ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোযার প্রতিদান দিবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা

Daily Inqilab মুফতী পিয়ার মাহমুদ

২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম

রোযার পরিচয়: রমযানের রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। রোযা শব্দটি ফারসী। যার আরবী হলো, সওম। সওমের আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। শরীআতের পরিভাষায় সওম বলা হয়, প্রত্যেক সজ্ঞান, প্রাপ্ত বয়ষ্ক মুসলিম নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়তে স্ত্রী সহবাস, পানাহার ও রোযা ভঙ্গকারী যাবতীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা। [বিনায়া:৪/৩; বাদায়েউস সানায়ে:২/৭৫]

রোযার গুরুত: রমযানের চাঁদ দেখা গেলে প্রতিটি সুস্থ, মুকিম, প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষ ও হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্ত বয়ষ্কা নারীর উপর পর্ণ রমযান রোযা রাখা ফরয। এ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।’ (বাকারা: ১৮৩) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ রমযান মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোযা রাখে।’ (বাকারা: ১৮৫) সাহাবী আবু হুরায়রার রা. বাচনিক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন তোমরা রমযানের চাঁদ দেখ, তখন থেকে তোমরা রোযা রাখ। আর যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখ তখন থেকে রোযা বন্ধ কর। যদি আকাশ মেঘলা থাকে, তাহলে ত্রিশ দিন রোযা রাখ। (বুখারী:হাদীস, ১৯০৯; মুসলিম: হাদীস,১০৮০) উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, রমযান মাসের রোযা ফরয ও ইসলামের অবশ্য পালনীয় বিধান। শরয়ী ওযর ব্যতিত তা না রাখার কোনো অবকাশ নেই।

রোযাদারের পুরষ্কার: ১. রোযার প্রতিদান দিবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা: প্রতিটি নেক আমলের রয়েছে নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা পুরষ্কৃত করবেন আমলকারীকে। কিন্তু রোযার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। রোযার প্রতিদান দিবেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। এ ব্যাপারে সাহাবী আবু হুরায়রার বর্ণনায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেক কাজের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোযার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোযা একমাত্র আমার জন্য। এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব। রোযাদার বান্দা কেবলমাত্র আমার জন্যই স্বীয় মনোবাসনা পরিত্যাগ করেছে এবং পানাহার বর্জন করেছে। [মুসলিম: হাদীস:১১৫১ ১/৩৬৩; ইবনে মাজা: ১১৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা: হাদীস:৮৮৯৪, ৬/১০৪] তো সকল সৃষ্টির স্রষ্টা, বিশ^ জাহানের প্রতিপালক, পরম দয়ালু আল্লাহ তাআলা নিজেই যখন এর প্রতিদান দিবেন, তখন কি পরিমাণ দিবেন? এর ব্যাখ্যায় উলামায়ে কিরাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা রোযাদারকে যে পুরষ্কার দিবেন তা মাপা হবে না, ওজন করা হবে না। দিবেন বিনা হিসাবে।

 

এ ব্যবধান কেন?
রোযা ও অন্যান্য আমলের মাঝে এই ব্যবধান কেন হলো? এর জবাবে মুহাদ্দিসীনে কিরাম বলেছেন, যদিও প্রকৃতপক্ষে সকল আমলই হয়ে থাকে আল্লাহর জন্য, তাঁরই সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশায়। তথাপী অন্যান্য সকল ইবাদতের কাঠামোগত ক্রিয়াকলাপ, আকার-আকৃতি ও পদ্ধতিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যের পাশাপাশি রিয়া, লোক দেখানো ও নফসের স্বাদ গ্রহণের সুযোগও বিদ্যমান থাকে। তার অনুভূতির আড়ালেও তা লুকিয়ে থাকতে পারে। নিজে অনুভব করতে না পারলেও তার ভিতরে অবচেতনভাবেও তা বিদ্যমান থাকতে পারে। পক্ষান্তরে রোযার ব্যাপারটি সর্ম্পূণ আলাদা। রোযা কাঠামোগত, আকার-আকৃতি ও নিয়ম-পদ্ধতিতে এমন যে, ‘রেযায়ে মাওলা’ ব্যতিত রোযাদারের অন্য কোনো স্বাদ গ্রহণের বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকে না। নিজে মুখে প্রকাশ না করলে সর্বজ্ঞ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট তা প্রকাশ হয় না। এ কারণেই রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের মাঝে এই ব্যবধান।

২. রোযাদারের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়: মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস হলো, কোনো কজের পরই তার প্রতিদান আশা করে। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষের উপর অবতীর্ণ প্রতিটি বিধানের জন্য ঘোষণা করেছেন আলাদা আলাদা পুরুষ্কার, যেন সে দি¦গুণ উৎসাহ নিয়ে সেই বিধান পালনে সচেষ্ট থাকে। তাই রোযাদারের জন্যও দিয়েছেন অফুরন্ত ও অবারিত নেআমত ও পুরষ্কারের ওয়াদা। সাহাবী আবু হুরায়রার রা. বাচনিক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রোযা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [বুখারী, হাদীস: ১৮৬৩; মুসান্নাফে আবী শায়বা, হাদীস:৮৯৬৯]

৩. রোযার সমতুল্য কোনো কিছুই নেই: মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী হযরত আবু উমামা রা.বর্ণনা করেন, ‘আমি বললাম ইয়া রাসূলাুল্লাহ! আমাকে এমন কোনো আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি বললেন তুমি রোযা রাখ। কারণ রোযার সমকক্ষ কোনো কিছইু নেই। আমি দ্বিতীয়বার তাঁর নিকট এসে একই কথা বললে, তিনি বললেন, রোযা রাখ’। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ২২১৪০, ২২১৪৯; সুনানে নাসাঈ, হাদীস:২৫৩০; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস:১৮৯৩]

৪.জান্নাতে রোযাদারের দরজা ও পানি পান: সাহাবী সাহল ইবনে সা’দ রা. এর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, রোযাদারের জন্য জান্নাতে বিশেষ একটি দরজা আছে। যার নাম রাইয়ান। এই দরজা দিয়ে কেবলমাত্র রোযাদারই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যখন সর্বশেষ রোযাদার ব্যক্তি তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে জান্নাতের পানীয় পান করবে। আর যে সেই পানীয় পান করবে, সে আর কখনও তৃর্ঞ্চাত হবে না। [সুনানে নাসায়ী:১/২৪১; হাদীস:২২৩৬ বুখারী:১/২৫৪ হাদীস:১৮৯৬]

৫.রোযা জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভের ঢাল এবং সুদৃঢ় দূর্গ: সাহাবী হযরত জাবের রা. বলেন, মহানবী সা. বলেছেন, আমাদের মহামহিম রব ইরশাদ করেছেন, রোযা হলো ঢাল স্বরুপ। মুমিন বান্দা এর দ্বারা পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে আত্মরক্ষা করবে। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:১৪৬৬৯; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস:৩৫৭০; বুখারী, হাদীস:১৮৫৬] আবু হুরায়ারার রা. বর্ণনায় এসেছে,নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রোযা হলো জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভের ঢাল এবং সুরক্ষিত, সুদৃঢ় দূর্গ। (শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হদীস: ৩৫৭১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ৯২২৫)

 

৬.রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ: আবু হুরায়রার বর্ণনায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, শপথ সেই সত্তার যার হাতে আমি মুহাম্মাদের জীবন, রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধীময়। [বুখারী, হাদীস; ১৮৯৪, ১/২৫৪; মুসলিম: হাদীস: ১১৫১, ১/৩৬৩ তিরমিযী:১/১৫৯; নাসায়ী:১/২৪০] উল্লেখ্য, বর্ণিত হাদীসে দুর্গন্ধ দ্বারা ঐ দুর্গন্ধকেই বুঝানো হয়েছে, যা পানাহার বর্জনের কারণে পেটের ভিতর থেকে উৎপাদিত হয়। দাঁত ও মুখ অপরিষ্কার রাখার কারণে যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, তা এখানে উদ্দেশ্য নয়। তাই রোযাদার ব্যক্তি দাঁত ও মুখ পরিষ্কার এবং মুখের দুর্গন্ধ দুর করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকবে। কারণ মুখে দুর্গন্ধ থাকলে এর দ¦ারা অন্যের কষ্ট হবে। আর ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যকে কষ্ট দেয়া হারাম।
৭.রোযাদারের দুআ অবশ্যই কবূল হয়: সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইফতারের সময় রোযাদার যখন দুআ করে, তখন তার দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। অর্থ্যাৎ অবশ্যই কবূল হয়। [সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস: ১৭৩৫] মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বার এক বর্ণনায় এসেছে, রোযাদারের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থ্যাৎ অবশ্যই কবুল করা হয়। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস: ৮৯৯৫]

রোযা পরিত্যাগকারীর শাস্তি: রোযা পালনকারীর ব্যাপারে যেভাবে আল্লাহর অফুরন্ত ও অবারিত নিয়ামত ও পুরষ্কারের ওয়াদা বর্ণিত হয়েছে, ঠিক সেভাবে ইচ্ছ্কাৃত রোযা পরিত্যাগকারী ও ভঙ্গকারীর ব্যাপারেও বর্ণিত হয়েছে কঠোর ও চুড়ান্ত শাস্তিবাণী। সাহাবী আবু উমামা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে শুনেছি, আমি একদা ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম, আমার নিকট দুইজন ব্যক্তি এলেন। তারা আমার বাহু দুটি ধরে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেলেন। তারপর বলেলন, আপনি এই পাহাড়ে উঠুন। আমি বললাম, এই পাহাড়ে তো আমি উঠতে পারব না। তারা বলেলন, আমরা আপনাকে উঠতে সহজ করে দিব। এরপর আমি পাহাড়ে উঠলাম। যখন পাহাড়ের সমতল স্থানে পৌঁছলাম, তখন হঠাৎ ভয়ংকর এক আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি বললাম, এ সব কিসের আওয়াজ? তারা বলেলন, জাহান্নামীদের আর্তনাদ। এরপর তারা আমাকে নিয়ে সামনে এগিয়ে চললেন। অকস্মাৎ এমন কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদেরকে তাদের পায়ের মাংসপেশী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিড়ে ফেলা হয়েছে আর তা থেকে রক্ত ঝরছে অনবরত। আমি জিজ্ঞাস করলাম, এরা কারা? তাঁরা উত্তর দিলেন, এরা ঐ সমস্ত লোক যাঁরা ইফতারের সময় হওয়ার পূর্বেই রোযা ভেঙ্গে ফেলে। [সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস:১৯৮৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস:৭৪৪৮; তাবারানী, হাদীস:৭৬৬৬; সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস:৩২৮৬]

আজীবন রোযা রাখলেও রমযানের রোযার হক আদায় করতে পারবে না: রমযানুল মুবারকের রোযা ইচ্ছাকৃত ও বিনা ওযরে ভেঙ্গে ফেললে বা না রাখলে বান্দা গুনাহগার ও জাহান্নামের শাস্তির উপযুক্ত হয় কেবল তাই নয়; ঐ এক রোযার পরিবর্তে আজীবন রোযা রাখলেও রমযানের এক রোযার যে ফযীলত, বরকত ও কল্যাণ তা কখনও লাভ করতে পারবে না এবং কোনোভাবেই এর যথার্থ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে না। এ মর্মে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. ‘যে ব্যক্তি সফর ও কোনো অসুস্থতা ব্যতীত ইচ্ছাকৃত একটি রোযাও ভাঙ্গবে, সে আমৃত্য রোযা রাখলেও সে রোযার যথার্থ ক্ষতিপূরণ আদায় হবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা:৬/১৩৫; ইবনে মাজা:১২০; বুখারী:১/২৫৯] এ ব্যাপারে সাহাবী হযরত আলী রা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত রমযানের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন রোযা রাখলেও সেই রোযার হক আদায় করতে পারবে না।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা:৬/৩২৫; ইবনে মাজা:১২০; বুখারী:১/২৫৯]

রোযার জাগতিক উপকারিতা: রোযার জাগতিক উপকারিতাও নেহায়াত কম নয়। রোযার মাধ্যমে মানুষের ভিতর সবর, শুকর, হামদর্দী বা সহমর্মীতার মত মহৎ গুনাবলী সৃষ্টি হয়। লোভ-লালসা, হিং¯্রতার মত ক্ষতিকারক স্বভাবগুলো দুর হয়ে যায়। এছাড়া বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানও বলে শারীরিক সুস্থতায় রোযার ভূমিকা ব্যাপক ও প্রশংসনীয়। [মাসায়েলে রফআত কাসেমী: ২/২৫-২৬, রোযা অধ্যায়] এই রোযা মূলত অসীম করুণাময় আল্লাহর পক্ষ হতে মুমিন বান্দার জন্য এক বিশেষ উপঢৌকন। আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম উপায়। পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মাধ্যম। আত্মশুদ্ধীর কার্যকর প্রক্রিয়া। ইবাদত-বন্দেগী কবূল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত, শারীআত বর্ণিত যথাযথ পন্থায় রোযা পালন করে রোযার ফাযায়েল ও ফাওয়ায়েদ অর্জনে সদা তৎপর থাকা। আল্লাহ আমাদের তাওফীক করুন। আমীন।

লেখক: ইমাম ও খতীব, মসজিদুল আমান, গাঙ্গিনারপাড়, মোমেনশাহী সিনিয়র মুহাদ্দিস জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলূম, তালতলা মোমেনশাহী

 


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

প্রশ্ন: রোজা ও মাসআলা সম্পর্কে জানতে চাই?
তাকওয়ার রাজপথ
সুদ: আর্থিক সংকট বয়ে আনে
কোরআন মানব জাতির জন্য রহমত ও হেদায়েত
সালাতুত তারাবি: একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা
আরও

আরও পড়ুন

ভুটানের রাজাকে বিদায় জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমিুদ চৌধুরী

ভুটানের রাজাকে বিদায় জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমিুদ চৌধুরী

৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনছে রেলওয়ে

৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনছে রেলওয়ে

মতলবে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

মতলবে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

সাইবার সচেতনতা বাড়াতে মাদরাসা শিক্ষার্থী আবদুল রহমানের প্রতিজ্ঞা

সাইবার সচেতনতা বাড়াতে মাদরাসা শিক্ষার্থী আবদুল রহমানের প্রতিজ্ঞা

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, প্রভাষক মিনুর ফেসবুক পোস্ট ও শোকজ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, প্রভাষক মিনুর ফেসবুক পোস্ট ও শোকজ

সোনার বাংলা এসএসসি ২০০০ ব্যাচের ইফতার মাহফিল

সোনার বাংলা এসএসসি ২০০০ ব্যাচের ইফতার মাহফিল

মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনে হাফেজসহ দুইজন নিহত

মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনে হাফেজসহ দুইজন নিহত

টানা ৮ জয় আবাহনীর

টানা ৮ জয় আবাহনীর

বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়ে অনুশীলনে জিমিরা

বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়ে অনুশীলনে জিমিরা

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটু

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটু

সিরাজ স্মৃতি সংসদে ইয়ারজান

সিরাজ স্মৃতি সংসদে ইয়ারজান

বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই : কৃষিমন্ত্রী

বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই : কৃষিমন্ত্রী

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে  রুখে দিতে হবে

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।