ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সফিউদ্দিনকে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ এ তথ্য জানায়। তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। যদিও সে সময় তিনি কোনো নাম উল্লেখ করেননি। লেবাননের জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসান নাসরাল্লাহ, তার স্থলাভিষিক্ত এবং তার স্থলাভিষিক্তের স্থলাভিষিক্তসহ শত শত সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, তিন সপ্তাহ আগে তাদের বিমান বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী দাহিয়েহতে অবস্থিত হিজবুল্লাহর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চালানো ওই হামলার সময় সেখানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সফিউদ্দিন, সংগঠনটির গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান আলী হুসেইন হাজিমা ও শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিলাল সাইব আইশসহ ২৫ জনেরও বেশি উচ্চপদস্থ নেতা উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েল দাবি করছে, ওই হামলায় হাশেম সফিউদ্দিনসহ সকলেই নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা হাসান নাসরাল্লাহ, তার স্থলাভিষিক্তসহ হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ সিনিয়র নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছি (হামলা চালিয়ে হত্যা করেছি)।’

উল্লেখ্য, বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর তার চাচাতো ভাই হাশেম সফিউদ্দিনকেই তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তার নাম ঘোষণার আগেই তার ব্যাপারে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও তার ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। ফলে এখন ইসরায়েলি বিবৃতিকেই সত্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।