কবিতার বাঁক বদল এবং নতুন ধারা

Daily Inqilab চাষা হাবিব

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম

ঠিক ২০২১ সালের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে টালমাতাল পৃথিবীর আর সব বিষয়ের মতো বাংলা কবিতা এবং বাংলা সাহিত্যের গতিপ্রবাহ নিয়েও চলেছে বিস্তর আলোচনা। সমসাময়িক বাংলা সাহিত্য প্রবাহ নিয়ে বেশকিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। বিশেষত কবিতাসাহিত্য বা আগামি বাংলা কবিতার গতিধারা কী হবে, কী ধরনের কাব্যধারার চর্চা করা উচিত, কোন বাঁকবদলে বাংলা কবিতা প্রবেশ করবে বা করতে যাচ্ছে কিংবা কোন আঙ্গিকের কবিতা চর্চা করা উচিত। আবার বাংলা সাহিত্যের আগামির সামগ্রিক সাহিত্য ধারাই বা কী হবে প্রভৃতি। কেননা ইতোমধ্যেই আমরা কথিত আধুনিক কিংবা উত্তর আধুনিক বাংলা কবিতার ১০০ বছর অতিক্রমের লগ্নে প্রবেশ করেছি। বাংলা কবিতার বাঁকবদল করা কবিতা ‘বিদ্রোহী’র ১০০ বছর আমরা অতিক্রম করছি এ বছরেই কিংবা কল্লোল যুগেরও একশো বছরের ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টির অবতারণা যৌক্তিক এবং সময়ের দাবী বলে সাহিত্য মহলে জোরসে আলোচনা শুরু হয়েছে। একজন সাহিত্যকর্মী কিংবা ভাবুক হিসেবে আমিও এ ভাবনায় শরীক হয়েই আজকের এই কিঞ্চিত আলোচনার অবতারণা। আশা করি সাহিত্যকর্মী, কবি, সাহিত্যিক এবং বৌদ্ধিক মহলে ভাবনার খোরাক হবে।

এখানে একথা প্রণিধানযোগ্য যে, কবিতা কবির একান্ত ভাবনার ফসল, এখানে আরোপিত রীতি বা শৈলীকলা অনাবশ্যক বলেই ধরে নেওয়া হয়, বলা হয় কবি তাঁর ভাবনার বুননে যা এবং যেভাবে বুনেন তাই তাঁর শিল্পস্বত্বা, এখানে জোর করে কিছু করার অবকাশ থাকে না। সময়েই বলে দেয় কোন শিল্প টিকবে কিংবা টিকবে না। তথাপিও এ কথা বলতেই হয়, আমরা দেখি প্রতি ১০০ বছরে কবিতা বা সাহিত্যধারা পরিবর্তন হয়ে নতুন ইরা বা যুগে প্রবেশ করে। আর এ নতুন যুগেই রচিত হয় নতুন ধারা। এভাবেই বাংলা কবিতা যুগে যুগে পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান রুপে এসেছে। বলা হয় পুরনোর প্রতি মনোনিবেশহীনতা মানুষের অন্যতম স্বভাব। কেননা সহজাত প্রবণতা হিসেবে মানুষের চোখ নতুনের দিকে আকর্ষিত হয় দ্রুত। আর এই নতুন মানে হলো সাম্প্রতিক। যার সর্বাধিক চর্চিত ও উচ্চারিত শব্দটি হলো আধুনিক। কিন্তু দেখা যায়- চিন্তা হোক, চেতনা হোক, শিল্প হোক বা সাহিত্য হোক- কখনো দীর্ঘকালের জন্য সেসব আধুনিকতার লেবাস নিয়ে স্থায়ী হতে পারে না। সময়ের মর্জি ও প্রবণতা মাফিক একে প্রতিনিয়ত দৌড়াতে হয়। শব্দের দিক থেকে তাই আধুনিকতা এক যাযাবর। বলা যায় আজ যা তাই আধুনিক। সাহিত্যে যা একটি আন্দোলন, যা মূলত ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে বিকাশ লাভ করে এবং এরপর শতাধিক বর্ষ কেটে গেছে, যে কথা আগেই বলেছি; সামাজিক প্রেক্ষিতেও এখন মনন বড়ই বিবাগী হয়ে উঠেছে, আমরা যা চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি। তাই জন্ম নিয়েছে নতুন ধারা কবিতা, যদিও এ ধারার কাঠামো এবং শৈলী নিয়ে রয়েছে বিস্তর সমালোচনা। আশার কথা এর মধ্যে দিয়েই নতুন ধারা সবল হয়ে সাহিত্যে জায়গা করে নেবে এটাই বাস্তবতা।

বলা হয় কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস, যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রুপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ। পৃথিবী নামক গ্রহের তাবৎ বিষয়কে পুজি করে কবিতা ফলত সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। কবিতার কাঠামো বিচারে কবিতা নানা রকম। যুগে যুগে কবিরা কবিতার বৈশিষ্ট্য ও কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছেন। বলা হয় কবিতা শিল্পের মহত্তম শাখা এবং কবিতা সাহিত্যের আদিমতম শাখাও বটে। কবিতার এক বিশেষ দিক নির্মাণ কলা। প্রকরণের সহযোগে ও মাহাত্ম্যে কোনো ভাব বা বিষয়বস্তু কবিতা হয়ে ওঠে। একজন কবির কাছে, কবিতা লেখা ব্যাপারটা আসলে জড়ের সঙ্গে চৈতন্যের সংগ্রাম, ভাবনার সঙ্গে ভাষার ও ভাষার সঙ্গে ছন্দ, অলঙ্কার ও ধ্বনি মাধুর্যের এক বিরামহীন বাগযুদ্ধ। তাই প্রকরণগত চেতনা কবিতায় অপরিহার্য। এক অর্থে প্রকরণই কবিতার আত্মপরিচয়। কিন্তু কবিতার প্রকৃত আশ্রয় তার বিষয়বস্তু, যার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কবিতার মূল্য অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানেই কবিতার বিষয় ও প্রকরণ আলোচনায় ‘কবিতা কী’ এ প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে দুটো প্রশ্ন অবধারিত ভাবে এসে পড়ে, কবি কে এবং কবিতা কেন? যার উত্তরে যুগে যুগে জন্ম নেয় নতুন ধারার কবিতা। কবিতা সাহিত্যের সূক্ষ্ম ও নিখাদ শিল্প, শ্রেষ্ঠতম শব্দাবলীর শ্রেষ্ঠতম বিন্যাস। শরীরী অবয়বের অন্তরালে এক নতুন অর্থ দ্যোতনার অনন্য ব্যঞ্জনা প্রকাশ হলো কবিতা। কবি কবিতায় শব্দ ব্যবহার করেন পরিকল্পিত, পরিমিত এবং প্রয়োজনীয়। শব্দ ব্যবহারের সার্থকতার ওপরই কবির শিল্প সাফল্য নির্ভর করে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শব্দে শব্দে বিয়া দেয় যেই জন, সেই কবি মোর মতে।’ অর্থাৎ কবিতার শব্দের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন কবি। শব্দ যখন অর্থ বহন করে তখন তার নাম হয় ভাষা। কবির এই ভাষা প্রয়োগের একটি ভঙ্গি থাকে। কাব্য চর্চার প্রাথমিক পর্যায়ে সে ভঙ্গি হয়তো পুরোপুরি গড়ে ওঠে না। পরবর্তীকালে তা সুষ্ঠ আকার পায় এবং দেখলেই চেনা যায় সে ভঙ্গির উদ্গাতাকে এবং তাঁর সময়কে। এভাবেই কবিতা হয়ে ওঠে প্রাসাঙ্গিক এবং কালোত্তীর্ণ। বস্তুত একজন কবিকে চিনতে হলে কবির ভাষা ভঙ্গির অন্তরতম রূপটির সন্ধান করতে হয় আগে। ভাষার সঙ্গে কবির চিন্তার সূত্রটি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। এই যে, ভাষার সঙ্গে চিন্তার সংযোগ, এই সংযোগই কবিকে সাহায্য করে শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে। কবিতার শব্দ ভা-ার গড়ে ওঠে কবির চিন্তা চেতনার আলোকে। এখানেই যুগের খেয়ায় নতুন ধারার অবতারণা আবশ্যক হয়ে উঠে। কারন কবির সময়, প্রচলিত সমাজ কাঠামো, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক এবং প্রযুক্তিগত ভাবদ্যোতনার অবয়বেই গড়ে ওঠে কবিতা বা কাব্যকলা কিংবা সাহিত্য-শিল্প।

আমরা বাংলা কবিতাসাহিত্যের ইতিহাসে দেখি বাংলা ভাষার সংস্কৃতায়নের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের অবস্থানও ছিল বাস্তবোচিত, সদ্বিবেচনাপূর্ণ ও কার্যকর। সংস্কৃতের নিগড় থেকে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করে নতুন ধারার কাব্যশৈলী নির্মান করার ক্ষেত্রে রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে তাঁকে রীতিমতো তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়। তবে কাজী নজরুল ইসলামের নতুন কাব্যভাষা এ ক্ষেত্রে ছিল তাৎপর্যদীপ্ত আরেক মোক্ষম প্রতিবাদ। এই ভাষা তাঁর নিজ সমাজ- শ্রেণির সাহিত্যানুরাগীদের মধ্যকার সংকোচ ও দ্বিধা দূরীকরণেও রেখেছে অসামান্য অবদান। উপনিবেশবাদী শাসন-শোষণে বাঙালি মুসলিম মানসে যে দৈন্য ও হীনম্মন্যতা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল, নজরুলের উদ্দীপ্ত আবির্ভাবে তার অবসান ঘটে। দূর হয় সংকোচপরায়ণ ভীরু স্বভাবের; এভাবে বাঙালি মুসলমানের মধ্যে দেখা দিল আস্থাশীলতার এক অভূতপূর্ব জাগরণ, যার ভাষ্যই হলো আধুনিক বা উত্তর আধুনিক কবিতা। এই জাগরণেরও শতবর্ষ এবার, যেমনটা পূর্বেই বললাম। সুতরাং একটি কবিতা কী অমিত শক্তিধর হয়ে কবিতার বাঁক এবং বাক ধারা বদল করতে পারে, তা ভাবলেই বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। অন্তর্গত কাব্যিক-নান্দনিক আর বিষয়-বৈভবসহ বক্তব্যগত শক্তি তো আছেই, কিন্তু সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রভাববিস্তারী শক্তি আরও বিপুল ও ব্যাপক ছিল বলেই তা যুগ পরিবর্তনের কবিতা হয়ে বাংলা কবিতার গতিপথকে পরিবর্তন করে দেয় বলে বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন। এখানেই নতুন ধারা সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।

আমরা দেখি ভারতীয়, পশ্চিম এশীয় ও ইউরোপীয় এই ত্রিমাত্রিক ঐতিহ্যকে ধারণ করেই আধুনিক বা উত্তর আধুনিক কবিতার জগত পূর্ণায়ত হয়ে উঠেছে। বলা হয়ে থাকে, যে কোনো স্তরের শিল্পকর্ম বা সাহিত্যকর্ম বা যে কোনো পর্যায়ের শিল্পীর জন্যে অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে নিজের শ্রেণিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং নিজেকে নিজের লোকালয়ের জনগণের সাথে মিশিয়ে ফেলা; তবে এই মিশ্রণের সময় শিল্পীকে আবশ্যিকভাবে স্মরণ রাখতে হয় সময় ও বাস্তবতাকে, স্মরণ রাখতে হয় শিল্পীর মস্তিস্ক্যের সক্ষমতাকে, নিজের সেরেব্রাল কোটেক্টকে। কারণ মনে রাখতে না পারলে বড় ভুলে তিনি ভুলেই যান যে, সে অথবা তিনি তার জনতারই অংশমাত্র। ফলে শিল্পী মনের অজান্তেই সরে যান মূল থেকে। এ কথা প্রণিধানযোগ্য যে, জনাংশের ভগ্নাংশ হতে না পারলে একজন মননশীল ব্যক্তি, শিল্পী বা সাহিত্যিক তাঁর সাবলিমিটির চূড়াকে স্পর্শ করতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্পর্শ তো দূরের কথা অনুভূতির এককও নির্মান করতে পারেন না। ফলে তা নিতান্তই হৃদকথায় পরিণত হয়ে ওঠে। এখানে এ কথাও মনে রাখতে হবে একজন শিল্পীকে যাবতীয় হঠকারীতা এবং সুবিধাবাদ হতে যোজন-ফ্যাদম দূরে অবস্থান করতে হয় এবং করা উচিত, না হলে আত্মমগ্নতা এবং বাস্তবতার মাঝে সৃষ্ট হয় কিংবা ধরে ভয়াবহ ফাটল। আর এ ফাটল শিল্পীকে ধ্বংস করে, কারন রচনা নির্মাণকালীন শিল্পীর কাছে আত্মমগ্নতাই প্রবল হয়ে ওঠে। এই আত্মমগ্নতার সময়ই হলো তার নির্মাণের উপযুক্ত সময়। এই সময় তার জ্ঞান বাস্তুচ্যুত হলেই সর্বনাশ যেমনটা আমরা অহরহ দেখছি। এখানেই নতুন ধারা হয়ে উঠে কবির আতুর ঘর, না হলে কবিতা হয়ে যায় পুরনো আর তথাকথিত গতানুগতিক। যা কবিতার নামে খিস্তিখিউর বলে বলা হয়ে থাকে। তাই তো বলা হচ্ছে নতুন ধারার কবিতায় মানুষের মুখের লোকভাষা ও প্রচলিত আত্মীয়বাচক শব্দ ব্যবহারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ।

যদিও কবিতা কী এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর আলোচনা, সমালোচনা এবং মতাদর্শ। আমি বলি হৃদয় তরঙ্গের ছোঁয়ায় আঁকা শাব্দিক এবং শৈল্পিক আলপনাই কবিতা। কবিতা নদীর ঢেউয়ের মতো গতিময়, অনন্ত, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মাতরে বহমান। কবিতায় চূড়ান্ত বলে কিছু হয় না। কবিতা যেনো ঐশীবলে হৃদয়ের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হয়ে কাব্যকথায় কবির ওপর উপর থেকে আরোপিত হয়, যাকে অনেকে কবিতা নাজেল হয় বলে বলে থাকেন। বলা হয়, আধুনিক কবিতা ঠিক ব্ল্যাকহোলের মতো, রহস্যে ঘেরা--জটিল, এর যেনো সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা পাওয়া সত্যিই কঠিন। বিভিন্নজনের কাছে কবিতা বিভিন্ন রকম, বোধের পার্থক্যও স্পষ্ট এবং এটাই বাস্তবতা; আর এজন্যই কবিতা নিরন্তর সৌন্দর্য সাধনার অনিঃশেষ খোরাক। সময়ের ব্যবধানে, জাগতিক বৈচিত্র্যে, বাস্তবতা ও পরিবেশের রকম ফেরে তা নানাবিধ ডালপালা মেলে যেন রহস্যবৃক্ষ। সৌন্দর্য সম্পর্কে যেমন চূড়ান্ত কিছু হয় না, কবিতা সম্পর্কেও ঠিক শেষ কথা বলা যায় না। সময় যেমন পরিবর্তনশীল, সময়ের সাথে সাথে কবিমন, কবিতা, কবিতার ভাষা, শব্দচয়ন, অঙ্গসৌষ্ঠব, ভাবের বিন্যাস সেরকম পরিবর্তশীল। কবিতা কখনোই আধুনিক, পুনরাধুনিক বা উত্তরাধুনিক হয় না। আধুনিক বা পুনরাধুনিক হয় কবিতার ভাষা, তার শব্দ, গঠন, বিষয়ানুযায়ী সময়ের প্রেক্ষাপট। আর সময়েরর পেক্ষাপটে রচিত এ ধারাই হলো নতুন ধারা। নিয়ত পরিবর্তনশীলতাই পৃথিবীর অমোঘ নিয়ম। সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ভূগোল, সাহিত্য, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে যাপনের যাবতীয় অনুষঙ্গের বিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, সংকোচন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন- এসবই কালের ধারার চিরায়ত তাড়া। আর বিশেষ ঘটনা এবং স্মরণ্য প্রতিভা হয় কালের মুখপাত্র। যা স্ব-কালে সে স্রষ্টার স্বরূপ চেনায় এবং চিরকালে তাই-ই স্থির হয়ে যায়। ইতিহাস সাক্ষী। পুরাতন ছেড়ে নতুনের আকর্ষণ মানুষের সহজাত স্বভাব। সাহিত্যের কালান্তরের পবির্তনের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রাচীন থেকে সাম্প্রতিক- এই দুয়ের ব্যবধানের মাঝে ভাষা, শব্দ, বাক্য, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প, বিষয়, গঠনসহ নানাবিধ দিকের পরিবর্তন, সংযোজন, পরিমার্জন গতিধারায় বহমান। সেই প্রস্তর যুগ, ব্রোঞ্জ যুগ, লৌহ যুগ পেরিয়ে আজ চলছে অতি আধুনিক ডিজিটাল যুগ। তাইতো মানুষের মুখের ভাষায় প্রাণময় আবেগিয় আত্মীয়তায়তা বাচক শব্দেই কবিতা রচনা হওয়াই যুক্তিসংগত বলে মনে করা হয় এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একেবারে প্রচলিত মুখের ভাষায় কবিতা রচনা হচ্ছে বলে আমরা দেখতে পাই। তাই তো নতুন ধারার জন্ম হয় যুগে যুগে। যা বাংলা ভাষায় এতদিন প্রায় অনুপিস্থিত ছিল বলে আমি দেখতে পাই। (অসমাপ্ত)

 


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্মৃতির করিডোরে
একূল ওকূল
বাংলা সাহিত্যের অলঙ্কার মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্য
নববর্ষের ঘোষণা
রক্তমাখা শার্ট
আরও

আরও পড়ুন

গাকপোর জোড়া গোল,সালাহর মাইলফলকের রাতে লিভারপুলের জয়

গাকপোর জোড়া গোল,সালাহর মাইলফলকের রাতে লিভারপুলের জয়

১০ জনের লড়াইয়ে শেষ হাসি আর্সেনালের

১০ জনের লড়াইয়ে শেষ হাসি আর্সেনালের

তিলক ভর্মার বীরত্বে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়

তিলক ভর্মার বীরত্বে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়

তিলক ভর্মার বীরত্বে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়

তিলক ভর্মার বীরত্বে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়

সিটি অধিনায়কের নতুন ঠিকানা এখন এসি মিলান

সিটি অধিনায়কের নতুন ঠিকানা এখন এসি মিলান

ছাগলনাইয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

ছাগলনাইয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

মতলবে আদিবা হত্যা মামলার আসামী ইমনের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

মতলবে আদিবা হত্যা মামলার আসামী ইমনের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

গাজাকে বাসোপযোগী করতে হবে

গাজাকে বাসোপযোগী করতে হবে

ড. মুহাম্মদ ইউনূসেই জনগণের আস্থা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসেই জনগণের আস্থা

টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা আর্শদিপ

টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা আর্শদিপ

দ্বিতীয় বছরের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর ঘোষণা কানাডার

দ্বিতীয় বছরের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর ঘোষণা কানাডার

এ দেশকে নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেব না - মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

এ দেশকে নিয়ে আমরা আর কাউকে খেলতে দেব না - মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়

সৈয়দপুরে শ্যাইলার মোড় জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরন

সৈয়দপুরে শ্যাইলার মোড় জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরন

জেলা বিএনপির আমৃত্যু সভাপতি খোরশেদ আলমের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা

জেলা বিএনপির আমৃত্যু সভাপতি খোরশেদ আলমের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা

সৌদির নতুন জাতীয় সংগীতের সুর করবেন মার্কিন তারকা

সৌদির নতুন জাতীয় সংগীতের সুর করবেন মার্কিন তারকা

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করুন  : লুৎফর রহমান খান আজাদ

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করুন  : লুৎফর রহমান খান আজাদ

শেরপুরে আন্তঃউপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

শেরপুরে আন্তঃউপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

সৈয়দপুরে শ্যাইলার মোড় জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ

সৈয়দপুরে শ্যাইলার মোড় জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ

আছরের নামাজে বিলম্ব হয়ে মাগরিবের নামাজ শুরু হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

আছরের নামাজে বিলম্ব হয়ে মাগরিবের নামাজ শুরু হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।