মধুখালি ডুমাইনে দুই সহোদর খুন রহস্য উদঘাটনে তৎপরতার গতি পাচ্ছে না
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫ এএম
মধুখালী ডুমাইন পঞ্চপল্লীতে দুই সহোদর খুনের রহস্য উদঘাটনের তৎপরতায় গতি পাচ্ছে না। এমন অভিযোগ নিহতদের পরিবারের।
নিহতের পরিবারের দাবি বড় বড় কর্মকর্তারা আমাদের বাড়ীতে এসে আশা ভরসা দেন তখন মধুখালির ওসিসহ পুলিশ ভাইরা সাথে থাকে।
মন্ত্রী এমপি,আইজি, ডিআইজি, ডিসি এসপি সাহেবরা যখন সকলকের সাথে কথা বলেন তখন আমাদের একটু হলেও শান্তি লাগে।
অফিসারা যা বলে যান মধুখালির পুলিশরাই তাই তাই করবেন এমনটাই সবার সামনে বলেন। আসলে বড় অফিসারা চলে যাবার পর মধুখালির ওসি সাহেবের আর কোন গরজ দেখি না।
কথাগুলো একান্তভাবে ইনকিলাবের সাথে বললেন নিহত আশরাফুল ও আরশাদুলের বাবা, মোঃ শাহজাহান খান। ইনকিলাবের সাথে কথা হয়,, নিহতদের আপন ছোট চাচা মোঃ সাজ্জাদ খানের সাথে তিনি ইনকিলাব কে বলেন, আমার দুটি কলিজার টুকরা খুন হলো আজ প্রায় ১২ দিন। কিন্তু মনিগের যারা মারিছে তাদের কেউ ধরা পড়ছে কিনা? আদৌও ধরা পড়বে কিনা? এই রকম কষ্টের কথা আমার বুকের মাঝখানে নড়েচড়ে।
তিনি আরোও বলেন, সবাই কাঁদে আমি কাঁদতে পারি না। সবার কাছে বহুলোক কিছু না কিছু প্রশ্ন করে কিন্তু আমারে কেউ কিছু প্রশ্ন করে না। মনে হয় আমি যে মনিগের ছোট চাচা এটাই সবাই জানেন না। তিনি আরো বলেন, আমি ৭/৮ বছর বয়স কাল থেকে দুই জনরে দুই কাঁধে করেও রাস্তা থেকে বাড়ী আনছি। প্রতিদিন মধুখালি মাদ্রাসায় পড়ার জন্য নিয়ে গেছি। আমার সেই মনিগের যারা খুন করলো কি অপরাধে খুন করলো? ঐ এলাকার মন্দিরেই বা আগুন দিলো কারা? এটাও জানবার পারলাম না।
ইনকিলাবের সাথে কথা বললেন, দুই সহোদরের আরেক চাচা মোঃ রাজ্জাক খান, তিনি ইনকিলাব কে বলেন, আমরা বলতে চাই ঘটনা ঘটছে আজ প্রায় ১২ দিন। তথা গত ১৮ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার রাতে।
ঘটনার পরদিন আমার ভাইয়ের কাছ থেকে একটি কাগজে সই নিলো ওসি সাহেব। বললো এটা হত্যা মামলার কপি। দুই সহোদর কে যারা খুন করলো তাদের নামে মামলা হয়েছে। পরে শুনলাম এই মামলা অজ্ঞাত নামা। মানে বুঝিনি। পড়ে শুনলাম ঐ মামলায় কারোর নাম নাই।
পুলিশ তদন্ত করে আসামি ধরবে তারপর ঐ মামলায় আটক হবে। ঘটনার দুই দিন পর বহু মানুষের মোবাইলে দেখলাম আমার ভাতিজা দুটোকে কিভাবি পিটিয়ে এবং ইট দিয়ে থেঁতলে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে কারা খুন করলো। ভিডিওতে কাদের দেখা গেছে স্থানীয়রা সবাই কে চিনেন। তার মধ্যে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বরও আছে। বাঁশের লাঠি বাটাম দিয়ে শরীরের জোর দিয়ে যে কজন আশরাফুল এবং আরশাদুল কে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করছে তাদের তো দেখাই যাচ্ছে।
পিটানোর সময় "বাবাগো - মাগো আমাগো বাঁচাও"
বাঁচার জন্য বহু মিনতি করছে এমন আওয়াজ ভিডিও শুনিছি। মনিগের হাত পাঁ ছিলো রশি দিয়ে বাঁধা। খুনীদের পায় ও ধরতে পারেনি ওরা।
আমরা হয়তো ওদের চিনি না। কিন্তু যারা খুনীদের চিনেন পুলিশ তাদের সাহায্য নিয়ে খুনিদের কেন ধরছে না।
ইনকিলাবের সাথে কথা হয় নিহতদের ২য় মা- সারমিন বেগমের সাথে তিনি ইনকিলাব কে বললেন, আমার মনিগের যারা পিটিয়ে খুন করলো তাদের তো আমরা মোবাইলে দেখলাম। পুলিশ ও দেখছে কিন্তু তাদের ঐ রাতেই বা তার পরদিন ধরলো না কেন? সবাই বলে ওরা পালিয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো পালিয়ে গেলো কোথায়? পালাতে সাহায্য করলো কারা? কিন্তু আমার দুঃখটা হলো ঐ খানে খুনিদের গ্রেফতার এবং তাদের কঠোর বিচারের দাবিতে মধুখালিবাসি রাস্তাঘাট আটকিয়ে মানববন্ধন করলো, মিছিল করলো, বাস আটকালো। ইটাইটি হইছে পুলিশ বহু মানুষ কে তারানোর জন্যই গুলি মাইরলো আমার গ্রামের ১১ জন ছেলে আহত হইছে। ৪/৫ জনের গায়ে গুলি লাগছে।ওরা চিকিৎসা নিয়া বাড়ী এসে ঘুমালো। পুলিশ রাতে এসে ওগার ধরে নিয়ে গেলো। অথচ পুলিশ খুনীগের খুঁজে পেলো না।
কথা হয় নিহতদের আপন চাচাতো ভাই মোঃ ইমরান খানের সাথে তিনি ইনকিলাব কে বললেন,আমার দুই ভাই আশরাফুল ও আরশাদুলের খুনের ঘটনায় ৮ জন আটক হইছে। এটা বলছে ফরিদপুরের এসপি সাহেব। মধুখালির ওসি সাহেব বললেন, এই মামলায় মোট ১২ জন আটক হয়েছে। সাংবাদিকদের ওসি বলছেন এসব আসামিদের মধ্যে দুই জন জবানবন্দি দিয়েছেন। তার মানে তারা খুনের সাথে জড়িত আছে এই কথা বলছে বিচারকের কাছে ও পুলিশের কাছে। খুব সুন্দর কথা।
ইমরান আরো বলেন, যেহেতু ২ জন স্বীকার করছে আমরা খুন করছি। তাহলে ওদের রিমান্ডে জিজ্ঞেস করা হোক আর ছিলো কারা? এই তথ্য বের করতে এতো লুকোচুরি কেন?
উল্লেখ্য, এই হত্যা মিশনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তপন এবং মেম্বর অজিত কুমার। তাদের আটকে এবং সঠিক সংবাদদাতাকে জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ গত পরশু তার কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে করে ওপেন পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছেন।
মোট কথা হলো, হত্যাকান্ডের প্রায় ১২ টি প্রহর কেটে গেলেও মুল আসামিরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
এমনটাই নিহতদের আপনজনদের এবং এলাকাবাসীর দাবি।
আগামীকাল পড়ুন এই মামলা নিতে পারে নতুন মোর। কোথায় আছে চেয়ারম্যান তপন এবং মেম্বার অজিত। চোখ রাখুন ইনকিলাবের পাতায়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মিডল্যান্ড ব্যাংক শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানি প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর
প্যাট্রিয়ট দিয়ে খারকভের মুক্তি ঠেকাতে পারবে না ইউক্রেন
জাতিকে নেতৃত্ব দিতে রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি আরও মজবুত করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
পিটিয়ে রিকশাচালকের পা ভেঙে দিলো ট্রাফিক পুলিশ, সড়ক অবরোধ
আত্মহত্যা
শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক
উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে
মন্ত্রী ও মেয়রদের কথার সাথে কাজের মিল থাকতে হবে
দোয়ারাবাজারে মঈন উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ
মেরুকরণই হাতিয়ার মোদির!
স্বামীর উপহারের টাকায় লটারি কিনে কোটিপতি স্ত্রী
কলকাতায় ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫
পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন : চীন
ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?
ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন
জার্মানিতে বিস্ফোরণের পর বাড়িতে আগুন, নিহত তিন
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরো দেশের প্রতি আহ্বান এরদোগানের
নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেয়া হলো আগুন, নিহত ১১
ফিলিপাইনের জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীনা কোস্টগার্ড