গাজায় ইসরাইলের হামলায় আরও ৬৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
০৫ জুন ২০২৪, ০২:১৮ পিএম | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সেখানের হাসপাতালগুলোতে আহতদের সংখ্যা উপচে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গাজা ভূখণ্ডের দুটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। মধ্য গাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি স্থল ও বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ হাসপাতালের মাঠের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় ১৫ জনেরও বেশি শহীদ এবং কয়েক ডজন আহত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছেছেন।’ বাকিরা অন্যান্য স্থানে ইসরাইলের নৃশংস হামলায় নিহত হয়েছেন।
যদি মধ্য গাজার এই এলাকায় ‘আগ্রাসন’ বন্ধ না হয়, তবে নিহতদের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুখপাত্র বলেছেন, আল-আকসা শহীদ হাসপাতালই একমাত্র চিকিৎসা অবকাঠামো যা বর্তমানে এই এলাকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আরও রোগীদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালটি ইতোমধ্যেই ‘আহত লোকে উপচে পড়েছে’, যাদের মধ্যে অনেককে মেঝেতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আকাশ পথে হামলার মধ্যেও গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে স্থল হামলার পরিকল্পনা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকায় গাজার হাসপাতালের পরিস্থিতিও খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমটির এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আল-আকসা হাসপাতালের দৃশ্য খুবই ভয়াবহ। ইসরাইলের রাতভর হামলায় অনেক আহতকে হাসপাতালে আনা হচ্ছে তবে সেখানে পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নেই।
ওই সংবাদদাতা আরও জানান, বুধবার সকালে বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি ট্যাংকের উপস্থিতিতে সেখানকার বেসামরিক লোকজনের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নারী এবং শিশুরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংবাদদাতা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অকস্মাৎ মৃত্যু ইসলামে কাম্য নয়
হাসিনা পালিয়ে না গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো: ইসমাইল সম্রাট
কেরানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০
দস্তগীরের বানোয়াট প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিলেন ম্যাথু মিলার
বাংলাদেশের মাটিতে যত খুন হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যকান্ড হয়েছে সবার বিচার এই মাটিতেই হবে; শামা ওবায়েদ
রাসুল সা. এর জীবনাদর্শই আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র চাবিকাঠি- সিলেটে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী
অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে মিরাজ, শীর্ষ বোলার রাবাদা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা
শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী জ্ঞান-গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী মাছপাড়ায় অবৈধ ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে
মানবাধিকারের নামে সমাকামিতা প্রমোট করা জনগণ মানবে না
ইসরাইলি হামলায় আরও ১০২ ফিলিস্তিনি নিহত
পর্তুগাল জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল সম্পন
শিক্ষার সব স্তরে 'ইসলাম শিক্ষা' বাধ্যতামূলকসহ ৭ দাবি
আয়রন ডোমের আদলে তুরস্কের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ
ইরান সামরিক বাজেট তিন গুণ বাড়াবে
রহস্যঘেরা মায়া সভ্যতার শহরের খোঁজ মেক্সিকোয়
উষ্ণায়নের প্রভাবে মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাতে বিলম্ব
টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা চীনের শীর্ষ ধনী