ঈমানের পূর্ণতার জন্যে চাই পূর্ণ সমর্পণ-২
১৮ মার্চ ২০২৩, ১১:০১ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

দুনিয়াতে চলতে গিয়ে আমরা নানান ধরনের বিপদের শিকার হতে পারি। ধন-সম্পদ, বাড়ি-ঘর, সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন এমনকি নিজের শরীরটিও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হতে পারে। বিপদে পরলে যে সবর করতে হয়, আল্লাহ তায়ালার ফয়সালার সামনে নিজেকে পূর্ণরূপে সঁপে দিতে পারলে সেই সবরের পথটিই সুগম হয়। আবার এমনও হতে পারে, অর্থ-কড়ির জন্যে কিংবা পার্থিব অন্য যে কোনো বিষয়ের জন্যে অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারছি না, অথবা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারছি না, তখনো এটাই সান্ত¡না, আমার জন্যে এটাই আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা। আর এ তো শুধু সান্ত¡না নয়, এ সংকটের সমাধানও এতেই নিহিত।
এর বিপরীতে কেউ যদি নিজেকে আল্লাহর ফয়সালার সামনে সঁপে দিতে না পারে, তাহলে হয়তো সে আক্ষেপ করে মনোঃকষ্টে ভুগতে থাকবে। এমনকি একপর্যায়ে-নাউযুবিল্লাহ-সে পরম দয়াময় প্রভুর নামে অভিযোগও করে বসতে পারে-‘আল্লাহ কি শুধু আমাকেই দেখেন’ জাতীয় কথাবার্তা বলে। এভাবে সে নেমে যেতে থাকে অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারে। সঙ্গে ঈমান হারানোর শঙ্কা তো রয়েছেই। এ শঙ্কা যদি সত্য হয় তাহলে তো দুনিয়া-আখেরাত সবই গেল। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর স্পষ্ট বাণী : আদম সন্তানের একটি সৌভাগ্যের দিক হলো, আল্লাহ তার জন্যে যে ফয়সালা করেন সে তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে। আর আদম সন্তানের দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, সে আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করা ছেড়ে দেবে। তার দুর্ভাগ্যের আরেকটি দিক, আল্লাহ তার জন্যে যে ফয়সালা করেন, সে তাতে অসন্তুষ্ট হয়। (জামে তিরমিজি : ২১৫১)।
ওহীর ফয়সালা-আল্লাহপাকের ফয়সালা মেনে নেয়ার মধ্যে আদম সন্তানের সৌভাগ্য নিহিত, আর সে ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হওয়ার মাঝে রয়েছে তার দুর্ভাগ্য। কিন্তু তাই বলে কি চেষ্টা-তদবির কিংবা রাহমানুর রাহিমের দরবারে নিজের কল্যাণ প্রার্থনাও ছেড়ে দিতে হবে? না, বরং মনে রাখতে হবে, চেষ্টা-তদবির ছেড়ে দেয়ার নাম আল্লাহর সামনে নিজেকে সমর্পণ করা নয়। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্যে সাধ্য মতো যতটুকু চেষ্টা করা যায় সবটুকুই করতে হবে। চেষ্টা যেন সফল হয় সেজন্যে আল্লাহ তায়ালার দরবারে দুয়া-মুনাজাতেও মগ্ন হতে হবে।
নিজের সাধ্যটুকু বিলিয়ে দেয়ার পর নিজেকে সঁপে দিতে হবে আল্লাহর ফয়সালার সামনে-আমার যেটুকু করার আমি করেছি, এবার আল্লাহ যে ফয়সালা করেন আমি তাতেই খুশি। মুমিনের বিষয় তো এমন : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা কোনো মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অবকাশ থাকে না। (সূরা আহযাব : ৩৬)।
সবশেষে একটি প্রশ্ন-অনাকাক্সিক্ষত কিছু যখন ঘটে যায় তখন তো মন ব্যথিত হয়। অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এগুলো কি সমর্পণের পরিপন্থি? না, কোথাও কোনো কষ্ট পেলে, শরীর-মন-অর্থসম্পদ-পরিবারপরিজন বিপদাক্রান্ত হলে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রিয়জনের বিরহে মন ব্যথিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিকতাকে ইসলাম অস্বীকার করে না। কিন্তু মানবিক এ অস্থিরতার স্বাভাবিকতার ভেতর দিয়েও আল্লাহপাকের ফয়সালাকে মেনে নিতে হবে কল্যাণময় বিশ্বাসের সঙ্গে। সবরের সঙ্গে এ কল্যাণের বিশ্বাস আর পূর্ণরূপে নিজেকে সমর্পণ ছাড়া যে ঈমানই পূর্ণতা পায় না!
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
আরও পড়ুন

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বদলেযেতে পারে ২০২৪ সালে

মেক্সিকোতে শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী অগ্নিকা-ে মৃত অন্তত ৪০

বিতর্কে নারী ডিসি-ইউএনও

মামলার আগেই র্যাব গ্রেফতার করতে পারে কি না -প্রশ্ন হাইকোর্টের

সুলতানার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি করেছে র্যাব

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

বিএনপি নেতাদের বিবেক-বুদ্ধি-চক্ষুলজ্জা হারিয়ে গেছে

ঢাবি ছাত্রীদের মুখম-ল খোলা রাখার নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

এই তাসকিন দেখেন শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্ন

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও