হংকংয়ে পাস কঠোর নিরাপত্তা আইন
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
কঠোর নিরাপত্তা আইন পাস করেছে হংকং। দেশটির স্থিতিশীলতার জন্য আইনটিকে জরুরি মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা, নতুন এই আইনটি নাগরিক স্বাধীনতাকে আরওক্ষুণ্ণ করবে। আর্টিকেল ২৩ নামে পরিচিতি পাওয়া এই আইনটি বহিরাগত হস্তক্ষেপ এবং বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে করা হয়েছে যেখানে এমন অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা রাখা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদ-। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে শহরের বেইজিংপন্থী পার্লামেন্ট আইনটি চূড়ান্তভাবে পাশ করলো। এই আইনটি ইতোমধ্যেই হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতা, বিদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং বিদেশি বাহিনীর সাথে যোগসাজশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। হংকংয়ের নেতা জন লি বলেছেন, এই আইন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে সম্ভাব্য নাশকতা ও স্বাধীন হংকংয়ের ধারণাগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয়। তিনি বলছেন, এটি হংকংয়ের মানুষের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যেটির জন্য সবাই ২৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলো। চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছেন, নতুন আইনের দ্রুত প্রণয়ন হংকংয়ের জাতীয় স্বার্থসমূহ রক্ষা করবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। ২০২০ সালে এ রকম একটি আইন পাস হওয়ার পর থেকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অনেক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চীনের পরিচালক সারাহ ব্রুকস বলেছেন, নতুন এই আইন এখানকার মানবাধিকারের ওপর আরেকটি বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। চীনের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মায়া ওয়াং বলেছেন এটি ‘হংকংয়ে কর্তৃত্ববাদের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক নতুন এই আইনটিকে ‘একটি পশ্চাদপসরণমূলক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এটি প্রাক্তন এই ব্রিটিশ কলোনির ‘অধিকার এবং স্বাধীনতায়’ আরও বেশি হস্তক্ষেপ করবে। হংকংয়ের সাধারণ মানুষও এই আইনটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের এই উদ্বেগ মূলত নতুন আইনে বিস্তৃত এবং অস্পষ্ট সংজ্ঞার ব্যবহার নিয়ে। জর্জ নামের একজন বেসরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, “তিনি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা এর সংজ্ঞা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।” “ধরুন আমরা একদল সহকর্মী দুপুরে খেতে গেলাম, এবং আমাদের কাজের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছি। এটি কি কোনো রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করবে? কেউ যদি গোপন কথা বলে এবং তথ্য ছড়িয়ে দেয় তবে, তাহলে কি আমরা গ্রেফতার হবো?” বলেছিলেন জর্জ। তিনি বলেন, “এসব কারণেই আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব ভয় পাচ্ছি। কেননা সহজেই আমরা যে কোন অপরাধে অভিযুক্ত হতে পারি।” জর্জ বলেছিলেন, আগের আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে তিনি তার সহকর্মীদের মধ্যে একটি নতুন বিষয় লক্ষ্য করেন। তার ধারণা তিনি যেখানে কাজ করতেন সেখানকার পাঁচ ভাগের এক ভাগ লোক গত তিন বছরে পদত্যাগ করেছে। অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের দেশের মাটিতে পা রাখতে দিল না ইন্দোনেশিয়া
হাসিনার অবস্থান জানিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন
সুবিদ আলী ভুইয়া ও মৃণাল কান্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল চায় ইসলামী ফ্রন্ট
যশোর আদ্-দ্বীন নার্সি ইনস্টিটিউটে নবীন বরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা
নোয়াখালীতে মাদরাসা থেকে ফেরার পথে নসিমন চাপায় ছাত্রের মৃত্যু
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে আনন্দ মিছিল
আকিজ বেকারিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ থেকে বাঁচতে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহŸান পীর সাহেব চরমোনাই’র
প্রেসিডেন্টের অপসারণ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে
সাতকানিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলারী আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
'কেটে গেছে সকল শংকা, নিশ্চিত হয়েছে ভেন্যু, উন্মুখ দর্শক,আতিফের অপেক্ষা'
টয়লেটের কাজ সেরে সঙ্গে সঙ্গে অজু করা প্রসঙ্গে।
বরিশাল অঞ্চলে ‘জরায়ুমুখ ক্যন্সার’ প্রতিরোধে ৫ লাখ কিশোরীকে ‘এইচপিভি’ টিকাদান কর্মসূচী শুরু
সাহিত্যসমাজে অবক্ষয়
যৌতুক
কবিতার বাঁক বদল এবং নতুন ধারা
মানুষের বিবর্তন
বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবহেলা
তারেক রহমানের স্টেট রিফরমেশন : দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ