কীভাবে করা হয় বুথফেরত সমীক্ষাগুলো? জানুন নেপথ্যের ‘বিজ্ঞান’
০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৯ এএম
ভারতে লোকসভা ভোটপর্ব মিটতেই বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গিয়েছে। যথারীতি চলছে রাজনৈতিক কাটাছেঁড়া। ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সেই কাটাছেঁড়া চলবে। কিন্তু যে বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলের উপর ভিত্তি করে এত বিশ্লেষণ, এত কাটাছেঁড়া, সেটার ভিত্তি কী? এর নেপথ্যে বিজ্ঞানই বা কী? এক্সিট পোল সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই বা কতটা? জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কীভাবে করা হয় এক্সিট পোল?
বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ভোট দেয়া হয়ে গেলে ভোটারদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সাধারণত বুথফেরত সমীক্ষার জন্য ভোটের দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘোরেন সমীক্ষকেরা। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের প্রশ্ন করে মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি এলাকায় এলাকায় ঘুরে বোঝার চেষ্টা করেন ভোটের হাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে ভোট দিয়ে বেরোনোর পর ভোটারদের সামনে ধরা হয় নমুনা ইভিএম। সেখানে গোপনে তারা আবার ভোট দেন। সেই ভোটের উপর ভর করেও সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
‘স্যাম্পল সংগ্রহ’ এবং ‘স্যাম্পল সাইজ’
এক্সিট পোলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্যাম্পল সাইজ এবং স্যাম্পল সংগ্রহ। যত বড়, যত বৈচিত্রপূর্ণ স্যাম্পল সাইজ নেয়া সম্ভব, এক্সিট পোলের ফল তত নিখুঁত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই স্যাম্পল সাইজের মধ্যে আলাদা আলাদা বয়স, আলাদা আলাদা লিঙ্গ, আলাদা আলাদা বয়সসীমা, আলাদা আলাদা জাতি, ধর্মের ভোটার থাকা বাঞ্চনীয়। স্যাম্পল সাইজের শতকরা হারও ভোটারদের হারের মতোই হওয়া উচিত। এর বাইরে সার্বিকভাবে সব এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বোঝা দরকার সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগে।
এক্সিট পোল সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় এক্সিট পোল হুবহু মিলে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফলাফলের যে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল তার কাছাকাছি ফল এলেও আসন সংখ্যার হেরফের হচ্ছে। অনেক সময় এমনও দেখা গিয়েছে এক্সিট পোলের সম্পূর্ণ উলটো ফলাফল আসছে। তাই এই এক্সিট পোলকে ধ্রুব সত্য ধরে নেয়ার যেমন কোনও কারণ নেই, তেমনি পুরোপুরি খারিজ করে দেয়াও বোকামি।
সাম্প্রতিক কালে একাধিক এক্সিট পোল সম্পূর্ণ ভুল হওয়ার নজির দেখা গিয়েছে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যে একুশের বিধানসভায় প্রায় সব এক্সিট পোল তৃণমূল-বিজেপির সমানে সমানে টক্করের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কোনও কোনও সংস্থা এগিয়ে রেখেছিল বিজেপিকে। কিন্তু ফলাফল সম্পূর্ণ উলটো হয়। এক্সিট পোল ভুল হওয়ার আরও উদাহরণ দেখা গিয়েছে সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকের ভোটেও। আসলে ইদানিং বহু সংস্থাই প্রথাগত সমীক্ষা পদ্ধতি এড়িয়ে ফোনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আবার বহু সংস্থার স্যাম্পল সাইজ সংগ্রহের সময় বিজ্ঞান মানা হচ্ছে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল