বড় গোনাহ ত্যাগ করুন, ছোট গোনাহ মাফ হবে
১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আল্লাহ তা’আলা বলেন : তোমরা যদি বড় বড় গোনাহ থেকে দুরে থাকো, যা থেকে দুরে থাকার জন্য তোমাদের বলা হচ্ছে, তাহলে তোমাদের ছোট-খাট খারাপ কাজগুলো আমি তোমাদের হিসেব থেকে বাদ দিয়ে দিবো এবং তোমাদের সম্মান ও মর্যাদার জায়গায় প্রবেশ করিয়ে দেবো। (সুরা নিসা : ৩১) আল্লাহ তা’আলা বলেন : প্রকাশ্যে বা গোপনে অশ্লীল বিষয়ের ধারে কাছেও যাবে না। আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না। তিনি তোমাদের এ বিষয়গুলোর নির্দেশ দিয়েছেন, সম্ভবত তোমরা ভেবে-চিন্তে কাজ করবে। (সুরা আন’আম : ১৫১)। আল্লাহ তা’আলা বলেন : আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদের দান করার হুকুম দেন এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুস্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো। ( সুরা নাহল : ৯০)।
আল্লাহ তা’আলা বলেন : যারা বড় বড় গোনাহ এবং প্রকাশ্য ও সর্বজনবিদিত অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকে-তবে ছোট-খাট ত্রুটি-বিচ্যুতি হওয়া ভিন্ন কথা।নিশ্চয়ই তোমার রবের ক্ষমাশীলতা অনেক ব্যাপক। (সুরা নাজম : ৩২)। আল্লাহ তা’আলা বলেন, যা-ই তোমাদের দেয়া হয়েছে তা কেবল দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের উপকরণ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা আছে তা যেমন উত্তম তেমনি চিরস্থায়ী তা সেই সব লোকের জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং তাঁর উপর নির্ভর করে। যারা বড় বড় গোনাহ এবং লজ্জাহীনতার কাজ থেকে বিরত থাকে এবং ক্রোধ উৎপত্তি হলে ক্ষমা করে। (সুরা শূরা:৩৬-৩৭)
এই আয়াতগুলো আলোকে কয়েকটি বড় গোনাহ চিহ্নিত করা হলো:
এক, আল্লাহর সত্তায়, গুণাবলী ও অধিকারে শিরক করা: সবচেয়ে বড় গোনাহ ও পথভ্রষ্টতা হচ্ছে, আল্লাহর সত্তায়, তাঁর গুণাবলীতে, তাঁর ক্ষমতা-ইখতিয়ারের বা তাঁর অধিকারের কোন কোন ক্ষেত্রে কাউকে শরীক করা। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এই তিন প্রকারের শিরকই প্রচলিত রয়েছে। (ক) আল্লাহর সত্তায় শিরক করা। আল্লাহর সত্তায় শরীক করার অর্থ হচ্ছে, ইলাহী সত্তার মৌল উপাদানে কাউকে অংশীদার করা। যেমন খ্রষ্টানদের ত্রিত্ববাদের আকীদা, তৎকালীন আরব মুশরিকদের ফেরেশতাদের আল্লাহর কন্যা গণ্য করা এবং অন্যান্য মুশরিকদের নিজেদের দেবদেবীদেরকে এবং রাজ পরিবারগুলোকে আল্লাহর বংশধর বা দেবজ ব্যক্তিবর্গ হিসেবে গণ্য করা-এসবগুলোই আল্লাহর সত্তায় শরীক করার অন্তর্ভূক্ত। (খ) আল্লাহর গুণাবলীতে শরিক করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর গুণাবলী আল্লাহর জন্য যে অবস্থায় থাকে ঠিক তেমনি অবস্থায় সেগুলোকে বা তার কোনটিকে অন্য কারোর জন্য নির্ধারিত করা। যেমন কারোর সম্পর্কে এ ধারণা পোষন করা যে,সমস্ত অদৃশ্য সত্য তার কাছে দিনের আলোর মতো সুস্পষ্ট। অথবা সে সবকিছু দেখেও সবকিছু শোনে। অথবা সে সবরকমের দোষ-ত্রুটি ও দুর্বলতা মুক্ত একটি সত্তা।
(গ) ক্ষমতা-ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ হচ্ছে, সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন ইলাহ হবার কারণে যে সমস্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত সেগুলোকে বা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটিকে আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য স্বীকার করে নেয়া। যেমন অতিপ্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কাউকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ করা, কারোর অভাব ও প্রয়োজন পূর্ণ করা, কাউকে সাহায্য করা, কারোর হেফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, কারো প্রার্থনা শোনা, ভাগ্য ভাঙ্গাগড়া করা। এ ছাড়া হারাম-হালাল ও জায়েজ-নাজায়েজের সীমানা নির্ধারণ করা এবং মানব জীবনের জন্য আইন-বিধান রচনা করা। এ সবই আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা ও ইখতিয়ার। এর মধ্য থেকে কোন একটিকেই আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য স্বীকার করা শিরক।
(ঘ) অধিকারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ হবার কারণে বান্দাদের ওপর আল্লাহ বিশেষ অধিকার রয়েছে। সে অধিকারসমূহ বা তার মধ্য থেকে কোন একটি অধিকার আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য মেনে নেয়া। যেমন রুকু ও সিজদা করা, বুকে হাত বেঁধে বা হাত জোড় করে দাঁড়ানো, সালামী দেয়া ও আস্তানায় চুম্বন করা, নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বা শ্রেষ্টত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ নযরানা ও কুরবানী পেশ করা, প্রয়োজন পূরণ ও সংকট দূর করার জন্য মানত করা, বিপদ-আপদে সাহায্যের জন্য দু’আ করা এবং এভাবে সম্মান ও মর্যাদা দান করার জন্য অন্যান্য যাবতীয় পদ্ধতি একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত অধিকার। অনুরূপভাবে কাউকে এমন প্রিয় জ্ঞান করা যে, তার প্রতি ভালবাসার মোকাবেলায় অন্য সমস্ত ভালবাসাকে উৎসর্গ করে দেয়া হয় এবং কাউকে এমন ভয় করা যে, গোপনে ও প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় তার অসন্তোষকে ভীতির নজরে দেখা-এসব একমাত্র আল্লাহর অধিকার। আল্লাহর শর্তহীন আনুগত্য করা, তাঁর নির্দেশকে ভুল ও নির্ভুলের মানদ- মনে করা এবং এমন কোন আনুগত্যের শৃংখলমুক্ত একটি স্বতন্ত্র আনুগত্য এবং যার নির্দেশের পেছনে আল্লাহর নির্দেশের সনদ নেই-এসবও আল্লাহর অধিকার। এ অধিকারগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি অধিকারও কাউকে দেয়া হলে, তাকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট নামগুলোর মধ্য থেকে কোন একটির নাম নাম না দিলেও তাকে আল্লাহর সাথে শরীক করা হবে।
দুই, ফাহেশা কাজ করা। আরবীতে ফাহেশা শব্দটি এমন সব কাজে ব্যবহার করা হয় যেগুলো সুস্পষ্ট জঘন্য খারাপ কাজ হিসেবে পরিচিত। আল কুরআনে যিনা-ব্যভিচার, সমকাম, উলংগতা, মিথ্যা দোষারোপ এবং পিতার বিবাহিত স্ত্রীকে বিয়ে করাকে ফাহেশা কাজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাদীসে চুরি ও মদ্যপানের সাথে সাথে ভিক্ষাবৃত্তিকেও ফাহেশ ও অশ্লীল কাজের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। অনুরূপভাবে অন্যান্য সমস্ত নির্লজ্জতার কাজও ফাহেশের অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর ঘোষনা হচ্ছে এ ধরনের কাজ প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনভাবেই করা যাবে না। ব্যভিচার-যিনা তার বিভিন্ন পর্যায় চিন্তা করলে দেখা যায় যে, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনে। তাই এটি একটি বড় গোনাহ। এগুলোর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের অবস্থার দিক থেকে গোনাহের ব্যপারে একটি অন্যটির চাইতে বেশী কঠিণ গোনাহ। যেমন: বিবাহিত মহিলার সাথে যিনা করা অবিবাহিত মেয়ের সাথে যিনা করার তুলানায় অনেক বেশী দুষনীয়। প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা অপ্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করার তুলনায় বেশী খারাপ। মাহরাম মহিলার সাথে যিনা করা অন্য অনাত্মীয় মহিলার সাথে যিনা করা তুলনায় অনেক বেশী পাপ। অন্য কোন জায়গায় যিনা করার তুলনায় মসজিদে যিনা করা বেশী গোনাহ। এই দৃষ্টান্তগুলোতে একই কাজের বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে গোনাহ হবার দিক দিয়ে পর্যায়ের পার্থক্য সূচিত হয়েছে। তিন, অন্যায় হত্যাকান্ড: আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের প্রাণকে হারাম ও মর্যাদা সম্পন্ন ঘোষনা করা হয়েছে। তাকে ন্যায় ও সত্যের খাতিরে ছাড়া কোনক্রমেই ধ্বংস করা যাবে না। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা বড় গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।
চার, পিতা-মাতার সাথে অসদ্ব্যবহার করা: পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। আদব, সম্মান, আনুগত্য, সন্তুষ্টি বিধান, সেবা সবকিছুই সদ্ব্যবহারের অন্তর্ভুক্ত। আল কুরআনের সর্বত্র পিতা-মাতার এ অধিকারকে তাওহীদের বিধানের পরপরই বর্ণনা করা হয়েছে। এ থেকে একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, আল্লাহর পর বান্দার অধিকারের দিক দিয়ে মানুষের ওপর তার পিতা-মাতার অধিকার সর্বাগ্র গণ্য। অধিকারের বিষয়টি ব্যাপক। কারো অধিকার হরণ করা। সে অধিকার আল্লাহর হতে পারে, যা উপড়ে এক নং এর ‘ঘ’ বর্ণনা করা হয়েছে। সেই অধিকার পিতা-মাতার, অন্য মানুষের বা হরণকারীর নিজেরও হতে পারে। তারপর যার অধিকার যতবেশী হবে তার অধিকার হরণও ঠিক তত বেশী বড় গোনাহ হবে। এ জন্য গোনাহকে ‘জুলুম’ও বলা হয়। আর এ জন্য কুরআনে শিরককে বড় জুলুম বলা হয়েছে।
পাঁচ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলামে বড় গোনাহ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে সমস্ত সম্পর্কের সুস্থতা ও বলিষ্ঠতার ওপর মানব জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করে সেগুলো বিকৃত ও ছিন্ন করা। যে সম্পর্ক যতবেশী গুরুত্বপূর্ণ, যা ছিন্ন করলে শান্তি ও নিরাপত্তার যতবেশী ক্ষতি হয় এবং যার ব্যাপারে যত বেশী নিরাপত্তার আশা করা যেতে পারে, তাকে ছিন্ন করা কেটে ফেলা ও নষ্ট করার গোনাহ তত বেশী বড় হয়। আল কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আত্মীয়তার সম্পর্কে বজায় রাখার গুরুত্ব খুব বেশী করে বিবৃত হয়েছে।
ছয়,আল্লাহকে ভয় না করা: উপড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো মূলত: আল্লাহকে ভয় না করার উপর নির্ভরশীল। আল্লাহকে ভয় না করা এবং আল্লাহর মোকাবেবলায় আত্মম্ভরিতা করা, এর ফলে মানুষ আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের পরোয়া করে না। তাঁর নাফরমানি করার করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছা করেই এমন কাজ করে যা করতে তিনি নিষেধ করেছেন এবং জেনে বুঝে এমন কাজ থেকে বিরত থাকে যা করার জন্য তিনি হুকুম দিয়েছেন। এই নাফরমানি যে পরিমাণ নির্লজ্জতা, অহমিকা, দু:সাহসের মনোভাব সমৃদ্ধ হবে গোনাহটিও ঠিক সেই পর্যায়ের কঠিন ও মারাত্মক হবে। এই অর্থের প্রেক্ষিতেই গোনাহের জন্য ‘ফিসক’ (ফাসেকী) ও ‘মাসিয়াত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়।
এই সব বড় বড় গোনাহ থেকে যারা দূরে থাকে তাদের ছোট ছোট গোনাহগুলো আল্লাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ সংকীর্ণমনা নন এবং সংকীর্ণ দৃষ্টির অধিকারী নন। ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ধরে তিনি বান্দাকে শাস্তি দেন না। কারো আমলনামায় যদি বড় বড় অপরাধ না থাকে তাহলে ছোটখাটো অপরাধগুলোকে আল্লাহ তা’আলা উপেক্ষা করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনবেন না। তবে কেউ যদি বড় বড় অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা চালানো হবে এবং তাতে ছোটোখাটো অপরাধগুলোও ধর্তব্যের মধ্যে গণ্য হবে এবং সে জন্য পাকড়াও করা হবে।
সুতরাং শুরুতে উল্লেখিত আয়াতগুলোর আলোকে নিজেকে বড় বড় গোনাহ থেকে দূরে রাখুন, তাহলে ছোটোখাটো গোনাহগুলো মহান দয়ালু আল্লাহ মাফ করে দিবেন। বিচারের দিবসে তিনি এগুলো উপেক্ষা করে যাবেন।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়