নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে কোন ‘খেলা’ খেলছেন মমতা?
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
প্রায় এক বছরের ব্যবধানে ভারতে জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগে আগে জঙ্গলমহল সফরে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে এই জঙ্গলমহল কার্যত শূন্য হাতে ফিরিয়েছিল তৃণমূলকে। সেই পরিস্থিতি বদলাতে এবার সফরের শুরুতেই জঙ্গলমহলের জ্বলন্ত কুড়মি সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসলে গত কয়েক বছরে জঙ্গলমহলে আদিবাসী এবং কুড়মিদের মধ্যে একটা সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর মূলে রয়েছে কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবি। গত কয়েকবছর ধরে কুড়মিরা আদিবাসী তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থও হয়েছেন তারা। আবার আদিবাসীরা সেটা মানতে নারাজ। আদিবাসীদের ধারণা, কুড়মিরা আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে তাদের অধিকার খর্ব হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ইঙ্গিত দিলেন, কুড়মিদের এই দাবির সঙ্গে তার সহমর্মিতা থাকলেও রাজ্য সরকার নিরুপায়। বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তবে এ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফেও বারবার কেন্দ্রের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী লোকসভা ভোটে আদিবাসী এবং কুড়মিদের বিবাদের সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধান চান। মমতা এদিন ঘোষণা করেছেন, রাজ্যজুড়ে কোথায় কোথায় কুড়মিরা বসবাস করেন, তাদের জনসংখ্যা কত, সেসব নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করছে সরকার। যা কুড়মিদের দাবি পূরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রর উপর চাপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া হিসাবে দেখা হচ্ছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে বলেন,”ঝগড়া আমরা লাগাতে চাই না। মাহাতোদের (মাহাতো কুড়মি জনজাতিভুক্ত) দীর্ঘদিনের দাবি আদিবাসী হওয়ার। এটা আমার হাতে নেই। আমাকে দোষ দেবেন না। ভোট এলে কেউ কেউ আদিবাসী এবং মাহাতোদের ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করে। আমরা সেটা চাই না।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কারও যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে সরাসরি তার কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের দাবি নিয়ে দরবার করেছে। একই সঙ্গে সারি ও সারণা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতেও কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সারি এবং সারণা ধর্মের স্বীকৃতি আবার আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি। অর্থাৎ কুরমিদের পাশাপাশি আদিবাসীদের দাবি নিয়েও সরব মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও জানিয়েছেন, দ্রুত সারি এবং সারণা ধর্মকে স্বীকৃতির দাবি পূরণ না হলে মাঠে নেমে আন্দোলন হবে। আসলে মমতা চাইছেন, লোকসভায় আদিবাসী এবং কুড়মি দুই জনজাতিকেই কাছে টানতে। সেটা করতে পারলে বিজেপির গড়েই গেরুয়া শিবিরকে ভালোমতো ধাক্কা দেয়া যাবে। সূত্র: টিওআই। মৃমৃ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বার্নাব্যুতেই রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে ধরাছোঁয়ার বাইরে বার্সালোনা
ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে ব্যালন ডি'অর?
হল্যান্ডের গোলে জিতে সবার উপরে সিটি
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি