দুর্নীতির পক্ষে কুবি উপাচার্যের সাফাই, স্যোসাল মিডিয়ায় সমালোচনা
০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম
সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য ড এ. এফ. এম আবদুল মঈন একটি অনুষ্ঠানে দুর্নীতির পক্ষে মন্তব্য করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, টিআইবির পরিচালকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এমনকি সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল সমালোচনা।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, অনেকেই বলেন দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উল্টো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন। যে ঘুষ খায়, সে পদ্মা পাড়ে যায় ইলিশ খেতে। এতে পদ্মা পাড়ের গরীব মানুষেরা ধনী হচ্ছে। দুর্নীতি এভাবে অর্থনীতিতে অবদান রাখে। তাই অর্থনীতিবিদগণ দুর্নীতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে না। তবে যারা পলিটিক্যাল ইকোনমি নিয়ে কাজ করে তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে থাকে। নৈতিকতার জায়গায়ও এটি প্রশ্নবিদ্ধ। তবে অর্থনীতির জায়গা থেকে যদি বলো, দুর্নীতি কখনোই উন্নয়নের জন্য বাঁধা নয়।
এমনকি বিশ^বিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক এ বক্তব্যের নিউজ করলে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, তার এ বক্তব্য সংবিধান পরিপন্থি। বিশেষ করে সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। একই সাথে সরকার প্রধানের জন্য অবমাননাকর, কারণ প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতার ঘোষণা দিয়েছেন।
লেখক, প্রাবন্ধিক ও সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ নামে একজন লিখেছেন, ভাবছি এই উপাচার্য কী পরিমাণ দেশের উন্নতি করেছেন।
ওমর ফারুক নামে একজন লিখেছেন, তারা শিক্ষক নামে জাতির জন্য কলঙ্ক। তাদের কাছ থেকে প্রজন্ম কী শিখবে চুরি ছাড়া। মো. শাহ আলম ফাহিম নামে একজন লিখেছেন, তারা জ্ঞানপাপী দালাল।
জিল্লি রানা নামে একজন লিখেছেন, একজন ভিসি যদি দুর্নীতি শিক্ষা দেয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি ছাড়া কী শিখবে। তাকে বহিস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
মুকুল রহমান নামে একজন লিখেছেন, দুদকের মাধ্যমে ভিসির সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হোক। হাবিব জামিল নামে একজন লিখেছেন, ভিসিকে দুর্নীতি বিষয়ক মন্ত্রী করা হোক। রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতির আয় ব্যয়ের হিসাব রাখার দায়িত্ব পাওয়া এই ভিসির সৌভাগ্য হবে।
মামুনুর রশিদ নামে একজন লিখেছেন, শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। কামাল হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, অবিলম্বে ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি এবং শিক্ষার্থীকে বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
শামিম আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, এই দুর্নীতিবাজ ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। অনেকে লিখেছেন, কীভাবে একটি বিশ^বিদ্যালয়ে উপাচার্য দুর্নীতির পক্ষে সরাসরি সাফাই গান। তার বিরুদ্ধে দুদককে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এছাড়া এ বক্তব্যের পর তাকে এমন পদে রাখার কোনো যুক্তিকতা দেখেন না বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩
সউদী আরবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
শুটিংয়ে গিয়ে আপত্তিকর আচরণ করায় নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
সালাম মুর্শেদীর ৪ মামলার জামিন নামঞ্জুর
সম্প্রীতির জন্য রাখাইন রাজ্যে টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা