়ে দেন। যোহরের সালাতের পর থেকে ‘বাজারের শহর’ নামে খ্যাত রাজধানী কায়রো শহরের অলিগলিতে ঢাকার চকবাজারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে হরেক রকম ইফতারের আয়োজন। ইফতারে ঐত্যিবাহী পানীয় ‘শরবত কামার আল দীন’ সব বয়সীরা পান করে থাকে। মরুভূমির এই দেশে ইফতারীতে খেয়ে থাকে ‘কানাফা’ নামক পিঠা যা আটা, বাদাম, মধু, কিসমিস ও চিনি দিয় তৈরী করা হয়। আরেক ধরনের গোলাকার ছোট পিঠা ‘তায়েফ’ তাতে বাদাম ও কিসমিস বেশী থাকে তাও খেয়ে থাকেন। মিশরীয় শিশুদের কাছে রামাদ্বান মাসটি সবচেয়ে বেশি আনন্দময়। তারা এ সময় আমাদের দেশের বাচ্চাদের মত পিতামার কাছে সিয়াম রাখার জন্য দাবী জানায়। মিশরের মুসলমানগণ ইফতার করেন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাসায়। ফলে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত হয়ে উঠে। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই ইফতার করেন ক্যাফে, রেস্তোরা, হোটেল প্রভৃতিতে। তাই রামাদ্বান মাসে পাঁচতারা হোটেল ও অন্যান্য রেস্তোরাগুলোতে অ্যারাবিয়ান ডেকোরেশনে তাবু সাজিয়ে ঐতিহ্যবাহী ইফতারী পরিবেশন হয়। মিশরে কিছুসংখ্যক খৃষ্টান বসবাস করেন। তারা রামাযান মাসের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে প্রকাশ্যে ধুমপান ও খাদ্য গ্রহণ করেন না। অকে উদারপন্থি খৃষ্টান জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে এ মাসে উপবাস করেন।
আলজেরিয়া : উত্তর আফ্রিকার একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হলো আলজেরিয়া। রৌপ্যের শহর নামে খ্যাত আলজিয়ার্স হচ্ছে এর রাজধানী। দেশটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মেডিটারিয়ানের তীরে অবস্থিত। এখানে বয়স্কদের মাঝে বেশী ধর্মীয় মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। ইফতারীতে এরা শাকসবজি ও মুরগীর মাংস দিয়ে তৈরী পিজা ‘সোয়ারবা’ সবজির রোলস, আলু ও সবজির তৈরী ‘দোলমা’ খেয়ে থাকে। আলজেরিয়ার মুসলমানগণ কিয়ামুল লাইল তারাবীর সালাতের পর ‘সিগার’ নামক কাচা কাঠ বাদামের তৈরী শরবত পান করে থাকেন। সেহরীতে এরা হালকা খাবার যেমন ফলের রস, দুধ, কফি ইত্যাদি খান। এদেশে রামাদ্বান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে কিন্তু ঈদের এক সপ্তাহ পূর্বে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
লিবিয়া : আফ্রিকার আরেকটি মুসলিম দেশ হচ্ছে লিবিয়া যার রাজধানীর নাম হলো ত্রিপোলী। রামাদ্বান মাসকে এরা পূর্ব থেকে খুব আনন্দ ও গুরুত্বের সাথে অভিনন্দন জানায়। ছোট বড় সবাই সিয়াম রাখার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। ইফতারীতে এখানকার মুসলমানগণ খেজু, কাঁচা কাঠবাদামের শরবত, কলা, আঙ্গুর, বেদানা, নাশপাতি, ময়দা ও আটার রুটি (খুবজা) খেয়ে থাকেন। সেহরীতে এরা খুবজা, তেলেভাজা ভাত, দুম্বার মাংস, সবজি, দুধ, দই, ফল ইত্যাদি খায়।
ইয়েমেন : ইসলাম ধর্মের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ আরব দেশটি হলো ইয়েমেন। এখানে রামাদ্বান মাস এলে সিয়াম ও ইবাদতের জন্য সবাই প্রস্তুত হয়ে যায়। ইফতারীতে এরা খেজুর, খোরমা, ফলের জুস, সোরবা নামক সুপ, দুধ ও দই মিশ্রিত নরম ময়দার রুটি সম্বলিত খাদ্য ‘সাফুত’ সামুছা জাতীয় খাবার ‘সামবুছা’ বিরিয়ানী, সালাদ, কাবাব জাতীয় খাদ্য ‘বেজিন’ ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। তাছাড়া লেবুর শরবত এবং মিষ্টি জাতীয় নানাবিধ খাবার ইয়েমেনীরা খায়। কিয়ামুল লাইল তারাবী সালাতের পরে এরা ভাত, মাংস ও সবজি মিশ্রিত খাদ্য ‘কাবছা’ খেয়ে থাকেন। রুটি, দুধ ও খেজুর মিশ্রিত তৈরী ‘ফাও’ নামক খাবারও এরা খায়। সেহরীতে সাধারণত; ইয়েমেনীরা ফল, জুস, চা, কফি প্রভৃতি হালকা খাদ্য গ্রহণ করেন। (চলবে)
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদের দোসর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন’কে নিষিদ্ধ করা হোক আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
আইনজীবী হত্যার অবিলম্বে বিচার চাই -ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ফখরুলের
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মহা জট, ফড়নবিশকে জরুরি তলব দিল্লিতে
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের ১২ নেতাকর্মীর পদত্যাগ কমিটি বাতিলের দাবি
সাত কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষের কালকের পরীক্ষা স্থগিত
আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে চট্রগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টির ব্যর্থ চেষ্টা
ইসকন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে - বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
বৃষ্টির কবলে দ. আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট
‘চিকিৎসা নিতে করাচি যান, ভারতে নয়’, বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের দাবি শুভেন্দুর
বিসিএস প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেফতার
ভারতে বাইক ভাঙ্গার দৃশ্য ভাইরাল অনলাইন জুড়ে
পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করা হচ্ছে
ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষের পাওনা পরিশোধের আশ্বাসে ৩২ ঘন্টা পর মহাসড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা
হিউজের মৃত্যুর এক দশক আজ
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম
বিডিআর সদস্যদের পুনরায় চাকরির দাবিতে ফেনীতে মানববন্ধন
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয়
উগ্র সংগঠন ইসকন পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে হত্যালীলা খেলছে : মাহিন সরকার