দ্রব্যমূল্য, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর একটি হোটেলে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানো, আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ বেশ কিছু খাতে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার। এর আগে গত ৩ অক্টোবর ইশতেহারে বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জনসাধারণের মতামত চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় আওয়ামী লীগ। জন সাধারণনের মতামতের ওপর ভিত্তি করেন তৈরী করা হয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার। ২০০৮ সালে ‘দিন বদলের সনদ’ শিরোনামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৪ সালেও ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতারোহণ করে দলটি। একইভাবে ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ ব-দ্বীপ গড়ে তোলার পরিকল্পনা দেওয়া হয়। যদিও এবারের টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের ইশতেহার ঘোষণা করবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের ইশতেহারে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন সরকারের বদলে যাওয়া দৃশ্যপট রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকারসহ তুলে ধরা হয়েছে আগামী নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের সন্ত্রাস রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য- ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে হত দরিদ্রের অবসান হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য নেমে আসবে ৩ শতাংশে। তাছাড়া শিক্ষিত, দক্ষ, চৌকস ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলায়ও মনোযোগ দেবে দলটি।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি জানিয়েছে, এবারের ইশতেহারে যুব ও নারীদের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নানা পরিকল্পনা- যেমন কর্মসংস্থান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ শিল্পায়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতি এবং আর্থিকখাতে সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থনীতিকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের আজকের যে অর্থনৈতিক উল্লম্ফন হয়েছে, সেটি সরকারের বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অবদানে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির গতিশীলতা রক্ষা ও শৃঙ্খলায় গুরুত্ব থাকবে এই ইশতেহারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন নীতির কথা গুরুত্ব পাচ্ছে। এর বাইরে প্রতিটি কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রযুক্তি সহজলভ্য করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাতে ফলন বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, যাতে কর্মসংস্থানের পথ সুগম হয়, ব্যাংকিংখাতে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, এবারের ইশতেহারে ব্যাংকিংখাতসহ অন্য ইস্যুতে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা আনা যায়, সেটি আমরা প্রস্তাব করবো। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র আরো কীভাবে সুদৃঢ় করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সেখানে থাকবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনীয় ইশতেহার প্রসঙ্গে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইশতেহারে আমাদের কিছু অগ্রাধিকার থাকবে- যেমন কৃষি, তরুণ, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট কর্মসূচি ও প্রতিশ্রুতি থাকছে। বর্তমান দেশি-বিদেশি পরিস্থিতিসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ইশতেহার প্রণয়ন করেছি।
#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিগত প্রধান বিচারপতি ছাত্র আন্দোলনকে উপহাস করেছিলেন
গণঅভ্যুত্থানে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার -তারেক রহমান
ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন
ছাত্রলীগ পুনর্বাসন প্রকল্প!
গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত -মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়া আপোষহীন অবস্থান না নিলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্ভব হতো না -ফরহাদ মজহার
সম্পদের পাহাড় আমিনের
গরমের পাশাপাশি বৃষ্টি
রাজধানীতে যত্রতত্র থামছে বাস
পেজারে ভারত-যোগ
সিংহের সাথে খুনসুটি
টিয়াপাখির টিউমার অপসারণ
সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ভাঙচুরে পল্টন থানায় ইফার জিডি
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার ইতিহাস আর সৃষ্টি হবে না
মালয়েশিয়ায় পাসপোর্টের জন্য হাহাকার
বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে জটিলতার শঙ্কা
এদেশে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন হবে