রূপময়ী বসন্তের প্রকৃতি
০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বসন্তের রূপময় নিসর্গে ছুঁয়েছে বাংলার অলিগলি। ফুলের মহিরুহ সাজে সেজেছে বাংলার প্রতিকৃতি। কী অপরূপ, কী মায়ামি বাহারি ফুলের ছড়াছড়ি। মন হনন করা প্রতিক্ষণ প্রতিক্ষেত্র রঙ্গিন করা ফুলে শোভা। মুগ্ধময় কোকিলের কুহুতানে মুখরিত হয় গ্রামীণ পারি দিয়ে শহরের পথঘাট। বসন্তের সবুজ-শ্যামল নয়ন কাড়া দৃশ্যপট নাড়া দিবে মনের মধ্যখানে। শীতের মায়া ছিঁড়ে এসেছে ঋতুরাজ। শুকনো পাতারা ঝরে গিয়ে জন্ম নেবে কচি নতুন পাতার। সেই পত্রপল্লবে, ঘাসে ঘাসে, নদীর কিনারে, কুঞ্জ-বীথিকা আর ওই পাহাড়ে অরণ্যে বসন্ত আজ দেবে নবযৌবনের ডাক।
মহান রবের মহান সৃষ্টির অবলোকনে আলোকময় প্রতিজন। কতটা নিবিড়ভাবে সাজিয়েছেন প্রকৃতির আয়োজন। খোঁজে পাই তাতে চিন্তার খোরাক। পথা হারা আমি দিশা পাই তার প্রতিটি সৃজনে। দেখি নেয়ামত রাজির সারিসারি বৃক্ষমালা, ফুলের মায়াবি বর্ণমালা, পাহাড়ি সৃষ্টির ঝর্ণাধারা, আকাশে ভাসমান মেঘমালা আরও কত কি!! যেমনটি ফুটে উঠে পবিত্র কোরআনে। রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অত:পর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, এরপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য করো যখন সেুগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে।’ (সুরা আনআম:৯৮)।
বসন্তে মুখরিত হয় পুরো অঙ্গন, যেন পাখিদের কিচিরমিচির ও মিষ্টি সুর বসন্তের আগমনী বার্তা। সব পাখিই বসন্তে সৌন্দর্যের এক ভিন্ন আবহ ধারা ছড়িয়ে দেয়৷ কোকিল, পাপিয়াসহ আরো বিচিত্র পাখির মধুর কণ্ঠে মুগ্ধ হয় সবাই। সবুজ পাতার ফাঁকে সবুজ পাখির ওড়াউড়িও মন মাতিয়ে তোলে। কোকিলকে বলা হয় বসন্তের পাখি, গানের পাখি। আমাদের দেশে প্রায় ২০ প্রকারের কোকিল বাস করে। ১৪ প্রকার দেশি, ৬ প্রকার পরিযায়ী। কোকিল কাকের বাসায় ডিম পাড়ে। পরনির্ভরশীল হলেও মিষ্টি গানের কারণেই মানুষ তাকে ভালোবাসে। বসন্তের শুরুতে অনেক অতিথি পাখি এসেও মুখরিত করে তোলে বিভিন্ন লেক ও হ্রদ। আরও যোগ হয় এর সঙ্গে বাঁশির সুর, কৃষকের গলা ছেড়ে গাওয়া গান। তবে বাঁশি বাজানো ও শিস দেওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঘণ্টি শয়তানের বাঁশি।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘ঢোলক হারাম, বাদ্যযন্ত্র হারাম, তবলা হারাম এবং বাঁশিও হারাম।’ (সুনানে বাইহাকি : ২০৭৮৯)।
বসন্তের আগমনে নানা ফুলের গন্ধে বয়ে আনা ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ভরে যায় মন। চোখ জুড়িয়ে যায় বাগানের রক্তিম পলাশ, অশোক, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, কাঞ্চন পারিজাত, মাধবী আর গাঁদার ছোট ছোট ফুলের বাহারি রঙ্গে। রাজধানীবাসীও তাদের নগর জীবনে আজ ভিন্নরূপ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়। কোটি মানুষের কোলাহল পূর্ণ ঢাকা শহরেও মানুষ খোঁজে ফিরে আজ ফাগুনের আনন্দ মোহড়া। এ ঋতুতে আরও ফোটে স্বর্ণশিমুল, রজনীকান্ত, রক্তকরবী, আকআড়কাঁটা, হিমঝুরি, ইউক্যালিপটাস, রক্তকাঞ্চন, কুরচি, কুসুম, গাব, গামারি, গ্লিরিসিডিয়া, ঘোড়ানিম, জংলীবাদাম, জ্যাকারান্ডা, দেবদারু, নাগেশ্বর, পলকজুঁই, পাখিফুল, পালাম, বুদ্ধনারিকেল, মণিমালা, মহুয়া, মাদার, মুচকুন্দ, রুদ্রপলাশ, শাল, ক্যামেলিয়া, বেলীসহ নাম না-জানা হরেক রকম ফুল। খালবিল, নদীনালা আর বিলজুড়ে দেখা যায় সাদা-লাল শাপলা আর পদ্ম ফুলের মিলন মেলা। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তের সাজসাজ রব। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব ধ্বনি। এই সব মনোরম দৃশ্য আমাদের দৃষ্টিকে করে পরিতৃপ্ত, স্মরণ করিয়ে দেয় কোরআনের সেই ভাষ্য ‹তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। আল্লাহ তো অবশ্যই ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু। (সূরা নাহল:১৮)।
বাঙালির ইতিহাস আবেগময়। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিনক্ষণ গুনে গুনে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী মেতে উঠে বসন্ত উন্মাদনায়। শীতকে বিদায়ের মাধ্যমে চলে বসন্ত বরণে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে শূন্যহাতে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।
বসন্ত সামনে রেখে আয়োজন হয় গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙাকী সস্কৃতি। ভালোবাসার মানুষরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।
পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। সে ঐতিহ্যের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারলেই বসন্ত উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে পারবে বাঙালি চেতনাকে। বসন্ত শুধু অশোক-পলাশ-শিমুলেই উচ্ছ্বাসের রং ছড়ায় না, আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্ত রঙিন পুষ্পিত রক্তের স্মৃতির উপরও রং ছড়ায়। ১৯৫২ সালের আট ফাল্গুন বা একুশের পলাশরাঙা দিনের সঙ্গে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ার যেন মিলেমিশে হয়ে আছে একাকার। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত।
বসন্ত ঋতু সবদিক থেকে জনজীবনের জন্য নিরাপদ সময়। এ সময় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো যায়। লেপ-কাঁথা ছাড়া শোয়া যায় যেখানে খুশি সেখানে। প্রকৃতির কাছে এ নিরাপত্তা পেয়ে মানুষ বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে। বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় ধর্মসভা। বিবাহ অনুষ্ঠান ও বউভাতের আয়োজন হয় শহর-গ্রামে সর্বত্র। বছরের সব মেলামোদিনী গান সার্কাসের আয়োজন হয় এ ঋতুতেই। উন্মুক্ত আকাশের নিচে পসরা সাজিয়ে বসে কত দোকানপাট। বাংলায় বসন্ত উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হলেও এর শুরুর একটা ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে, যা অনেকের অজানা। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। তখনকার আর এখনকার ফাল্গুনের এই উৎসব একদম ভিন্ন। গ্রামে গ্রামে যে আয়োজন হতো তাতে আতিসাজ্যের কোনো সুযোগ ছিল না। আর এখন, সব আয়োজনে খাবার থেকে বিনোদন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের লোক দেখানো। মমতা মাখানো মা খালাদের পিঠা পুলি পরিবেশনা যেখানে গ্রামের সব বয়সী শিশুদের অবাধ নিমন্ত্রণ সেই উৎসব এখন বইয়ের পাতাতেও পাওয়া যাবে না। কালের বিবর্তনে আমরা আধুনিক হয়েছি ঠিকই কিন্তু আমাদের বাঙালি সত্বা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
বসন্ত ঋতুর স্থায়িত্বকাল খুবই কম। ফাল্গুন-চৈত্র মাসকে তার স্থায়িত্বকাল ধরা হলেও ফাল্গুনের মাঝামাঝি গ্রীষ্মকাল এসে পড়ে। আমাদের দেশে বনভূমি কমে যাওয়ায় শুধু বন্যপ্রাণী নয়, আবহাওয়ায়ও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। শীত ও বর্ষা কমে গিয়ে গ্রীষ্মের দাপট বেড়ে গেছে। শুধু দাপট নয়, গ্রীষ্ম ঋতু বসন্তকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে। তাই তখন আমরা ঘাম মুছতে মুছতে ও পাখার বাতাস নিতে নিতে প্রাণান্ত হই। বসন্ত আমাদের মন ভুলায়, নয়ন জুড়ায়। আমাদের মনের রংধনুর রঙে-রাঙা ভাবনাগুলো ভাসিয়ে নেয় উতল হাওয়ায়। বসন্ত ঋতু একান্তভাবেই এদেশের ঋতু। এ ঋতু আমাদের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। বাংলা সাহিত্যে বসন্ত আপন রূপে-রস-গন্ধ-বর্ণ-সুষমায় ভাস্বর চিরন্তন। এ দেশের এমন কবি সাহিত্যক শিল্পী নেই, যিনি তার শিল্পকর্মে বা লেখায় বসন্তকে স্বমহিমায় ফুটিয়ে তোলেন নি। বিদ্রোহী কবি নজরুল বসন্তকে তুলে এনেছেন কবিতা ও গানে। নজরুলের কবিতা ‹এলো বনান্তে পাগল বসন্ত› এর কথা না বললেই না,
‘এলো বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে,
চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।’
কবি নজরুল শুধু ফুল, ফাগুন আর পাখিদের মধ্যে বসন্ত এনেই ক্ষান্ত হন নি। বসন্তের করুণ বিদায়ও জানিয়েছেন তার কবিতায়-
‘বৈকালী সুরে গাও চৈতালী গান
বসন্ত হয় অবসান
নহ্বতে বাজে সকরুণ মূলতান’
বৃক্ষের শুষ্ক শাখার পল্লব কন্দরে চোখ মেলে সুগন্ধি ফুলের বাহার। মধুলোভী মৌমাছিরা মকরন্দের খোঁজে ফুলের চারপাশে গুঞ্জরণ করে। এরই ফাঁকে তারা ঘটিয়ে দেয় পুষ্পে-পুষ্পে বিবাহ, স্ত্রী ও পুরুষ ফুলের মিলন। মহান রবের সৃষ্টির কারুকার্য আমাদের ভাবিয়ে তোলে প্রতিনিয়ত, চিন্তার মাঝে ঢুবিয়ে দেয় প্রতিক্ষণ। বারবার স্মৃতিপটে ভেসে উঠে মহান রবের অমীয় বাণী ‘পৃথিবীর ওপর যা রয়েছে, সেগুলোকে আমি তার শোভা করেছি মানুষকে এ পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ।’ (সুরা কাহাফ : ৭)
আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার জন্য তার সৃষ্টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। প্রকাশ করতে হবে মুখে কাজে সর্বক্ষেত্রে। প্রতিটিক্ষণ কাটাতে হবে মহান রবের আরাধনায়। তাহলেই প্রকাশ পাবে অপরূপ সৌন্দর্যময় নেয়ামত রাজির যথাযথ কৃতজ্ঞতা।
লেখক: প্রিন্সিপাল, শ্যামপুর কদমতলী রাজউক মাদরাসা, ঢাকা।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে দোকান চুরি, ১৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চোর ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের