বিজেপির মেরুকরণেই ছারখার মণিপুর
০৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৮ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রত্যাবর্তন হওয়ার পর প্রথম দিন লোকসভায় নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার দ্বিতীয় দিনে কার্যত গর্জে উঠলেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। মণিপুর সহিংসতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, বিজেপি-র মেরুকরণের রাজনীতি থেকে পুঁজিপতি শিল্পপতিদের সঙ্গে কেন্দ্রের দহরম মহরমের তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল।
গতকাল সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে আগাগোড়া নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে যান রাহুল। বিজেপি-র মেরুকরণের রাজনীতিই মণিপুরকে ছারখার করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন লোকসভায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘একবারও হিংসাদীর্ণ মণিপুরে যাওয়ার সময় পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার কাছে মণিপুর ভারতের অংশই নয়। এই দেশে মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুরের কথা শোনার মতো সময় নেই সরকারের কাছে। মণিপুরে ভারতকে খুন করা হয়েছে। তাদের রাজনীতি মণিপুরকে নয়, ভারতকে হত্যা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ভারত মানে দেশের মানুষের কণ্ঠ। সেই কণ্ঠস্বরকে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন। মণিপুরের মানুষকে মেরে ভারতকে খুন করা হয়েছে। আপনারা দেশপ্রেমী নন, আপনারা দেশদ্রোহী। সেই কারণেই মণিপুরে যেতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। আপনারা ভারতমাতার রক্ষাকর্তা নন, আপনারা ভারতমাতার খুনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সর্বত্র কেরোসিন ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। মণিপুরে আগুন ধরিয়েছেন। হরিয়ানাতেও একই কাজ করছেন। কারণ ভারতকে খুন করাই আপনাদের লক্ষ্য।
মোদির সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যদি ভারতের কণ্ঠ না শোনেন, তাহলে কার কথা শোনেন? দু’জনের কথা শোনেন। দেখে নিন, আদানির জন্য মোদি কী কী করেছেন। রাবণও দু’জনের কথা শুনতেন, মেঘনাদ এবং কুম্ভকর্ণের। নরেন্দ্র মোদিও দু’জনের কথা শোনেন, অমিত শাহ এবং গৌতম আদানির।’ তিনি বলেন, ‘আমি মণিপুর বলছি বটে, কিন্তু আসল কথা হল, মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুরকে দু’টুকরো করে দিয়েছেন আপনারা। মণিপুরকে বিভাজিত করেছেন, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মণিপুরকে। আমি কিছু দিন আগে মণিপুর গিয়েছিলান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু একবারও যাননি। কারণ তার কাছে মণিপুর ভারত নয়।’
‘শেষ বার আদানিকে গুরুত্ব দেয়ায় সমস্যা হয়েছিল। আপনাদের সিনিয়র নেতারা আহত হয়েছিলেন অত্যন্ত। আপনাদের উপরও হয়ত তার প্রভাব পড়েছিল। তার জন্য দুঃখিত আমি। কিন্তু আমি সত্যই বলেছিলাম। বিজেপি-তে আমার বন্ধুদের ভীত হওয়ার কারণ নেই। কারণ আজ আমার বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়। আদানি-গোলা ছুড়ব না আজ,’ রাহুল যোগ করেছেন।
মণিপুর সহিংসতা নিয়ে গতকাল ভারতের লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বিতীয় দফার আলোচনা ছিল। এদিন সেখানেই বক্তৃতা করেন রাহুল। মোদি পদবী মামলায় গত সাড়ে চার মাস লোকসভার বাইরে ছিলেন তিনি। তার এমপি পদ খারিজ হয়েছিল। দু’বছরের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সাজায় স্থগিতাদেশ দেয়াতেই লোকসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রাহুলের। সূত্র : ডন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩
সউদী আরবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
শুটিংয়ে গিয়ে আপত্তিকর আচরণ করায় নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
সালাম মুর্শেদীর ৪ মামলার জামিন নামঞ্জুর
সম্প্রীতির জন্য রাখাইন রাজ্যে টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গবিসাসের নতুন সভাপতি সানজিদা, সম্পাদক ইভা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খুবির উৎকর্ষ সাধনে পাশে থাকবে ইরান
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের দাবি হরিরামপুর-শিবালয়বাসীর