আল ফাজারী: আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের পথিকৃৎ মুসলিম বিজ্ঞানী
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম
আল ফাজারী'র পুরা নাম মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহীম ইবনে হাবীব ইবনে সোলায়মান ইবনে সামরা ইবনে জুনদাব আল ফাজারী। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ। তার পিতা ইব্রাহীম আল ফাজারীও একজন জ্যোতির্বিদ এবং গণিতবিদ ছিলেন। তিনি কোন অঞ্চলের মানুষ ছিলেন সেটা পরিস্কারভাবে জানা যায় না। তবে কোন কোন ঐতিহাসিক তাকে আরব হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আবার কোন কোন ঐতিহাসিক তাকে পারসীয়ান হিসাবে উল্লেখ করেছেন। জানা যায়, আল ফাজারী ৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন এবং ৮০৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
আল-ফাজারী আরবী ও ফারসী ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তিনি বহু বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের অনুবাদক ছিলেন। তিনি অষ্টম শতাব্দীর ইসলামী স্বর্ণযুগের মানুষ ছিলেন। ইসলামী বিশ্বের এবং আধুনিক বিশ্বের প্রথম অ্যাস্ট্রোল্যাব নির্মাণের কৃতিত্বও তাঁর। অ্যাস্ট্রোল্যাব হলো একটি বিস্তৃত নত-পরিমাপক এবং একটি অ্যানালগ ক্যালকুলেটর। যা কিনা জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং সমস্যা সমাধানে সক্ষম একটি যন্ত্র। ঐতিহাসিকভাবে, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং নাবিকরা পথে কিংবা সমুদ্রে চলার সময় তারকা দেখে দিক নির্ধারণর সুবিধায় এটি ব্যবহার করত বলে জানা যায়। যা ইসলামিক স্বর্ণযুগ, ইউরোপীয় মধ্যযুগ, শাস্ত্রীয় প্রাচীনত্ব এবং ইউরোপীয়দের আধুনিক জ্যোতির্বিদদের টেলিস্কোপ আবিষ্কারের যুগের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। তাকে আধুনিক জ্যােতির্বিজ্ঞানের পথিকৃৎ বলা হয়।
ইয়াকুব ইবনে তারিক ও তার পিতার সাথে তিনি ৮ম শতাব্দীতে ভারতীয় গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী "ব্রহ্মগুপ্ত" কর্তৃক সংস্কৃত ভাষায় লিখিত ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পুস্তক "ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত" থেকে আজ-জাজিল আল সিনা-আল-আরব বা "সিন্দহিন্দ" নামে আরবীতে অনুবাদ করতে সহায়তা করেন।
ব্রাহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত হলো ব্রহ্মার সংশোধিত নীতিমালা বা সিদ্ধান্ত। ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রহ্মগুপ্তের লেখা এবং বিশেষত সেই সময়ের তুলনায় একটি বিশাল আকৃতির বই। যা কোন গাণিতিক চিহ্নবিহীন পদ্যে রচিত গ্রন্থ।
গাণিতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর লিখিত এই পুস্তকটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে শূন্য নিয়ে কার্যক্রমের তথা শূন্যের ভূমিকার একটি উত্তম ধারণা, ধনাত্মক বা ঋণাত্মক যেকোন সংখ্যা প্রয়োগের কিছু নিয়ম, বর্গমূল নির্ণয়ের একটি নিয়ম, ধারার সমষ্টি নির্ণয়ের পদ্ধতি উপরন্তু ব্রহ্মগুপ্তের অভেদ ও ব্রহ্মগুপ্তের উপপাদ্য এবং রৈখিক ও দ্বিঘাত সমীকরণ সমাধান। দ্বিঘাত সমীকরণ হচ্ছে প্রাথমিক বীজগাণিতে, চতুর্ভুজ সমমানের সমাধান।
আল ফাজারী'র এই অনুবাদটিই ছিল সেই মাধ্যম, যার দরুন হিন্দু সংখ্যা পদ্ধতি (অর্থাৎ আধুনিক সংখ্যা চিহ্নিতকরণ) ভারত থেকে মুসলিম বিশ্বে স্থানান্তরিত হয়েছিল। যার ফলে আরবের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে নতুন সেতুবন্ধনের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি
আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র
সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ বার্সা
ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের
সিটির অমরত্বের রাত...
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
মানিকগঞ্জ-ঢাকা রেললাইন প্রসঙ্গে