পাকিস্তানের কুররামে ‘শিয়া-সুন্নি’সম্প্রদায়ের সংঘাতের উত্তেজনা অব্যাহত
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলা যা আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি সুন্দর পাহাড়ি অঞ্চল।সম্প্রতি সেখানে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।চলমান ভূমি বিরোধের জেরে সম্প্রতি এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে এবং প্রধান মহাসড়কও দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।মহাসড়ক বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর চলাচল ও দৈনন্দিন জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলছে।
চলতি বছর জুলাই মাসে শিয়া ও সুন্নি উপজাতির মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়,যা পরবর্তীতে মারাত্মক সহিংসতায় রূপ নেয়।সংঘাতের ফলে কমপক্ষে ৪৬ জন প্রাণ হারায়,এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন সড়ক চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। তবে এ ধরনের ব্যবস্থা টানা পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।সর্বশেষ অক্টোবর মাসে একটি বহরের ওপর আক্রমণে ১৫ জন নিহত হয়,যার পর থেকে জেলার প্রধান সড়কটি সাধারণ মানুষের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে কুররামের প্রধান শহর পারাচিনারে শান্তির দাবিতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।তারা সরকারের কাছে সড়কটি পুনরায় খুলে দেওয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানায়।আন্দোলনের পর প্রশাসন সপ্তাহে চার দিনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার সঙ্গে শিয়া ও সুন্নি উভয়ের জন্য মিলিত হয়ে বহরের মাধ্যমে চলাচলের অনুমতি দেয়।তবে এলাকায় উত্তেজনা বিদ্যমান এবং সাধারণ মানুষের চলাফেরা,বাজার খোলা ও নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় এই সংঘাতের প্রভাব প্রায় অনেকাংশে রয়ে গেছে।
কুররাম অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরেই উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলে আসছে।২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে সহিংসতার সর্বোচ্চ পরিমাণে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন।কুররামের অবস্থান আফগানিস্তানের খোস্ত,পাকতিয়া ও নানগারহার প্রদেশের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে তালেবান ও আইএসের মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীর হামলা নিয়মিত ঘটে থাকে,যা সহিংসতাকে আরও উসকে দেয়।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতে, মূল সমস্যাটি জমি নিয়ে হলেও সংঘর্ষটি এখন প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে,যেখানে একটি হত্যাকাণ্ডের পর আরেকটি হামলার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। প্রশাসন আশা করছে পরিস্থিতি শান্ত হবে,তবে অনেকে মনে করেন রাজ্য যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কুররামের স্থায়ী বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ জামিল কাজমি বলেন, “দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণেই দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা চলছে।”কাজমি আশংকা প্রকাশ করে বলেন,কুররামের পরিস্থিতি এখন “ একটি বিস্ফোরক-প্রত্যাশি প্রেশার কুকারের মতো।
শেষ পর্যন্ত, কুররামের পরিস্থিতি এমন অবস্থানে আছে যেখানে সামান্য উস্কানিতেই সহিংসতা আবার শুরু হতে পারে।শান্তি বজায় রাখতে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০