এক কর্মচারীতে চলছে নাঙ্গলকোট মৎস্য অফিস
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম
মাত্র একজন কর্মচারী দিয়ে চলছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য অফিস। জনবল সংকটে ৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার মৎস্যচাষি পেশায় জড়িত ব্যক্তিগণ কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চাষিগন।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর থেকে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারি এবং অফিস সহায়কের পদ শূণ্য রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া অবসরজনিত ছুটিতে চলে যায়। লাকসাম উপজেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলীকে নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি মাঝে মধ্যে এসে শুধু গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাজকর্ম করে চলে যায়। বর্তমানে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নুরুল আমিন একা অফিসটির দেখভাল করছেন। নুরুল আমিনকে কোন কাজে বাইরে যেতে হলে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিতে হয়। এতে মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নাঙ্গলকোট উপজেলার মৎস্য চাষিরা মৎস্য অফিসে এসে কোর ধরণের সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।
জানা যায়, উপজেলায় ছোট-বড় সব মিলে প্রায় তিনশটি মৎস্য খামার রয়েছে। তাছাড়া ২০টি মৎস্য হ্যচারি এবং মৎস্য খাদ্য দোকান রয়েছে অর্ধশতাধিক। নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১ হাজার ৮১২ জন। এসব মৎস্য খামারি, হ্যাচারি মালিক এবং জেলেরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসে এসে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ ও সেবা গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তাছাড়া মৎস্য খামারিরা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের আওতায় মৎস্য চাষের কারিগরি জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং মৎস্য চাষের ওপর পরামর্শ গ্রহণ করেন। কিন্তু উপজেলা মৎস্য অফিসটি কর্মকর্তা-কর্মচারী শূণ্য থাকায় মৎস্য চাষি ও বিভিন্ন ব্যক্তিগণ কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ওষুধ দোকানদার বা ওষুধ কোম্পানির ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাছের চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ব্যবসায় লোকসান দিচ্ছেন। ফলে চাষিরা মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্যামেরখিল গ্রামের মৎস্য চাষি আবদুল মান্নান বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসে লোকবল না থাকায় মৎস্য অফিস থেকে মৎস্য চাষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে মৎস্য চাষে খ্যাত নাঙ্গলকোটের মাছ চাষিরা চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ৪১তম বিসিএস উত্তীর্ণ একজনকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি যোগদান করবেন। এছাড়া একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সম্পন্ন হলে অন্যান্য পদগুলোও পূরণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লোকসানে দিশেহারা খামারিরা
তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না
সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত
যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি
অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ
বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা
ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু
২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে
বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে
ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের
তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত
চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২
ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে
নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ
চুল রাঙিয়ে বিপাকে
রঙচটা বাস চলছেই