কেশবপুরে ১০৪ গ্রামে স্থায়ী পানিবদ্ধতা
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
অতি বৃষ্টি, নদ-নদী এবং অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের উপচেপড়া পানিতে কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১০৪টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। মানুষ টংঘর বেধে আশ্রায় নিয়েছে, যশোর-সাতক্ষিরা আঞ্চলিক সড়কের পাশে। পানি নিস্কশনের জন্য পানি উন্নয়ন র্বোড ইতোমধ্যে হরিহর, বুড়িভদ্রা, আপার ভদ্রা ও শ্রীহরি নদীর পলি অপসারণের কাজ শুরু করলেও পানি সরার কোনো লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শত শত মাছ ব্যবসায়ী ঘের মালিকরা জমির মালিক কৃষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক পানি নিষ্কাশের নামে বিঘাপতি ১ হাজার টাকা করে নিয়ে সেচ প্রকল্প নামে ৭টি সেচ গড়ে তুলেছে। যা নিয়ে কৃষকের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী বোরো মৌসুমে চাষিরা যাতে আবাদের সুযোগ পায়, তাকে পুঁজি করে মৎস ঘের মালিক ও এলাকার কিছু স্বার্থানেষী মহল বিভিন্ন সøুইসগেটের মুখে সেচ পাম্প দিয়ে পানি সেচ প্রকল্প চালু করেছেন। আর এই সেচ প্রকল্পের খরচ নির্বাহ করতে জমির মালিক পক্ষের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়ায় জমির মালিক দের বিঘা প্রতি ১ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। কোনো জমির মালিক টাকা দিতে ব্যার্থ হলে, জমির হারির টাকা থেকে কেটে নেয়া হবে বলে প্রচারোনা চলছে। এ খবরে এলাকায় জমির মালিকদের মধ্যে তিব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে উপজেলার ৭টি পয়েন্টে সেচপাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন প্রকল্প শুরু হয়েছে।
উপজেলা মঙ্গকোট ইউনিয়নের বড়েঙ্গা গ্রামের কৃষক তাইফুর জানান, আমার পরিবারে ১শ’ বিঘার অধিক জমি রয়েছে, সেচ কমিটির পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ না করেই বিলের পানি নিষ্কাশনে বড়েঙ্গা সøুইস গেটের মাঁথায় সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাঙ্গা গ্রামের আজিজুর রহমান জানান, ২৭ বিলে তার জমি রয়েছে। জামির পানি সেচের কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিন্তু জমির মালিকের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়ায় বিলের পানি সেঁচ শুরু হয়েছে। সেঁচ কমিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে টাকা খরচ হবে তার অর্ধক টাকা জমির মালিক কে বহন করতে হবে। একইভাবে বুড়–লি সøুইস গেটের মুখে, ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য সুফলাকাঠি ইউনিয়নের ডহুরি বিলের ৮ব্যান্ড সøুইসগেটের মুখে সেচ পাম্প স্থাপন করে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই ভাবে ভরত ভায়না বিলে গেটের মাাঁথায় ইলেকট্রিক সেঁচ মটর স্থাপন করে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে।
উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের এবং সুফলাকাঠি ইউনিয়নের একাংশের পানি নিষ্কাশনের জন্য বুড়–লি গেটের মাথায় পানি নিষ্কাশন সেঁচ কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা মৎসলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান জানান, আসামি বোরো মৌসুমে বিল গুলোতে যাতে ধানের আবাদ করা যায় সেই লক্ষে আমরা সেঁচ কার্যক্রম শুরু করেছি। এখানে যে টাকা খরচ হবে তার অর্ধেক ঘের ব্যবসায়ীরা দেবেন এবং বাকি অর্ধেক জমির মািলকের নিকট থেকে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিছু কিছু জমির মালিকের সাথে কথা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি জমির মালিকরে সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, স্থায়ী পানিবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত হয়ে আগামী বোরো মৌসুমে যাতে বিলগুলোতে কৃষক ধানের চাষ করতে পারে সে লক্ষে বিভিন্ন সেঁচ প্রকল্প করে বিলের পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। বিলগুলোর পানি নিষ্কাশনে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সহযোগিতা বা বরাদ্দ আসেনি। যুটুকু জানা গেছে এলাকার ঘের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এই পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুহাম্মদ ইউনূস, ছাত্র সমন্বয়করা বাংলাদেশে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড : হাসিনা
কোনো একটি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক সঙ্কুচিত হবে না -প্রণয় ভার্মা
আসছে নতুন টাকা, থাকছে ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি
পালানোর পথ খুঁজতে থাকে হানাদার বাহিনী
ভয়ঙ্কর সমস্যা সড়ক দুর্ঘটনা
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার
জলহস্তির কুমড়া খাওয়া ভাইরাল
অক্সফোর্ডে ‘ব্রেন রট’ যোগ
দাম বেশি সুবিধা কম
‘ভারত বয়কট হোক’
হাইকমিশনে হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ -মির্জা ফখরুল
বেশি দুর্নীতি পাসপোর্টে
আওয়ামী সুবিধাভোগী হারুনের পদোন্নতিও ‘বঞ্চিত’ কোটায়!
চাহিদা বেড়েছে জন্মনিবন্ধনের
সীমান্তে যেকোনো অপতৎপরতা রোধে সতর্ক ও প্রস্তুত বিজিবি
ইফায় ১৫ বছরের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দশ গ্রামের মানুষ
ভারতের প্রতিটি রাজ্যে শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিত -কর্নেল অলি
সীতাকুণ্ডে এসিড বোঝাই কাভার্ডভ্যানে আগুন