রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ
২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৬ এএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৬ এএম

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১’শ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার (২৪ মার্চ) জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান ( জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।
এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।
যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।
জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা
জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।
এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সৌরশক্তিতে চলবে ট্রেন! সুইজারল্যান্ডে বিজ্ঞানের নতুন জয়গাঁথা

এবার ইসরাইলি গুপ্তচরকে প্রকাশ্যে ফাঁসি ইরানের

মেঘনা-ধনাগোদা নদীভাঙন প্রতিরোধে তীর রক্ষা প্রকল্পের লক্ষ্যে মতবিনিময়

কিছুটা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

নর্থ সাউথের পরীক্ষায় পাস করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইকেল আরোহী নিহত

প্রত্যাহার করা হয়েছে চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ, রোববার শুনানি

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বিশ্বনাথে আ’লীগের ৭ নেতাকর্মী জেল হাজতে

পাকিস্তান শত্রুকে জবাব দিতে জানে, ভারতকে হুঁশিয়ারি জেলবন্দি ইমরানের

কমলনগর উপজেলা ভূমি অফিসে এক দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা

জিয়ারতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করলো সিলেট সদর উপজেলা জিয়া মঞ্চ

ভারত ছাড়তে হবে না সব পাকিস্তানিদের, নমনীয় মোদি সরকার

মহেশপুর সীমান্তে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় ৬ বাংলাদেশি আটক

চট্টগ্রামে পুলিশের জালে ধরা পড়লো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাব্বির

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ট্রলিচালকের মৃত্যু

আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে রাজপথে এনসিপি

গলা কেটে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

শেরপুরে কবর থেকে তোলা হলো আন্দোলনে শহীদ আজিজের মরদেহ