হেরোইনের চেয়ে ৫০০ গুণ শক্তিশালী, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নাইটাজিন
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অতিরিক্ত নাইটাজিন সেবনের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এটি হেরোইনের চেয়ে ৫০০ গুণ পর্যন্ত শক্তিশালী বলে জানা গেছে।
নাইটাজিন সেবন করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাস্তায় মানুষ মারা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে লানসেট পাবলিক হেলথ জার্নালকে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে ‘ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন' লিখেছে, অতিরিক্ত মাদকসেবনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করে শরীরে নাইটাজিনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০২২ সাল থেকে এমন মরদেহের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
১৯৫০-এর দশকে ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহারের জন্য নাইটাজিন আবিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষ ও প্রাণীর শরীরে ব্যবহারের জন্য এটি কখনও অনুমোদন করা হয়নি। হেরোইন বা ক্যানাবিস চাষ করা হলেও নাইটাজিন ও ফেন্টানলের মতো সিন্থেটিক ড্রাগ রাসায়নিক উপাদান দিয়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়।
২০১৯ সালের দিকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাল্টিক দেশগুলোতে নাইটাজিন সেবন শুরু হয়। তবে ১৯৯৮ সালে রাশিয়ায় কিছু মৃত্যুর কারণ নাইটাজিন ছিল বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এগুলো সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ, যার অর্থ এগুলো ‘উপলব্ধি, চেতনা, বোধশক্তি বা মেজাজ এবং আবেগের মতো মানসিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে।'
যখন পাউডার আকারে বিক্রি করা হয় তখন নাইটাজিনের রং হলুদ, খয়েরি বা অফ-হোয়াইট হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, পিল বা বড়িতেও নাইটাজিন ঢোকানো হচ্ছে এবং ‘‘ডায়লডিড ‘এম-৮' ট্যাবলেট এবং অক্সিকোডোন ‘এম৩০' ট্যাবলেটের মতো ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ বলে মিথ্যা-ভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে।''
নাইটাজিন সেবনের প্রভাব অন্যান্য অপিওয়েডের মতো। যেমন উচ্ছ্বাস, অবসাদ, এবং এক ধরণের ঘুম-ঘুম চেতনা। তবে শ্বাসযন্ত্রের ডিপ্রেশন, এমনকি শ্বাস বন্ধও হয়ে যেতে পারে। উৎপাদন খরচ কমাতে অনেক অবৈধ ওষুধের সঙ্গে নাইটাজিন মেশানোর কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অন দ্য মিসইউজ অফ ড্রাগস' এক প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নাইটাজিন হিসেবে এটোনাইটাজিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর শক্তির ক্রম অনুসারে আছে আইসোটোনাইটাজিন, প্রোটোনাইটাজিন, মেটোনাইটাজিন, বুটোনাইটাজিন, এটোডেসনাইটাজিন, ফ্লুনাইটাজিন ও মেটোডেসনাইটাজিন।
নাইটাজিন নিয়ে বিজ্ঞানীদের করা কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এটোনাইটাজিন মরফিনের চেয়ে এক হাজার গুণ শক্তিশালী, আর আইসোটোনাইটাজিন মরফিনের চেয়ে ৫০০ গুন শক্তিশালী। উত্তর আমেরিকায় আইসোটোনাইটাজিন আইএসও বা আইসো হিসেবে পরিচিত। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের দেশের মাটিতে পা রাখতে দিল না ইন্দোনেশিয়া
হাসিনার অবস্থান জানিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন
সুবিদ আলী ভুইয়া ও মৃণাল কান্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল চায় ইসলামী ফ্রন্ট
যশোর আদ্-দ্বীন নার্সি ইনস্টিটিউটে নবীন বরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা
নোয়াখালীতে মাদরাসা থেকে ফেরার পথে নসিমন চাপায় ছাত্রের মৃত্যু
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে আনন্দ মিছিল
আকিজ বেকারিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ থেকে বাঁচতে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহŸান পীর সাহেব চরমোনাই’র
প্রেসিডেন্টের অপসারণ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো উপদেষ্টা পরিষদে
সাতকানিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলারী আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
'কেটে গেছে সকল শংকা, নিশ্চিত হয়েছে ভেন্যু, উন্মুখ দর্শক,আতিফের অপেক্ষা'
টয়লেটের কাজ সেরে সঙ্গে সঙ্গে অজু করা প্রসঙ্গে।
বরিশাল অঞ্চলে ‘জরায়ুমুখ ক্যন্সার’ প্রতিরোধে ৫ লাখ কিশোরীকে ‘এইচপিভি’ টিকাদান কর্মসূচী শুরু
সাহিত্যসমাজে অবক্ষয়
যৌতুক
কবিতার বাঁক বদল এবং নতুন ধারা
মানুষের বিবর্তন
বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবহেলা
তারেক রহমানের স্টেট রিফরমেশন : দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ