সেকালের ফেরাউন একালের ফেরাউন-১
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ফিলিস্তিনি মজলুম মুসলমানদের ওপর, বিশেষত ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর জালেম ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এটাকে অনেকেই ফেরাউনের সাথে, ফেরাউনের যুগের সাথে তুলনা করছেন। এটি অনেকটা প্রাসঙ্গিক। বিগত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞগুলো দেখলেও বিষয়টা স্পষ্ট হবে। আর গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে গোটা ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যে অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চলছে সেখানেও তারা বিশেষভাবে শিশুদেরকে টার্গেট করেছে। বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে কিংবা শিশুদের জটলা টার্গেট করে করে বোমা মারছে।
এ পর্যন্ত হাজার হাজার শিশু তাদের হাতে শহীদ হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। এ সবকিছু স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের টার্গেট করছে। ইতিহাসে এ ধরনের শিশুহত্যাকাণ্ডের নজীর একমাত্র ফেরাউনী শাসনামলেই পাওয়া যায়। ঠিক ইসরাইলের পাশেই সেই ফেরাউনী শাসনের দেশটি অবস্থিত- এ যুগের মিশর। এ জাতিও সে গোষ্ঠী থেকেই আসা; অন্তত আত্মিকভাবে তো বটেই।
ইসরাইলীদেরকে এখন অনেকেই ফেরাউন বলছে। বিভিন্ন দেশ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, তারা এ যুগের ফেরাউন। সে হিসেবে তাদেরকে ফেরাউন বলা বা ফেরাউনী চরিত্রের বলা প্রাসঙ্গিক। পবিত্র কুরআন পড়লেও বিষয়টা আমরা খুব সহজে বুঝতে পারব। যারা ইতিহাস সম্পর্কে অবগত তারাও জানেন, ফেরাউন কে?
সে ছিলো একসময়ের মহাসম্রাট। যার কথার বাইরে কারও কিছু করার সাহস ছিলো না। তার হুকুমেই সবকিছু চলত। নিজেকে খোদাও দাবি করেছিল সে। সেই ফেরাউনকে একবার এক জ্যোতিষী বলেছিলো, অচিরেই এক শিশু জন্ম নেবে, যে ভবিষ্যতে আপনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করবে। তার হাতেই আপনার পতন হবে। তখনকার মানুষ জ্যোতিষীদের বিশ্বাস করত।
দুনিয়ার আর দশজন একনায়ক ও জালেমের ক্ষেত্রে যা হয়, ফেরাউনের ক্ষেত্রেও তা ঘটেছে। বুদ্ধিমান হলে তো সে জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে আগ থেকেই ক্ষমতা ছেড়ে পালাত- ‘শিশুর হাতে মরার দরকার নেই। আমি নিজেই চলে যাই।’ কিন্তু দুনিয়ার সব জালেম ও একনায়ক একই পথ অবলম্বন করে। তারা যখন শোনে, অমুক তার বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে, সে তার বিরোধী, সে তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, তখন তাকে দমিয়ে দেয়ার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। হিংস্রতার শেষ পর্যায়ে উপনীত হয়। কিছুতেই দমে না।
এ যুগে আমরা দেখি, দেশে দেশে গুম-খুন-হত্যা-নির্বিচার হত্যা এ রকম বহুকিছুই করতে থাকে জালেমরা। সে যুগে ফেরাউনও তা করেছিলো। সে বলল, এটা তো সহজ কাজ। যে আমার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবে সে তো কেবল জন্মলাভ করেছে, শিশু। সে ঠিক করল, সব শিশুকে মেরে ফেলবে। এতেই তো সব সমস্যা একসাথে সমাধা হয়ে যায়। ফেরাউন সকল নবজাতক শিশুকে হত্যা করার নির্দেশ জারি করল।
সে অনুযায়ী যার ঘরে যতো ছেলে সন্তান হয়েছে সবাইকে হত্যা করা শুরু হয়ে গেলো। কিন্তু আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্ত তো ভিন্ন ছিলো। ফেরাউনের পতন অনিবার্য ছিলো। যুগ যুগ থেকেই ফেরাউনদের পতন অনিবার্যই থাকে। কারো আগে হয়, কারো পরে। পরের ইতিহাস সকলেরই জানা।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র
সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ বার্সা
ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের
সিটির অমরত্বের রাত...
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
মানিকগঞ্জ-ঢাকা রেললাইন প্রসঙ্গে
কমিউনিটি ক্লিনিক দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়