ঈমানের পূর্ণতার জন্য চাই পূর্ণ সমর্পণ-১
১৭ মার্চ ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৭ পিএম

পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা গুণবাচক কত নামেই তো নিজের পরিচয় দিয়েছেন। কোথাও রহমান, কোথাও রহিম, কোথাও গফ্ফার, কোথাও কাহহার, কোথাও আযিযুন হাকিম, কোথাও বা গফূরুন হালিম। অধিক পরিমাণে যে নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেসবের মাঝে ‘আযিযুন হাকিম’ অন্যতম। অর্থ-তিনি পরাক্রমশালী, তাঁকে পরাস্ত করার মতো কেউ নেই এবং তিনি হেকমতওয়ালা, প্রজ্ঞাবান, তাঁর কোনো কাজ কোনো সিদ্ধান্তই হেকমতবিহীন নয়।
বিচিত্র এ পৃথিবীতে আমরা বিচিত্র কত কিছু দেখি! প্রতিদিন কত বিচিত্র বিষয়ের মুখোমুখি হই! এর সবই আল্লাহ তায়ালার হেকমত ও প্রজ্ঞার অধীন। আমাদের স্থুল জ্ঞানে আমরা এসবের খুব সামান্যই তৎক্ষণাৎ বুঝে উঠতে পারি। হেকমত কখনো বুঝে আসে কোনো কিছু ঘটে যাওয়ার কিছু সময় পরে, কখনো বা অনেক সময় পরে। কাক্সিক্ষত কোনো বিষয় যখন ঘটে, তখন আমাদের খুশির সীমা থাকে না।
এর রহস্য ও যৌক্তিকতা বুঝতেও কোনো সমস্যা হয় না। সংকট হয় তখনই, যখন অনাকাক্সিক্ষত কোনো কিছু ঘটে। কিন্তু অনেক সময় পরে হলেও, যখন সেই অনাকাক্সিক্ষত বিষয়টির কোনো কল্যাণময় দিক পরিস্ফূট হয় তখন মুমিন বান্দা অবচেতনভাবেই উচ্চারণ করে-আল্লাহর মেহেরবানি, আল্লাহ যা করেন ভালোই করেন! এমনটি আমাদের সবার জীবনেই হয়তো কমবেশি ঘটে থাকবে। কুরআনে কারীমের বাণী কত স্বচ্ছ ও আলোকময়, দেখুন : তোমরা যা অপছন্দ কর, হতে পারে তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর এবং যা তোমরা ভালোবাস সম্ভবত তা তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না। (সূরা বাকারা : ২১৬)।
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কত বিধান আসে। কত ফয়সালাতো হয়। তিনি যা চান তাই হয়। তাঁর সিদ্ধান্ত প্রতিহত করার মতো কেউ নেই। আবার তিনি না চাইলে কোনো কিছু বাস্তবায়নের সাধ্য কারও নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর চাচাত ভাই প্রিয় সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)।
স্নেহের ভাইকে স্নেহের সুরে তিনি একদিন বললেন : কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই চাও, সাহায্য চাইলে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাও। জেনে রেখো, পুরো উম্মত যদি তোমাকে কোনো উপকার করতে সংঘবদ্ধ হয়, তবুও তারা শুধু ততটুকুই করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্যে লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার কোনো ক্ষতি করতে একজোট হয়, তখনও তারা ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে, তোমার যতটুকু ক্ষতি তিনি ফয়সালা করে রেখেছেন। (জামে তিরমিজি : ২৫১৬)।
আল্লাহপাক তো নিজেই বলেছেন : এবং আল্লাহ তোমাকে ক্লেশ দিলে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই। এবং তিনি যদি তোমার মঙ্গল চান তাহলে তাঁর অনুগ্রহ রদ করারও কেউ নেই। আপন বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা ইউনুস : ১০৭)।
পানির মতো সরল বক্তব্য। আল্লাহ চাইলেই হয়, না চাইলে হয় না। যা কিছু হয় তাঁর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই হয়। যা কিছু হয় না তাঁর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই হয় না। কিন্তু ওই যে বলে এলাম-তিনি হাকিম, তিনি প্রজ্ঞাবান, তাই আপাত দৃষ্টিতে তাঁর কোনো ফয়সালার রহস্য আমাদের বুঝে না এলেও আমাদের প্রকৃত কল্যাণ তাতেই নিহিত। মনে-প্রাণে এ বিশ্বাস ধারণ করতে হবে, এ বিশ্বাসকেই লালন করে যেতে হবে। আল্লাহপাকের ফয়সালার সামনে নিজের সবটুকু সমর্পণ করে দিতে হবে।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
আরও পড়ুন

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে -জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ইফতার মাহফিলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

রোজার দিনসমূহের সীমারেখা

ঢাকার বায়ু দূষণে দায়ী ভারত

হাওরে আতঙ্ক বজ্রপাত

তুচ্ছ ঘটনায় দুই সহপাঠীকে হত্যা

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধান কে এই হামজা ইউসুফ?

রাস্তায় নামলেই দুর্ভোগ

বাংলাদেশে শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে

চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু আয়নী ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি