দেশের সমৃদ্ধির জন্য আর সামরিক শাসন নয় : শেখ হাসিনা
১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের অষ্টম সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যখনই আমাদের দেশ এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল, যার অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের অধীনে, এটি তার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিবন্ধন করেনি। দেশের জনগণকে এটা উপলব্ধি করতে হবে। দেশের সমৃদ্ধির জন্যই আর সামরিক শাসন নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এ সরকার স্বাধীনতার আদর্শ গ্রহণ করেছে এবং প্রশাসন পরিচালনায় তা অনুসরণ করেছে। আমরা এর ফল পাচ্ছি। এই নীতির কারণেই আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।
আগামী প্রজন্মের সুবিধার্থে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ করে এ বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষিত জনসংখ্যার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। একটি জাতির উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বিশ্ব পরিবর্তনশীল। এই সময়টি প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ কী তা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট জনসংখ্যা গড়ে তুলব। আমাদের অর্থনীতি হবে প্রযুক্তিভিত্তিক স্মার্ট অর্থনীতি। এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য ও কৃষিও হবে প্রযুক্তিনির্ভর এবং যান্ত্রিক। আমরা এই সব জিনিসে স্মার্ট হতে চাই। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও সরকারকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, এনসিটিকে প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন এবং সময় উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সমগ্র জনসংখ্যাকে সম্পৃক্ত করে উন্নতি করতে চাই। কেউ পিছিয়ে থাকবে না এবং আমরা সবাইকে নিয়ে সমৃদ্ধির দিকে পা বাড়াব। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অদম্য গতিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হবে। তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সত্তে¡ও বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং হার্ডকোর দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না। সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। কারণ, বিশ্ব বর্তমানে বাংলাদেশকে সম্মান দেখাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করায় বাংলাদেশ এত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। দারিদ্র্য ওক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ অনেকটাই বাস্তবায়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মতো প্রতিটি খাতে অলৌকিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোনো দেশই উন্নতি করতে পারে না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার হজযাত্রী
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে
বিনিয়োগ, অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ, জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা হবে : হাছান মাহমুদ
ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহত
একটুখানি শীতল পানি-১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শোক
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণও শোকাহত
ভারতের ‘জেরক্স ইন্ডিয়া’ হাতিয়েছে ১১২ কোটি
দ্বিতীয় দিনেও তান্ডব অটোচালকদের
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ -ওবায়দুল কাদের
তাপদাহ কেটে দেশজুড়ে বৃষ্টি
পিকে হালদারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার -মির্জা ফখরুল
দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচন আজ
নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ
নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ
ভারত থেকে ১২০০ কোটি টাকায় ২০০ বগি কিনছে রেলওয়ে
নেতানিয়াহু ও হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দাবি
ইসরাইলি আগ্রাসন ও ফাতাহ্র ব্যর্থতায় হামাসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে