লুইস এলিজাবেথ গ্লিক এর দুটি কবিতা
১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৯ এএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৯ এএম
লুইস এলিজাবেথ গ্লিক: কবি লুইস এলিজাবেথ গ্লিক ১৯৪২ সালের ২২ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্ম গ্রহন করেন। বাবা ড্যানিয়েল গ্লিক, আর মা বিয়েট্রিস গ্লিক। তাঁর কবিতা অন্ত-কথন ধর্মী। মনেহয় যেন তিনি সরাসরি পাঠকের মুখোমুখি বসে পাঠকের সাথে কথা বলছেন। তাঁর কবিতায় আছে আত্ম-জিজ্ঞাসা, মানসিক সংঘাত, মৃত্যু, আকাঙ্খা ও প্রকৃতি প্রেম। তিনি দুঃখ ও একাকীত্বকে প্রকাশ করেছেন খোলামেলা-ভাবে। গ্রীক ও রোমান মিথোলজী আছে তাঁর কবিতায়। লুইস গ্লিক সমসাময়িক কবিদের মধ্যে অন্যতম শুদ্ধ ও সফল গীতিকবি। তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘ফার্টসবর্ন’ বের হয় ১৯৬৮তে। ১৯৯৩ তে তিনি পুলিৎজার পুরস্কার পান। ২০০৩ সালে তিনি ১২তম সম্মানিত মার্কিন পোয়েট লরেট মনোনীত হন। কবিতার জন্য নোবেল পান ২০২০ সালে। তার কবিতাকে সরল ও সৌন্দর্যময় সুস্পষ্ট কাব্যিক কণ্ঠস্বর বলে আখ্যা দিয়েছে নোবেল কমিটি।
স্মৃতি
একটা অসুখ আমাকে ধরেছিলো
কী কারণে তা কেউ বলতে পারেনি।
যদিও দিনে দিনে জটিলতর হতে থাকলো রোগটা।
কষ্টসাধ্য হয়ে পড়লো স্বাভাবিক চলা-ফেরার অভিনয়, যে ভাবে
বুঝাবো সবাইকে ভাল আছি, আনন্দময় যাপিত জীবন
পরবর্তী মুহূর্তগুলো এমন হলো যে, আমি শুধু
তাদের সংশ্রব চাইতাম যারা অবিকল আমারই মত;
খুব খেটে খুটে তাদের খুঁজে বের করতাম,
সহজসাধ্য ছিল না কাজটা।
তারা সবাই ছিলো আড়ালে, অচেনার আঁচল টেনে।
অবশেষে কিছু সহচর পেয়েছিলাম খুঁজে
যাদের সঙ্গে সময়ে-সময়ে আমি হাঁটতাম।
নদীর তীর ঘেসে একেক জনের সাথে, অকপটে আবার
কথোপকথন শুরু হলো, যা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলামৃ
প্রায়ই আমরা থাকতাম নির্বাক। যা কিছু বলি না কেন
সব কথা ফেলে নদীটার কথা বলতে বেশী ভাল লাগতো
নদীটির দুই কূলে লম্বা জলছোঁয়া তৃণলতা কেঁপে ওঠে
প্রশান্তিময় তরঙ্গের মতো শরতের সমিরনে।
আর মনে হত এই পরিবেশটা আমার আশৈশব চেনা।
যদিও আমার ছেলেবেলার স্মৃতিতে কোন নদী ছিল না,
শুধুমাত্র গৃহ আর আঙ্গিনা।
হয়তো তাই প্রত্যাবর্তণ করছিলাম আমি সেই সময়ে
যে সময় আমার শৈশবের পূর্ববর্তী,
হতে পারে বিস্মৃতির অতলে ঢাকা
এই সেই নদী যার কথা আমার স্মরণে আসে।
তৃষ্ণার্ত পাখি
পাখিটি আসে খুব প্রভাতে।
ডাকে এমন করুণ স্বরে, যেন তার
আপন জনের মৃত্যু হয়েছে।
অথচ কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই
তার সঙ্গী পাখিটি ফিরে আসে হন্তদন্তের মতো।
আমার হৃদয় একটি তৃষ্ণার্ত পাখি, যে প্রতিনিয়ত
ডাকছে প্রিয়ার নাম।
অথচ আমার প্রিয়া কোনোদিন
রাখে না তার পা আমার আঙিনায়।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শহীদদের রক্তের সঙ্গে যাতে বেঈমানি না হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে : নতুন সিইসি
খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস ফিরে আনতে হবে -আল-কাউসার পরিষদ বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময়
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শিখ নেতা হত্যা, মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কানাডার
দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না: এ এম এম বাহাউদ্দীন
আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও: রাহুল গান্ধী
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছেন
সোহেল-টুকু-হেলালসহ খালাস পেলেন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী
ইরানে উদ্ভাবনে নারীদের অবদান ২৪ শতাংশের বেশি
প্রকাশায় ৯৩ শতাংশ নকল করেও পদোন্নতি পান রাবি অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন
বোরহানউদ্দিনে নিখোঁজের দুই ঘন্টা পর লেবু বাগানে মিললো শিশুর লাশ
নাবালক ছাত্রের সঙ্গে জবরদস্তি যৌন সঙ্গম, ৩০ বছরের জেল শিক্ষিকার
সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ
মার্কিন সংসদের নারী শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন না রূপান্তরকামী এমপি
বাগেরহাটে হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন জিওসি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে দুই নারী উদ্ধার