ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতির অবসরের অধ্যায়,সাফল্য নাকি হতাশার!
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশওয়ান্ত চন্দ্রচূড় রবিবার তার অবসর গ্রহণ করেছেন।তাঁর শেষ সময়ে তিনি ইতিহাসের চোখে কতটুকু মূল্যায়ান পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।তিনি নিজে বলেছিলেন যে,তার মন খুবই উদ্বিগ্ন এবং তিনি ভাবছেন, "আমি কি যা লক্ষ্য করেছিলাম,তা অর্জন করতে পেরেছি?আমি যদি কিছু ভিন্নভাবে করতাম,তবে ইতিহাস আমাকে কীভাবে বিচার করবে?" এই প্রশ্নগুলো তিনি তার শেষ সময়ে আত্মবিশ্লেষণে করেছিলেন।
যশওয়ান্ত চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি হিসেবে মোট আট বছরেরও বেশি সময় দায়ীত্ব পালন করেছেন এবং গত দুই বছর তিনি ভারতের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।তার নেতৃত্বে,ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী আদালত হিসেবে বিবেচিত হয।প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় নাগরিকদের জন্য চূড়ান্ত বিচার প্রদান করা।তিনি ৯৩টি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন,যা তার পূর্বসূরি চারজন বিচারপতির তুলনায় অনেক বেশি।
এই রায়গুলোর মধ্যে সাংবিধানিক ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।এছাড়া,আদালতের শুনানির ডিজিটাইজেশন এবং লাইভস্ট্রিমিং চালু করেও তিনি জনগণের কাছে সুপ্রিম কোর্টের কাজকে আরও সহজে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তবে, চন্দ্রচূড়ের বিচারকাল নিয়ে বেশ কিছু সমালোচনাও রয়েছে।সমালোচকরা বলেন যে,তিনি সরকারের বিরুদ্ধে তেমন দৃঢ় ছিলেন না এবং তার বেশ কিছু রায় ছিল যা সরকারের পক্ষে।
বিশেষত,তিনি রাজনৈতিক সংকট বা সরকারের হাতে থাকা ক্ষমতার ক্ষেত্রে, অনেক সময় সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছেন।কিছু মন্তব্যও বিতর্কিত হয়েছে।সম্প্রতি, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা করছেন,যা অনেকেই বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে।
চন্দ্রচূড় যখন বলেছেন, "আমি ঈশ্বরের কাছে সমাধান চেয়েছিলাম," তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে,কারণ এটি একটি ধর্মীয় মন্তব্য হিসেবে দেখা হয়েছে।এর আগে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের অংশ হিসেবে বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের রায় দিয়েছিলেন,যেখানে মুসলিমদের জন্য আলাদা স্থান বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিন্তু বিতর্কটি এখনও চলমান।
যশওয়ান্ত চন্দ্রচূড় তার অবসরের আগের কিছু মন্তব্যে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, "প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে তারা কোন 'ডিল' করবে।
বিচারকের কাজ হল সংবিধান অনুযায়ী রায় দেওয়া, আর সেটি বিচারাধীন কোনও পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বিরোধিতা নয়।" অবশেষে, তিনি বলেছেন, "আমি আমার কাজ শেষ করার পর সন্তুষ্টি নিয়ে অবসর নিচ্ছি এবং বিশ্বাস করি যে, আমি বিচারব্যবস্থাকে আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় রেখে যাচ্ছি।"
চন্দ্রচূড়ের অবসর গ্রহণের পর তার কর্মজীবন নিয়ে নানা মতামত শোনা যাচ্ছে।তবে, তাঁর অবদান ও সমালোচনার মিশ্রণই তাকে ভারতের বিচারব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিচারপতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তিলকের সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টির নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল ভারত
বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছাড়লেন আবু সাঈদের দুই ভাই
মেন্ডিসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু শ্রীলঙ্কার
রিয়েলিটি শো’র প্রধান বিচারক নাজনীন হাসান খান
অনেক দিন পর সায়ানের একক কনসার্ট
ছাত্র আন্দোলনে ফারুকী ভাইকে মাঠে দেখিনি-হিরো আলম
ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিন চোর আটক
আসিফের গানের মডেল গণবিপ্লবের ভাইরাল কন্যা সিঁথি
গাজায় যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে : অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
বন্য হাতির সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা
সরকারি কৌঁসুলির নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পটুয়াখালীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে কাজ করানোর পর বখশিশ দেওয়া প্রসঙ্গে?
শিক্ষা প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অত্যাবশ্যক
আল্লামা আলহাজ¦ আবুবকর সিদ্দিকি ফুরফুরাভীর জীবন ও কর্ম
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের আশঙ্কা রামরুর আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ
আখেরাতের বাসিন্দা মানুষ মুসাফির দুনিয়ায়
হযরত রাসূল (সা) ঃ আধার রাতে,আলোর প্রদীপ
প্রশ্ন: মসজিদে পানাহারের শরয়ী বিধান কি?
নোয়াখালীতে বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে জুলাই বিপ্লবে আহতদের অবরোধ