কবি বন্দে আলী মিয়া'র ১১৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
আজ ১৫ ডিসেম্বর কবি বন্দে আলী মিয়া' ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। বন্দে আলী মিয়া তৎকালীন বৃটিশ ভারতের পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯০৬ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের একজন নিম্ন পদের কর্মচারী।
বন্দে আলী মিয়া ছিলেন একাধারে একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর। তিনি পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমী থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে। পরে কলকাতা আর্ট একাডেমীতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯২৫ সালে ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর কলকাতা যাপনের কালে বন্দে আলী মিয়া "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" এবং "কাজী নজরুল ইসলাম" এর সান্নিধ্য লাভ করেন।
পরবর্তীকালে দেশ-বিভাগের পর তিনি বেতারে চাকরি করেন। তিনি বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানীতেও কাজ করেন। তাঁর রচিত পালাগান ও নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪ সালের পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। বেতারে ছোটদের জন্য "সবুজ মেলা" নামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন তিনি। এছাড়াও বেতারে "ছেলে ঘুমাল" নামে একটা শিশুতোষ অনুষ্ঠানে নিয়মিত গল্প লিখতেন।
তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে। বার্ধক্যজনিত কারণে ১৯৭৯ সালের ২৭শে জুন রাজশাহীতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক (১৯৭৮) লাভ করেন। এছাড়াও পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার (১৯৬৭) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মরণোত্তর একুশে পদকে (১৯৮৮) ভূষিত করা হয়। তার প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ২০০টি। তার গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ: ময়নামতির চর (১৯৩২), অনুরাগ (১৯৩২),পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫)। গল্পগ্রন্থ: তাসের ঘর (১৯৫৪)।
উপন্যাস: বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮) প্রভৃতি। নাটক: মসনদ (১৯৩১)। শিশু সাহিত্য: চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), মৃগপরী (১৯৩৭), বোকা জামাই (১৯৩৭), কামাল আতার্তুক (১৯৪০), ডাইনী বউ (১৯৫৯), রূপকথা (১৯৬০), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬০), ছোটদের নজরুল (১৯৬০), শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৬৩), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭), হাদিসের গল্প প্রভৃতি।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ