ফরিদপুরে রাতের বাজারে ইলিশ কিনতে হঠাৎ যুদ্ধ।
১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞার রাতে ইলিশ কেনার যুদ্ধ চলছিল ফরিদপুরের বড় বড় বাজারে।
নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় ফরিদপুরে ইলিশ কেনার যুদ্ধ চলছিল। বুধবার (১১ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতেও শহরসহ উপজেলাগুলোর বিভিন্ন বাজারে ইলিশ বিক্রির এ যুদ্ধের দৃশ্য দেখা যায়।
মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন হওয়ার কথা আছে। আইন অমান্যকারীর এক থেকে দুই বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা জারির আগের রাতে ফরিদপুরে ইলিশ কেনাবেচার ধুম পড়ে যায়। অনেকেই বলছিল ইলিশ কেনা নয়তো যেনা ইলিশ কেনার যুদ্ধ। ক্রেতারা ১০টা বা তারও অধিক ইলিশ দামদর না করেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখাগেছে।
ওলি নেওয়াজ বাবু নামের এক ক্রেতা বলেন, দর-কষাকষি না করে অনেকে ৫-১০ কেজি পরিমাণ মাছ কিনে বাসায় গেছেন । আমিও ৫-৬ কেজি কিনে নিলাম।
শহরের চকবাজার এলাকায় মাছ কিনতে আসা ডলি আক্তার ইনকিলাব কে বলেন, কাল থেকে বাজারে ইলিশ মাছ মিলবে না। তাই ১০ কেজি কিনে নিলাম। দামও তুলনামূলক কম।
হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ শামসুল বলেন, বন্ধের আগের রাতে ২০ কেজির মতো কিনে রাখলাম। মাছের সাইজ ও মোটামুটি।
শহরের বাসিন্দা বীরমুক্তযোদ্বা হাজী আমিনুর রহমান মুসা ইনকিলাব কে বলেন, একটু বেশি রাতে যাওয়ার কারণে আর মাছ কিনতে পারিনি। রাত ১২টার দিকে চকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখি দোকানদার আছে কিন্তু মাছ নাই। শেষ হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানালেন।
শহরের হাজী শরিয়তুল্লা বাজারের মাছ বিক্রেতা বিদু শাহা ইনকিলাব কে বলেন, সকালের থেকে রাতে একটু কমে দাম বিক্রি হয়। ক্রেতার সংখ্যাও বেশি। বাজারে শেষ সময়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। লাভ-লোকসান যাই হোক বেচা-বিক্রি ভালোই হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার ইনকিলাব কে জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ জনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারীও। তবে মৎস্য কর্মকর্তার প্রচারনা এবং উঠান বৈঠকের সাথে একমত হতে পারেননি সংবাদকর্মীরা। কারন মৎসবিভাগ কখনও কোন প্রোগ্রামে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি কখনই নিশ্চিত করেন না।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও
হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের
ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত
প্রথম আঘাত তাসকিনের
সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'
শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই
পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?
গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে
পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !
ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প
হতাশ মার্কিনিরা দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন
সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা
‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়