ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতা। গতকাল রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর বাসা থেকে বেরিয়ে যান তারা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির কোন নেতা।

বৈঠকের ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের এবং একটি অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরে মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে আমরা গিয়েছিলাম। বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির এক নেতা বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি বিøংকেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে আব্দুল মোমেন নির্বাচন ও তত্ত¡াবধায়ক সরকার ইস্যুতে বেশকিছু কথা বলেছেন। সেসব কথা বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর দাবীর বিপরীত।
তিনি বলেন, বৈঠকের বিষয়ে এবং নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। কারণ সারাদেশের মানুষই শুধু নয়, গোটা বিশ্ব দেখেছে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

বিএনপির এই নেতা আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান নিয়ে আলোচনা করলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তাই নির্বাচন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে। সেরকম হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।