ডেঙ্গু রোগীদের ছুটির দিনেও চিকিৎসা দিচ্ছে ডিএনসিসি হাসপাতাল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

 

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিটি হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। সেই চাপ সামলাতে ডিএনসিসি হাসপাতালে সরকারি ছুটির দিনেও রোগীদের সেবা দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মাত্র ২০ টাকার টিকিটে ডেঙ্গুর পরীক্ষাসহ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে হাসপাতালটি। দুর্গাপূজার ছুটিতে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা না আসলেও ডিউটিতে থাকা চিকিৎসকদের সেবা দিতে দেখা যায়।

রোববার (১৩ অক্টোবর) ডিএনসিসি হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর ভিড়। সকাল থেকেই টিকিট কেটে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন। এখানে আসা সেবা-প্রত্যাশীদের ২০ টাকার টিকিট কেটে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আগতদের বেশিরভাগই এসেছেন ডেঙ্গুর উপসর্গ জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত রোগ ও পেটের সমস্যা নিয়ে।

রাজধানীর বাড্ডা থেকে জ্বর নিয়ে গতকাল রাতে হাসপাতালে আসেন আব্দুল গনি মিয়া। রাতেই ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করেন। সকাল ১০টায় রিপোর্ট নেওয়ার জন্য আসেন। পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ আসার পরও দুই লাখের মতো প্লাটিলেট থাকার কারণে ভর্তি নেওয়া হয়নি তাকে। এর পরিবর্তে ব্যবস্থাপত্রে ওমিপ্রাজল, জিংক ডিসপারসিবল ট্যাবলেট ২০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট ও ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি হাসপাতালের তথ্যমতে, সেখানে শয্যা রয়েছে এক হাজার ৫৪টি। তবে রোববার সকাল পর্যন্ত সেখানে ১৯৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউয়ের মধ্যে ফাঁকা ছিল ১৯০টি। হাসপাতালের এইচডিইউ ২৮৮টি বেড ফাঁকা রয়েছে। ৩৭৭টি জেনারেল বেডের মধ্যে ১৭৭টিতে রোগী ভর্তি আছেন। বাকিগুলো ফাঁকাই রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে দীর্ঘ লাইনে থাকা রোগীদের একজন বলেন, তিন-চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। কোনোভাবেই জ্বর কমছে না। স্থানীয় ডাক্তাররা ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বলেছেন। তাই এসেছি। অনেকে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা ও বমি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। যার অবস্থা খারাপ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

মহাখালী থেকে আসা মো. নাদিম বলেন, তিন দিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর ও ঠান্ডা। এখন একটু কমছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে সেটা বেশ বেড়েছিল। সঙ্গে পাতলা পায়খানা। কিছুই খেতে পারছি না। তাই সরকারি ছুটির দিন সত্ত্বেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসি।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার করলো ইরান দূতাবাস
ভারতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে হবে
উত্তরখানে পুলিশ ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় সভা
কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া
ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে জনতার বাজার
আরও

আরও পড়ুন

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০