তোষামদ কেন এক নীরব ঘাতক

Daily Inqilab মাজহার মান্নান

২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম

আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টিটল তার পয়েটিক্স গ্রন্থে নন্দনতত্ত্বের ধারণা দিয়েছিলেন। নন্দনতত্ত্ব বিষয়টি বেশ জটিল। আপাতত এটিকে শিল্প মনে হলেও এর গভীরতা পরিমাপের জন্য বড় ধরনের মুন্সিয়ানা প্রয়োজন। অ্যারিস্টিটল কাব্য, কলা, দর্শন ও সাহিত্যের নিগুঢ় সৌন্দর্যকে বুঝার জন্য নন্দনতত্ত্ব নামক একটি বিদ্যা চালু করেছিলেন। সাহিত্য রসে যে সাগরতল সম সৌন্দর্য রয়েছে অ্যারিস্টিটল সেটা উপলব্ধি করেছিলেন। কাব্য, কলা এবং শিল্পের মাঝে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে একটি নতুন মাত্রা দিয়ে এসথেটিক্স নামে একটি নব ধারার দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন সেই মহান দার্শনিক। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই বিদ্যাটি সমাজের আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য একটি ছাঁকুনি (ফিল্টার) হিসাবে কাজ করবে। কেননা, যিনি এই সৌন্দর্য রসে সিক্ত হবেন তিনি কোনভাবেই বিবেকহীন হতে পারবেন না। কোনভাবেই নিজের মরালিটি বিক্রি করবেন না, যত স্বার্থই চমক দিক না কেন। অ্যারিস্টিটলের এই নন্দনতত্ত্বকে প্লেটো মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার প্রধান ঢাল হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

রেনেসা আন্দোলনে এই তত্ত্বটি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলো। পৃথিবীর বড় বড় লেখকগণ তত্ত্বটি বুঝার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। উইলিয়াম শেকসপিয়ার সম্ভবত অ্যারিস্টিটলের পয়েটিকস গ্রন্থটি বহুবার পড়েছিলেন। অ্যারিস্টিটলের ট্রাজেডির সংজ্ঞাকে তিনি উপেক্ষা করেন, কিন্তু নন্দনতত্ত্বের নিগুঢ়তাকে স্যালুট জানান। উইলিয়াম শেকসপিয়ারের চেয়ে বড় কোনো চরিত্ররায়নের জাদুকর আজও বিশ্বে আবির্ভূত হননি। তিনি মানব চরিত্রকে এক জটিল রূপে দেখেছেন। তিনি এটাও দেখেছেন যে, মানব চরিত্র যে কোন পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত হয়। এমন কি একটি চকলেটের জন্য মানুষ তার চরিত্র বদলাতে পারে। ক্ষুদ্র স্বার্থে বড় কিছু ধ্বংসও মানুষ করতে পারে। হেলেনের সৌন্দর্যের দ্বন্দ্বে ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিলো। একিলিসের মতো বিশ্বযোদ্ধাদের গলদঘর্ম হতে হয়েছিলো। আগামেমনন সামান্য কারনে স্ত্রীর (হেলেনের বোন) হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। পৌরাণিকতায় ভর করে নন্দনতত্ত্ব প্রাচীন গ্রিসে বিকশিত হয়েছিলো বটে, কিন্তু উইলিয়াম সেকশপিয়ার সেটাকে তার নাটকে বাস্তব হিসাবেই দেখাতে চেষ্টা করেন। দুঃখ করে তিনি বলেন, রাজ রাজারা নন্দনতত্ত্বটি মনে হয় অন্তর থেকে পছন্দ করেন না। তোষামদটাকে রাজ-রাজারা বড় প্রাপ্তি মনে করেন। তিনি তার কিং লেয়ার নাটকে সেটাই দেখান। লেয়ার তোষামদকেই প্রাধান্য দেন। তার ছোট কন্যা তোষামদে ব্যর্থ হলে তাকে সকল সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়। লেয়ার কোনো বিবেচনাই তখন ধারণ করতে পারেননি। কোনো নিরপেক্ষতা তিনি বজায় রাখতে পারেননি। রাজা হয়েও চাটুকারিতাকে সর্বোচ্চ অর্জন মনে করেন তার জীবনে। বড় দুই কন্যাকে সব সম্পদ ভাগ করে দেন। কিন্তু একবারও তিনি বুঝতে পারেন না যে চাটুকার বা খয়ের খাঁ গণের কোনো ধর্ম থাকে না।

চাটুকাররা তাদের স্বার্থের জন্য পরতে পরতে রূপ বদলাতে পারেন। খুব স্বল্প সময়ে লেয়ারের ঘুম ভাঙ্গে। যে ঘোরের মধ্যে তিনি ছিলেন সেটা ভেঙ্গে যায়। তার চাটুকার কন্যাগণ তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। কেননা, তারা তাদের স্বার্থ আগেই নিয়ে নেয়। বাস্তববাদী লেয়ারের ছোট কন্যাই লেয়ারের শেষ ভরসায় পরিণত হয়। চাটুকারিতার সহজাত প্রবণতা নিয়ে সাহিত্য চর্চা কম হয়নি। ভোগবাদী আর পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ায় তোষামদী হয়ে উঠে ভোগবাদী আর পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার প্রধান হাতিয়ার। কিছু সাহসী লেখক ধামাধরাদের চরিত্র উন্মোচন করতে কলম ধরেন। তবে তাদের চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিলো না। তাতে কি? যিনি সত্যিকারের লেখক তিনিতো সহজে দমবার পাত্র নন। জোনাথন সুইফট ছিলেন তাদের একজন। হাস্যরসে ভরা গালিভারের ভ্রমণ লিখে সাড়া ফেলে দেন। চাটুকারিতার শিকড়ে কুড়াল চালান। গালিভারের ভ্রমণ কাহিনী শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ রচনায় পরিণত হয়। শোষকগোষ্ঠী খুব বেজার হন। সবাই যখন তৈল মালিশে মরিয়া তখন সুইফট স্রোতের বিপরীতে হাঁটেন। স্রোতের বিপরীতে গেলে চুবানি খেতে হবে এটা হয়তো সুইফট জানতেন। তাই প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। সুইফটের গালিভারের ভ্রমণ কাহিনী বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো, পরিবর্তন এসেছিলো মানুষের মানসিকতায়। কিন্তু তোষামদকারীরাও দমবার পাত্র নয়। তাদের রক্তে মিশে আছে মোসাহেবী করা। তাই আন্তর্জ¡ালা তাদেরকে তাড়িত করতে থাকে। মোসাহেবরা সহজাতভাবেই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। একজন মোসাহেব শুধু নিজে মোসাহেবী করে স্বস্তি পায় বিষয়টি তেমন নয়। অন্যকেও চাটুকারিতায় উৎসাহিত করে তোলে। একটি চাটুকার কমিউনিটি তৈরিতে তারা কাজ করে। এই চাটুকার কমিউনিটি ধীরে ধীরে রাষ্ট্র ও সমাজকে গিলতে থাকে।

বাংলা সাহিত্যে নন্দনতত্ত্বের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অ্যারিস্টিটলের নন্দনতত্ত্বকে অনুসরণ করেছেন তবে বাংলা জনপদের কৃষ্টিকে সমন্বয় করে তিনি সেটা করেছেন। তিনি শিল্প সৌন্দর্যকে এক বিশেষ মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। কবি সমাজের নিরব ঘাতক হিসাবে পরিচিত তোষামদকে একটি নিখুঁত নেতিবাচক শিল্প হিসাবে দেখেছেন। তোষামদকারীদের চরিত্র তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। জমিদারি প্রথার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় তার উপলব্ধি ছিল নিগুঢ়। একটি শ্রেণি আরেকটি শ্রেণির কীভাবে মোসাহেবে পরিণত হয় তা তিনি পরতে পরতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। মোসাহেব বা চাটুকারদের তিনি দেখেছেন অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক এক নিরব ঘাতক হিসাবে। বাহ্য দৃষ্টিতে চাটুকারদের উপকারী ও অনুগত মনে হলেও আসলে তারা নীতিহীন ভয়ঙ্কর এক সত্তা। চাটুকারদের জন্য মানুষের মনে ঘৃণার স্তূপ জমা হলেও মনিবের নিকট চাটুকারদের এক বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। মনিবের জন্য মনে হয় তারা কোরবানি হতে প্রস্তুত। কিন্তু বাস্তবতা হলো মুনিবকে কোরবানি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের ফায়দা লুটাই তাদের লক্ষ্য।

রবীন্দনাথ নিজে জমিদার হলেও তোষামদীর দর্শনকে খুবই অপছন্দ করতেন। তিনি ধামাধরাদের চরিত্রকে কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন নিখুঁতভাবে। ‘কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে/ ভাই বলে ডাকো যদি দেবো গলা টিপে/ হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা/ কেরোসিন শিখা বলে এসো মোর দাদা।’ কেরোসিন শিখা মাটির প্রদীপকে তাচ্ছিল্য করে যেহেতু সে কেরোসিন শিখার চেয়ে দুর্বল। কিন্তু আকাশে চাঁদ উঠলে তাকে দাদা সম্বোধন করে আনুগত্য লাভের চেষ্টা করে। চাঁদের প্রশংসায় সে ব্যাকুল হয়ে উঠে। এখানে বলে রাখা দরকার, প্রশংসা আর তোষামদ কিন্তু এক নয়। কারো ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করা যেতেই পারে। কিন্তু তোষামদকারীরা টার্গেট নিয়ে তোষামদে ব্যস্ত থাকে। বিশেষ কোন স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা থাকে। ধামাধরা ব্যক্তিদের তোষামদের পাত্র কখনই একক ব্যক্তি হন না। যতক্ষণ কোনো ব্যক্তি অফিসের বস থাকেন ততক্ষণ খয়ের খাঁ গণ তার গুণকীর্ত্তণ করে মোসাহেবী করে। চেয়ারের ব্যক্তিটি যখনই বদল হয়ে যায় তখনই চাটুকারগণ রূপ বদলে ফেলা শুরু করে। আগুন্তককে মোসাহেবী করার সকল সরঞ্জাম নিয়ে তারা অপেক্ষা করতে থাকে। চাটুকাররা শব্দচয়নে খুবই নিখুঁত হয়ে থাকে। বসের গুণকীর্ত্তণে তারা নানা উপমা, সাহিত্য অলংকরণ, রিথোরিক, সিমিলি ও মেটাফোর ব্যবহার করে থাকে। এসব উপমা সাধারণত হিরোইজমে ব্যবহৃত হয়। চাটুকাররা তাদের বসকে হিরোদের হিরো বানাতে চেষ্টা করে। বসও সেসব লোভ সামলাতে পারেন না। বসও ইকোনোক্লাস্ট হিসাবে আর্বিভূত হওয়ার চেষ্টা করেন চাটুকারদের মাধ্যমে। বস ও চাটুকারদের এই যুগল প্রচেষ্টা আপাতত এক রোমান্টিক অবয়ব সৃষ্টি করলেও সমাজ, রাষ্ট্র, মানবিকতা ও আদর্শের গভীরে যে কতটা ক্ষত তারা সৃষ্টি করে তা পরিমাপ করে দেখার কোনো মানদ- নেই।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিবাদ কি শুধু অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ছিল? না, ঠিক তেমনটি নয়। চাটুকারদের মুখোশও তিনি উম্মোচন করেছেন তার কাব্যে। চাটুকারিতার প্রতিবাদ করেছেন কাব্যরসে। তিনি তার মোসাহেব কাব্যে দেখিয়েছেন কীভাবে অফিসের বসকে তার অধীনস্তরা মোসাহেবী করে। বস যখন বলেন, ‘সেদিন বৃষ্টিটা ছিল অল্প---, চাটুকাররা সাথে সাথে বলে উঠে, ‘বাহ! কে বা শুনেছে এমন অপরূপ গল্প---’।

প্রকৃতপক্ষে তোষামদকারীরা হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরব ঘাতক। ঘাপটি মেরে থেকে ক্যান্সার জীবাণু যেমন মানব দেহকে নিরবে ধ্বংস করে, ঠিক একইভাবে তোষামদকারীরা নিরবে সর্বনাশ ডেকে আনে। প্যারাডক্সিক্যাল ভূমিকায় এদের দেখা যায়। তোষামদকারীদের কর্মকা- আপাতত দৃষ্টিতে আনন্দদায়ক মনে হলেও বাস্তবে তাদের কর্মকা- নিষ্ঠুরতায় পরিণত হয়। এটাই প্যারাডক্স। সক্রেটিস সত্যের জন্য প্রাণ দিলেন, জন ওয়াইক্লিফকে সত্যের জন্য পুড়ে মরতে হলো, গ্যালিলিওকে ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয়েছিলো। প্রতিবাদী সাহিত্য লিখে কাজী নজরুলকে কারাবরণ করতে হয়েছিলো। তাদের ত্যাগ বিশ্ব বিবেককে শানিত করেছিলো। প্রশ্ন হলো তোষামদ এই বিশ্বকে কী দিয়েছে? সহজ উত্তর, বৈষম্যে ভরা একটি সমাজ উপহার দিয়েছে। সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টিটলের যুগেও তোষামদ ছিল, শেকসপিয়ার-মিল্টন যুগেও তোষামদ ছিল, রবীঠাকুর-নজরুল যুগেও তোষামদ ছিল। এখনও তোষামদ আছে। তবে বর্তমানে তোষামদের মাত্রা বা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কে টানবে এর লাগাম?

লেখক: কবি ও কলামিস্ট


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

লোকসানে দিশেহারা খামারিরা

লোকসানে দিশেহারা খামারিরা

তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি

তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি

আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না

আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত

যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের

যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ

বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা

বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা

ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু

ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু

২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে

২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে

বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে

বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে

ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত

তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত

চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন

চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২

ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে

ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে

নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ

নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ

চুল রাঙিয়ে বিপাকে

চুল রাঙিয়ে বিপাকে

রঙচটা বাস চলছেই

রঙচটা বাস চলছেই