বাংলাদেশের ইলেকশনে আমেরিকা ও চীনের ভূমিকা দৃশ্যমান : ভারতের ভূমিকা কী?
২২ মে ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম | আপডেট: ২৩ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম
আজ লিখবো বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে। কিন্তু সেটি লেখার আগে জনগণ যে মারাত্মক যন্ত্রণায় আছে সেকথাটি না বললেই নয়। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে হঠাৎ করে লোডশেডিং শুরু হলো। সেটা যে সে লোডশেডিং নয়। আমি কলাবাগান ধানমন্ডিতে থাকি। সেখানে দিনে অন্তত ৪ বার লোডশেডিং শুরু হলো। প্রতিবার ১ ঘণ্টা করে হলে দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাই কারেন্ট নাই। যেদিন লোডশেডিং শুরু হয় তার পরদিন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বললেন, কুতুবদিয়া নাকি মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালে কী একটা বড় ত্রুটি দেখা গেছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করতে পারা যাচ্ছে না। তিনি আরো বললেন, দুইদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ওদিকে সরকারের বিদ্যুতের বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হলো, দুই-চার দিনের মধ্যেই রামপালের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আসলে রামপালে উৎপাদন আগেই শুরু হয়েছে। তবে ফুল স্কেলে উৎপাদন দুই-চার দিনের মধ্যেই শুরু হবে। এরও আগে বলা হয়েছে, ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। অন্তত দুই সপ্তাহ আগে বলা হয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে।
বাস্তবে কী হচ্ছে? রবিবার ২১ মে। বিকালে যখন এই কলাম লিখতে শুরু করেছি তার আগে বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলল। তারও আগে সকালবেলা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলল। অর্থাৎ রবিবার ২১ মে-তেও লোডশেডিং বন্ধ হয়নি। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, মফস্বলের অনেক জায়গায়ই নাকি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এত এত জায়গা থেকে যদি বিদ্যুৎ আসতে থাকে তাহলে এই অসহ্য লোডশেডিং কেন? আসলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কথা এবং কাজে কোনো মিল নাই। যারা এইভাবে ৪ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেয় তারা ১৪ মাসে ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কোন সেন্সে? আসলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, সেটা বাইরের মানুষ হিসেবে আমরা বিস্তারিত কিছুই জানি না। কিন্তু এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, সেখানে একটা তোঘলকি কারবার ঘটছে। এই আওয়ামী লীগ সরকারই ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে সেখানকার পাওয়ার স্টেশন ঘেরাও করেছিল। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি বর্ষণে ৫/৬ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল। এই ইস্যুতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলে। বিএনপি সরকার ঐ আন্দোলনের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছিল।
কিন্তু এখনকার বিরোধী দল বিএনপি এই ইস্যুতে কী করছে? কানসাট আন্দোলন কি তাদের সামনে একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ নয়? ১৪ মাসে ১২ বার বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়। এটা নিয়ে কি বিএনপি কঠোর আন্দোলনে নামতে পারে না? এই যে মফস্বলের অনেকগুলো জায়গায় গড়ে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না, সেখানে ভুক্তভোগীদের নিয়ে কি বিএনপি কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে না? এই সরকারকে বিএনপি অনেক সময় দিচ্ছে। আর সময় পেয়ে সরকার তার দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠছে। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, এত কিছু করেও এই সরকার কীভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে? তাদের কাছে আমার একটিই উত্তর থাকে। আর সেটা হলো এই যে, বিএনপির ব্যর্থতা বা বিএনপির দুর্বলতা ও সাহসের অভাবই এই সরকারের শক্তি। এখন ফিরে যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
॥দুই॥
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিদেশি শক্তিগুলোর মেরুকরণ ইতোমধ্যেই প্রায় কমপ্লিট। বাংলাদেশকে ঘিরে বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশিদের তৎপরতা গত বিএনপি সরকারের শেষ দিকে উৎকটভাবে দেখা দেয়। তখন সরকার উৎখাতের জন্য দুই বিদেশি দেশ ও জাতিসংঘের সে কি তুমুল তৎপরতা। দুটি দেশের মধ্যে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিউটেনিস এবং ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বঙ্গ সন্তান আনোয়ার চৌধুরী। তাদের সাথে দল পাকিয়েছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রেনাটা লক ডেসালিয়ন। সেই সময় ভারতও ঐ দলের সাথে ছিল। তবে তারা ২০১৪ সালের মতো প্রকাশ্যে প্রকট হননি। যাই হোক, তাদের অতিরিক্ত তৎপরতার ফলেই দেশের বুকে নেমে আসে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের এক এগারোর অপশাসন।
কথায় বলে, ‘শালুক চিনেছে গোপাল ঠাকুর’। তারা সেদিন যে পথ দেখিয়েছেন এবারও তারা সেই মহাজনী পথ অনুসরণ করছেন। তবে এবার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এবার আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে সেগুলো সরকারের বিপক্ষে যায়। আমেরিকা যেদিকে চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সেদিকেই চলে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার পদাঙ্কই অনুসরণ করে। তাই বলা যায় যে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে এসব দেশের অবস্থান এই সরকারের বিপক্ষে যায়।
সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই যে, এই সরকারের পক্ষে এবার প্রকট হয়েছে চীন। অথচ, ২০১৬ সালেও বাংলাদেশে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে চীন ভারসাম্যমূলক অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত রূপার একটি বিরাট নৌকা বানিয়ে শেখ হাসিনাকে উপহার দেন এবং এই উপহারের মাধ্যমে হাসিনা সরকারকে অভিনন্দন জানান। এখন এই সরকারের সপক্ষে প্রকাশ্যে প্রকট হয়েছে চীন, যেটা সাধারণত তারা করে না। এখানেই সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো ভারতের ভূমিকা। সকলেই জানেন, ভারতই এক্সটার্নাল ফ্রন্টে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শক্তি। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এখনও ভারত সরকার মনে প্রাণে চায়, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু এবার ভারত এ ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে পর্দার অন্তরালে চলে গেছে।
বছর দুয়েক আগে থেকেই আওয়ামী স্পন্সার্ড একটি মহল এই মর্মে প্রচার শুরু করে যে, চীন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করায় আওয়ামী লীগ সরকার চীনের দিকে হেলে পড়েছে। কেউ কেউ এতদূরও বলেন যে, আওয়ামী লীগ ও ভারতের মধ্যে চাইনিজ ফ্যাক্টর নিয়ে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। আমি কিন্তু প্রথম থেকেই একটি কথা কনসিসটেন্টলি বলে যাচ্ছি, ভারতের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অনেক পুরাতন। বিগত ১৫ বছর ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে এবং উভয় পক্ষই উঁচু গলায় বলে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সবচেয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপিত হয়েছে। এই সম্পর্কে কোনোদিন ফাটল সৃষ্টি হবে না। কথাটি ঠিক। কিন্তু এবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বা ২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভারত থেকে টু শব্দটিও করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র কয়েক মাস আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বরাত দিয়ে জানায়, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে। এই কথাটি কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিংবা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের মুখ দিয়ে এই ধরনের কোনো কথা বের হতে শোনা যায়নি বা দেখা যায়নি। তাহলে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর যে মেরুকরণ শুরু হয়েছে সেখানে ভারতের অবস্থান কোথায়? ভারতের ভূমিকা ঠিকই আছে। তবে ওরা চানক্য বা কৌটিল্যের উত্তরসূরী। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ম্যাকিয়াভ্যালির ‘দি প্রিন্স’। সুতরাং তারা উইংসের আড়াল থেকেই কাজ করে যাচ্ছে।
॥তিন॥
এ ব্যাপারে ভারতের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের একটি নিবন্ধের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঐ প্রখ্যাত সাংবাদিকের নাম সুবীর ভৌমিক। তিনি বহুদিন বিবিসির সাথে ছিলেন। ভারতের অনেক নামকরা ইংরেজি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তার কলামগুলো মন্তব্য সর্বস্ব নয়। বরং তার ফাঁকে ফাঁকে কিছু এক্সক্লুসিভ তথ্য তিনি গুঁজে দেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাস খানেক আগে তিনি এইরকম একাধিক কলাম লিখেছিলেন। আবার ঐ নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর তিনি আরেকটি কলাম লিখেছিলেন। তার মন্তব্য মোটামুটি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।
এবারও সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গত ১৬ মে ‘দি ফেডারেল’ নামক একটি সমায়িকীতে একটি কলাম লিখেছেন। তার কলামটির শিরোনাম, অং ঐধংরহধ ভধপবং যবধঃ রহ উযধশধ ধযবধফ ড়ভ ঢ়ড়ষষং, উবষযর ভরহফং রঃংবষভ রহ ধ পড়ৎহবৎ ঃড়ড়. অর্থাৎ নির্বাচনের আগে হাসিনা যে উত্তাপের সম্মুখীন হয়েছেন তার ফলে দিল্লিও কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। উৎসুক পাঠক ভাইয়েরা গুগলে উপরোক্ত শিরোনাম দিয়ে সার্চ করলে সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পাবেন। এখানে ঐ নিবন্ধের সম্পূর্ণ অনুবাদ বা ভাবানুবাদ স্থানাভাবে দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষের ভাবানুবাদ নিচে তুলে ধরছি।
শুরুতেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার পথে যায় তাহলে এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বীকে (অর্থাৎ ভারতকে) চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা চীনের সম্পূর্ণ হবে। অতঃপর বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যাতে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন সেটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবার ক্ষমতায় আসতে গেলে তাকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। সম্প্রতি ভারত মহাসাগর নিয়ে ঢাকায় যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সেখানে বাংলাদেশের রাজনীতির গ্রাউন্ড রিয়ালিটি সম্পর্কে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শংকর জয় কিষাণ একটি প্রাথমিক ধারণা নিয়ে গেছেন। সুবীর ভৌমিক তার পরের বাক্যে বলেছেন, এটি এমন একটি দেশ (বাংলাদেশ) যেটি ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুবীর ভৌমিক বলছেন, আপাতদৃষ্টে শেখ হাসিনা শক্ত অবস্থানেই আছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছে না। সরকার বিরোধীরা একটি নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার যে আন্দোলন করছে সেই আন্দোলনের পেছনে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশে^র সমর্থন রয়েছে। বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে আমেরিকার প্রিয়পাত্র হলো ড. ইউনুস। তিনি বাংলাদেশে আফগানিস্তানের আশরাফ গনি। সুবীর ভৌমিক পরিষ্কার ভাষায় বলছেন, আমেরিকা বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জের (সরকার পরিবর্তনের) যে খেলা খেলছে সেখানে তাদের মনে রয়েছে ড. ইউনুস। আমেরিকা চায় যে, ২০১৩ সালে ইউক্রেনে যে ইউরোমেডিয়ান অপারেশন হয়েছিল তেমন একটি অপারেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন করবে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের পক্ষে বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাশ করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার চাপে ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ঐ প্রস্তাবে সম্মত হননি। ফলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলন হয় এবং প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এই আন্দোলনকে ইউরোমেডিয়ান অপারেশন বলে। আমেরিকাও বাংলাদেশে ইউরোমেডিয়ান অপারেশন করতে চায় বলে সুবীর ভৌমিক ঐ নিবন্ধে দ্ব্যর্থহীন মন্তব্য করেছেন। ভারত এখনো চায় যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসুক। কিন্তু সুবীর ভৌমিক বলছেন, চীন ভীতির কারণে ভারত আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল। তাই আগামী ইলেকশনে আমেরিকা যে ভূমিকা নেবে তার বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষে প্রকাশ্যে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার দিল্লি এই ভয়ও পায় যে, আমেরিকার ভয়ে বাংলাদেশ যদি সম্পূর্ণভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তাহলে দেশটি একদলীয় শাসনের নিগঢ়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সুবীর ভৌমিকের বয়ান অনুযায়ী ভারত আশা করে, শেখ হাসিনা তার পিতার মতো একদলীয় বাকশাল গঠনের ভুলের পুনারাবৃত্তি করবেন না। তাই ভারত চায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসুন, তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফেনীতে বিএনপি নেতা মজনুর ১০ হাজার কম্বল বিতরণ
পরিস্থিতি শান্ত হলে করিডোর খুলে দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তালতলীতে ওসির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ট্রাক ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
দৌলতপুরে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
মির্জাপুরে শীতার্তদের ঘুম থেকে জেগে তুলে ইউএনও’র কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে কারখানার ওয়েস্টেজ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ গুলি আহত ৫
এবার ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করলো বিএফআইইউ
মিথ্যা সাজা খেটেও দেশ থেকে পালায়নি বেগম জিয়া: এবিএম মোশাররফ হোসেন
জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘিরে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা
ফরিদপুর সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি
৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপন, বাদ পড়লেন আরও ১৬৮ জন
বাগেরহাট টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত
বর্ষসেরার লড়াইয়ে হেডের সঙ্গে রুট-ব্রুক ও বুমরাহ
নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গনে হত্যা মামলার আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, এস.আই আহত
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
কারো বাড়িতে কেউ মারা গেলে এ বাড়িতে চারমাস দশদিন বিয়েশাদী বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য: সিলেটে এড. এমরান চৌধুরী
সৈয়দপুরে কুখ্যাত মনতাজ ডাকাত আটক
কমলাপুর স্টেশনের মনিটরে ‘অশ্লীল ভিডিও’: তদন্ত কমিটি গঠন