ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে খেলা খেলছেন নরেন্দ্র মোদি
০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে
আপাতত সরগরম ভারতীয় রাজনীতি। এদিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা না হলেও সাধারণ নির্বাচনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এ আবহে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গেলেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বোচ্চ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার এবং ঝাড়খ-েও কর্মসূচি রয়েছে তার। লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে লক্ষ্য যখন ‘ভোটব্যাঙ্ক’ তখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটা পদক্ষেপের পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। একই ভাবে মোদীর সভাস্থল হিসাবে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরকে বেছে নেয়ার পিছনেও বিশেষ কারণ রয়েছে, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির মাঝে হুগলী জেলার আরামবাগকেই বেছে নেয়া হয়েছে প্রথম সভার জন্য। এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য। তার কথায়, ‘গত লোকসভা ভোটে আরামবাগ কেন্দ্রে স্বল্প ব্যবধানে তৃণমূলের কাছে হেরেছিল বিজেপি। এটা এমন একটা কেন্দ্র যেখানে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ কিন্তু বহু পুরনো। ৯০ এর দশক থেকে এটা চলে আসছে। এখানে একতরফা ভোট হওয়াটাই রীতি।’ এই পরিস্থিতিতে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে স্বল্প ব্যবধানের হারকে ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। ‘২০১৯ সালে হেরে যাওয়ার পর থেকেই তাদের নজর কিন্তু ছিল আরামবাগ কেন্দ্রের দিকে,’ বলেছেন ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি অন্য একটি কারণও আছে আরামবাগ কেন্দ্রে প্রথম সভা করার পিছনে। ‘দলিত এবং মুসলিমদের প্রাধান্য আছে ওই অঞ্চলে। গোঘাট এবং আরামবাগে অনেকটা আদিবাসী এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মানুষ আছেন।’ ‘খানাকুল এবং পুরশুড়াতে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি। দলিত এবং আদিবাসী মানুষদের মধ্যে তারা মুসলিম বিরোধী চিন্তাধারা তৈরি করতে পেরেছে। যে কারণে আরামবাগ বিজেপির নিশানায় রয়েছে,’ বলছেন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পর্যবেক্ষক ভট্টাচার্য। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে দ্বিতীয় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘কৃষ্ণনগরকে বেছে নেয়ার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। এটা মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী কেন্দ্র,’ বলেছেন শিখা মুখার্জী। গত বছর ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বা ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তাকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকেই লড়বেন মহুয়া মৈত্র। ২০১৯ সালে ওই আসনটি জিতেছিলেন মিজ মৈত্র। দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগবে বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে লক্ষ্য হল মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট আদায় করা। স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘কৃষ্ণনগর তৃণমূলের হাতে থাকলেও আগে বিজেপি জিতেছিল। কৃষ্ণনগরকে কেন্দ্র করে সভা করার কারণ মতুয়া সম্প্রদায়।’ ‘বনগাঁ, রানাঘাটের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরেও মতুয়া ভোট যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। কৃষ্ণনগরে সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপি পুরো মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে কথা বলবে।’ কোন রাজনৈতিক দল কোন বিষয়টিকে হাতিয়ার করে ভোটের ময়দানে নামবে তা প্রায় স্পষ্ট। সূত্র : বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে আল্টিমেটাম দিলো মোদি সরকার