মার্কিন সমালোচনার পরও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করছে ইসরাইল
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ এএম
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপ অগ্রাহ্য করে দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনড় ইসরাইল। মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ মঙ্গলবার জেরুজালের দক্ষিণে অবস্থিত গুশ এতজিওনের মিশমার ইয়েহুদায় নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরও বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া অব্যাহত থাকবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে আমরা বসতি স্থাপনের অগ্রগতি ধরে রাখব। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন এই বসতি স্থাপনের অনুমতি দিলো ইসরাইল। ফিলিস্তিনিরা বলে আসছে, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ হলো ইসরাইলের পরিকল্পিত উদ্যোগ। এর মাধ্যমে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ফিলিস্তিনিরা, তা নস্যাৎ করে দেওয়া। গত সপ্তাহে ইসরাইলি মন্ত্রীরা একটি পরিকল্পনা বৈঠকে নতুন করে ৩ হাজার ৩০০টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটন হতাশ। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের প্রভাবশালী কট্টর ডানপন্থি নেতা স্মোট্রিচ নিজেই একটি বসতিতে বসবাস করেন। গুশ এতজিওন আঞ্চলিক পরিষদের মেয়র শ্লোমো নিমান বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি এটি হলো আমাদের জবাব। আরও বাসিন্দা, স্কুল, সড়ক স্থাপন করে গুশ এতজিওনকে শক্তিশালী করে যাব আমরা। ইসরাইলি অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠী পিস নাও গত মাসে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির এক প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিম ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭৯টি বসতিতে প্রায় ৭ লাখ ইহুদি সেটেলার বসবাস করেন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে ব্যালন ডি'অর?
হল্যান্ডের গোলে জিতে সবার উপরে সিটি
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে