ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৯ কার্তিক ১৪৩১

সিদ্ধ চালের রফতানি শুল্ক তুলে নিল ভারত

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

সিদ্ধ চালের ওপর থেকে রফতানি শুল্ক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার এক অফিসিয়াল আদেশে এই ঘোষণা দেয় বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক এই দেশটি। নি বাড়াতে গত মাসে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পর এবার কর অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের রফতানি আবার শুরু করার অনুমতি দিয়েছিল। এর অর্থ রফতানিকারক বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রফতানি করতে পারবেন। দেশটি নন-বাসমতি সাদা চাল রফতানির জন্য সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মেট্রিক টনে ৪৯০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় চাল রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি দেব গর্গ বলেছেন, সিদ্ধ চালের ওপর থেকে রফতানি কর অপসারণের সিদ্ধান্ত নতুন মৌসুমের ফসল সম্পর্কে সরকারের আস্থার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে চাল রফতানিকারক সমিতির সভাপতি বি.ভি. কৃষ্ণা রাও বলেছেন, চালের শুল্কমুক্ত রফতানি মূল্য-সংবেদনশীল আফ্রিকান ক্রেতাদের ভারত থেকে কেনাকাটা বাড়াতে উৎসাহিত করবে। আদেশে আরো বলা হয়েছে, ভারত তুষের বাদামী চাল এবং চাল ধানের ওপর ১০ শতাংশ রফতানি শুল্কও বাতিল করেছে।

প্রসঙ্গত, ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রফতানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ১৪ মাস পর গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে চাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে এই মুহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ— বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। তবে চাল রফতানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনা-বেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। সূত্র : এনডিটিভি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাস্তা সংস্কার চাই

রাস্তা সংস্কার চাই

সুন্দরগঞ্জে ১০ বছর পর হত্যা মামলা দায়ের

সুন্দরগঞ্জে ১০ বছর পর হত্যা মামলা দায়ের

সবাই ভিসি হতে চান কেন?

সবাই ভিসি হতে চান কেন?

তারেক রহমানের স্টেট রিফরমেশন : দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ

তারেক রহমানের স্টেট রিফরমেশন : দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ

স্বৈরাচারের দোসররা নানা ইস্যুতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে

স্বৈরাচারের দোসররা নানা ইস্যুতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে

প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতির ‘না’

প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতির ‘না’

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন ইরানি কুস্তিগীর নাঘুসি

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন ইরানি কুস্তিগীর নাঘুসি

ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী তুরস্ক

ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী তুরস্ক

ফোন ওঠাতে গিয়ে দুই পাথরের মাঝে উল্টো হয়ে আটকা পড়লেন নারী

ফোন ওঠাতে গিয়ে দুই পাথরের মাঝে উল্টো হয়ে আটকা পড়লেন নারী

ইরানে পাল্টা হামলায় মার্কিন সমর্থন চায় ইসরাইল

ইরানে পাল্টা হামলায় মার্কিন সমর্থন চায় ইসরাইল

বাংলাদেশ থেকে ১৪০ রোহিঙ্গা নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ায় : ৩ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশ থেকে ১৪০ রোহিঙ্গা নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ায় : ৩ জনের মৃত্যু

সরকারি কর্মীদের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে যোগী

সরকারি কর্মীদের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে যোগী

রাশিয়ায় ৩ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে উ. কোরিয়া

রাশিয়ায় ৩ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে উ. কোরিয়া

ট্রাম্প ‘বয়স্ক ও পাগলাটে’ : বারাক ওবামা

ট্রাম্প ‘বয়স্ক ও পাগলাটে’ : বারাক ওবামা

গণহত্যাকারী লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের রাজনীতি এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করুন কালো টাকা ও পেশীশক্তি রোধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন -মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

গণহত্যাকারী লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের রাজনীতি এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করুন কালো টাকা ও পেশীশক্তি রোধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন -মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি

প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি

আইএসের ইরাক শাখার প্রধান নেতা নিহত

আইএসের ইরাক শাখার প্রধান নেতা নিহত

হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যু নিশ্চিত করল ইসরইল, নীরব হিজবুল্লাহ

হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যু নিশ্চিত করল ইসরইল, নীরব হিজবুল্লাহ

ইউক্রেনের জনসংখ্যা এক কোটি কমে গেছে : জাতিসংঘ

ইউক্রেনের জনসংখ্যা এক কোটি কমে গেছে : জাতিসংঘ

ব্যাংকখাতে আওয়ামী দোসররা এখনো তৎপর

ব্যাংকখাতে আওয়ামী দোসররা এখনো তৎপর