ভারতের প্রোপাগান্ডা নিয়ে করণীয়সহ প্রধান উপদেষ্টা-রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে যা আলোচনা হলো
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনটি বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হয় বৈঠক। বৈঠকের এজেন্ডা সরকারের পক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তুলে ধরেন।
সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এবি পার্টি যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম বিষয় ভারতসহ সারাবিশ্বে যে প্রোপাগান্ডা চলছে সেগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয়, দ্বিতীয় বিষয় আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিস ভাঙচুর ও পতাকা অপমান নিয়ে করণীয় এবং তৃতীয় বিষয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে গল্প ও উপন্যাস সারা দুনিয়ায় চলছে তা নিয়ে মতামত।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় নির্বাচন কোনো আলোচ্য বিষয় ছিল না। রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয় কী? এ প্রসঙ্গে সবগুলো দল তাদের মতামত তুলে ধরছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভাষ্যে নির্বাচন না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়েছে তারা; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেকে অভিযোগ করছেন, সেবার একটা ঘাটতি সারা দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে; সবাই রাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা সবাই সরকারের সঙ্গে আছি।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, একজন সাবেক মিলিটারি অফিসার যিনি একটি দলেরও প্রধান, তিনি বলেছেন— ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জায়গাটাকে উসকানি ও উদ্বেগ থেকে কীভাবে ভারসাম্য জায়গায় নিয়ে আসা যায় সেজন্য যেন কাজ করি।
দুই/একজন পরামর্শ দিয়েছেন সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে আমরা একটি জাতীয় কমিশন করতে পারি কি না। জাতীয় কমিশন করলে ৫০ বছরের বঞ্চনা বিশেষ করে গত ১৬ বছরে যে বঞ্চনা হয়েছে, তার সত্যতা কতটুকু, তা বের হয়ে আসবে, এমন মতামতও কেউ কেউ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, কিছু মতামত এসেছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রে যে অ্যাম্বেসি আছে সেখানে কর্মরত যারা আছেন তারা এখনো ফ্যাসিবাদী আমলের। তাই ওইসব রাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিদ্বেষ ঠেকানোর জন্য যা যা করা দরকার, তা সরকার করছে না। সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলো থেকে তাদের বের করে এনে অভ্যুত্থানের পক্ষের অফিসারদের নিয়োগ করা দরকার।
প্রোপাগান্ডাকে হ্যান্ডেল করার জন্য রাষ্ট্রের পিআর সেল করা দরকার বলে কিছু রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালে নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন চাপের মধ্যে মেক্সিকোর ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ফেন্টানিল জব্দ
চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে গুলির মুখে ফিরলো পুলিশ
বেনাপোল সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত ও অপতৎপরতা রোধে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি
সিলেট সীমান্তে রয়েল এনফিল্ডসহ প্রায় কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করলো বিজিবি
বিজিবি’র অভিযানে ৯১ লাখ টাকার ভারতীয় কাপড়ভর্তি পিকআপসহ আটক- ১
টাঙ্গাইলে সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে জেলা পুলিশের সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' অভিযোগে তদন্ত
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে বিরোধী গোষ্ঠী
নোয়াখালীতে ১৫০ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পেলেন ৯১ তরুণ-তরুণী
কচুয়ায় হরতালের নামে বিশৃঙ্খলায় বিএনপির কেউ জড়িত নয়
সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম অন্তর্বর্তী সরকার- ধর্ম উপদেষ্টা
বিশ্বে মিথ্যা, গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়াতে শীর্ষে ভারত : সমীক্ষা
আসছে মারজুক-নাবিলার জুটির 'প্রেম ভাই ব্যাচেলর'
বাংলাদেশ নয়, ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্নীতির অভিযোগে কলম্বিয়ার অর্থমন্ত্রী রিকার্ডো বোন্নিলা পদত্যাগ করেছেন
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হলেন ফয়েজ আহম্মদ
ব্যাংকে ১৩৪ কোটি টাকার বিষয়ে মুখ খুলেন মুন্নী সাহা
ভোটারদের হাতে আফ্রিকার শাসক দলের ভরাডুবি