নরখাদক
২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩ এএম
কেউ বিলাসিতা করছে লাল পানিতে
কেউ বিশালতায় করছে হাহাকার
কেউ যা পেয়েছে তাই গিলেছে
কেউ সব পেয়েও বলছে
কি আছে আমার?
কেউ হাজার তারায় রাংগিয়েছে জীবন
কেউ অমাবস্যায় রয়ে যায়
কেউ শব্দে শব্দে অধিকার চেয়ে
ফিরতি বুলেট বুকে খায়।
কেউ ভাই হারিয়ে মুখ বুজে রয়
কেউ বোন হারিয়ে লুকায় চাপা কান্না
কেউ ছেলে হারিয়ে পাগলের মত
ঝরায় চোখের বন্যা।
আমি বলি,
ওরে পাষান তুই আর কি
খাবি বল আমায়?
সব ই দিব তোকে
শুধু ফিরিয়ে দে এ দেশ আমায়।
নিয়তির নোনাজল
মহিউদ্দিন আহমেদ
তোমারে কইছিলাম না মধুর মা দেইখো দেইখো আমাগো এইবার অনেক অনেক ধান অইবো,
মহাজনের ঋণ শোধ কইরাও হাতে নগদ ভালোই থাকবো,
ধুমধাম কইরা আমাগো মধুরে বিয়া দিমুই দিমু,
ছোট দুইডারে মাষ্টার রাইখা পড়ামু,
কতো আর পরের দাদন খাটমু, আর কতো....
তুমি প্রত্যেক বছর ধানের মশুম আইলেই এইসব কও,
পরে দেহি সবই খোয়াবের প্যাঁচাল,
হাত পাও গলা হারা বছরই পেচাইয়া ধরে সুদের জঞ্জাল,
যাওক মাইয়াডা দেখতে দেখতে কতো ডাঙর অইয়া গেলো,
আল্লাহ যেনো এইবার তোমার খোয়াব পুরা করে,
আমাগো দিগে মুখ তুইল্লা চায়,এইবার যেনো....
দেখছো মধুর মা আল্লায় আমাগো দিগে মুখ তুইল্লা চাইছে,
মহাজনের দাদন কাডাইয়াও দুই দুইডা গোলা ভইরা গেছে,
আমি যাই ঘডক বেডারে কই আমি রাজি যা চাইছে সবই দিমু,
এতো আদরের মাইয়া আমার লাগে আরও বেশি দিমু।
অই মধুর বাপ হুনছো বাইরে এতো আওয়াজ অয় কিয়ের,
ওডো জলদি আমার পরান দরফর করে,
ওরে আল্লাহ মধুর মা এইডা উত্তইরা পাহাইরা ঢল,
এই ঢলে কিচ্ছু থাহে না সব ভাসাইয়া লইয়া যায়,
হায় হায় হায় ও আল্লাহ কও কি আমাগো ধান পান গরু বাছুর?
জান বাচলে সব অইবো জান বাচলে সব অইবো,
জলদি পোলাপান লইয়া নাওয়ে ওডো,
দেখতে দেখতে কোমর পানি অইয়া গেছে,
গরু বাছুর গুলারে ছাইড়া দিয়া আইতাছি,
আমার মধু কই আমার মধু কই আমার মধু।
ছোডো দুইডারে নাওয়ে তোলতে গিয়া পাও ফসকাইয়া মনে অয় আমাগো মধু...
আল্লাহ গো কই তুমি ও আল্লাহ কই তুমি,
ঐ যে ঐ যে দূরে একটা গাছে লাল ওড়না দেহা যায়,
আল্লাহ গো আল্লাহ ওড়না তো আছে আমাগো মধু কই
আমাগো মধু কই মারে মধু তুই কই।
ভেবে পাই না যবনিকা কি করে যে টানি, এভাবেই হয়তো উজানের বেড়িবাঁধ,
শয়তানের কারসাজিতে অনেকেই টানে জীবনের ঘানি,
আলতা চিরুনি মেজবানির স্বপ্ন গুলো ভেসে যায় নিয়তির নোনাজলে, চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে আবার আটকে
যায় জীবন, পূরোনো সেই কাহিনি দুইধারি করাতের কলে।
অর্ধমৃত আত্মার অস্তিত্ব
কনক কুমার প্রামানিক
অন্তঃসারশূন্য জীবনে বিলীন অস্তিত্ব
জরায় ধুঁকে ধুঁকে অভিসপ্ত বাঁচার পথ
মুখোশের আড়ালে মেকি সকল সততা
পাপিষ্ঠ এ জীবনে তাই বিফল মনোরথ।
বিপদের অশনি সংকেত আসে বারংবার
মৃত ইচ্ছার বিলোপ ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়
কল্পনার মরা গাঙ জলহীন ধূসর বালিময়
অস্তিত্বের মহাসংকটে শুধু মনে জাগে ভয়।
সোনালী অতীতেরা দূঃখ হয়ে উপহাস করে
অর্ধমৃত সে আত্মা বিষন্নতায় ধুঁকে ধুঁকে মরে।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসছে?