স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষক এবং দিনমজুর। এসব গরীব মানুষেরা রোগে আক্রান্ত হলে তাদের একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। তবে ভরসার সেই সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি ওষুধ। চিকিৎসকরা রোগনির্ণয় করে অসহায় রোগীদের হাতে লিখে দিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির দামী ওষুধের কাগজ। যা কিনে খাওয়ার সক্ষমতা অনেকের নেই। ফলে সরকারি ওষুধ না পেয়ে রোগা শরীর নিয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন অবস্থা চলছে সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
অভিযোগ রয়েছে- বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিন। তাই সরকারি ওষুধ উধাও করে দিয়ে রোগীদের বড় কোম্পানির ওষুধ লিখে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী ওষুধ লিখে দিচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আসা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের টানাহেঁচড়ায় অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন রোগীরা। মাত্র কয়েক বছর আগে ১৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যয়ে ৫০ শয্যা এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে করোনার সময় হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের করুণ দৃশ্য, রোগীদের আর্তনাদ ও নোংরা পরিবেশ। চিকিৎসকের রুম থেকে রোগীরা বের হলেই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের হাতে থাকা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি করছে ও ছবি তুলছেন। যদিও সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষেধ। তারপরেও বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হাসপাতালের গেটে রোগীদের নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে দেখা গেছে।
নাসিমা আক্তার নামে এক ভ্যানচালকের স্ত্রী বলেন, টাকার অভাবে শিশু বাচ্চাকে কোলে করে নিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূর থেকে হাসপাতালে এসেছি সরকারি চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে। কিন্তু চিকিৎসক ওষুধ লিখে দিয়েছে, সরকারি কোনো ওষুধ দেয়নি। সরকারি ফ্রি ওষুধ নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু যে ওষুধ লিখে দিয়েছে তা কেনার মতো টাকা আমার কাছে নেই।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মমিন বলেন, নতুন হাসপাতাল, তাই ওষুধের বাজেট কম। তবে ওষুধ সরবারহ করছি না বা ওষুধ না পেয়ে রোগীরা ক্ষুব্দ হয়ে ফিরে যাচ্ছে, এই তথ্য আমার কাছে নেই। কমন আইটেম ওষুধ সব সময় দিতে পারি। কিছু আনকমন আইটেম ওষুধ দিতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কোনো ওষুধ কোম্পানির সাথে সম্পর্ক নেই। কিছু ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিরা বাইরে এসে রোগীর ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলে। আজকেও আমি কয়েকজন ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিকে বের করে দিয়েছি। এরপরেও ওরা আসে, যা আমি অনেক সময় জানিও না।
নোংরা পরিবেশ সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে নিচতলার দুটি বাথ রুমে পানির লাইন বন্ধ রয়েছে। তারপর সুইপার ও পরিছন্নতাকর্মীর পদে কোনো জনবল নেই। যে কারণে পরিবেশ একটু নোংরা। আর ভবন নির্মাণের পর থেকেই টাইলসগুলো খুলে পড়ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, সরকারি ওষুধ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের কোম্পানির ওষুধ লিখে দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সব সময় সব ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। তারপরও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর কোম্পানি প্রতিনিধিরা যাতে হাসপাতালে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালে যে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সে বিষয় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লোকসানে দিশেহারা খামারিরা
তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না
সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত
যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি
অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ
বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা
ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু
২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে
বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে
ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের
তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত
চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২
ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে
নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ
চুল রাঙিয়ে বিপাকে
রঙচটা বাস চলছেই