ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

নারীর প্রতি সহিংসতা নয়

Daily Inqilab খোন্দকার মাহ্ফুজুল হক

১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম

নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে ঐ সকল সহিংস অপরাধ, যেগুলো প্রধানত বা কেবলই নারী বা বালিকাদের উপরেই করা হয়। এ ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্য থাকে নারীকে দমন, অধিনস্থ সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। এছাড়াও অধিকারপ্রাপ্তি বোধ, উচ্চস্থানের বোধ, নারী বিদ্বেষ বা নিজস্ব প্রকৃতির জন্য নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করা হয়ে থাকে। জাতিসংঘের ‘ডেকলারেশন অন দ্য ডেকলারেশন অফ ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যান’ এ বলা হয়েছে, সহিংসতা হচ্ছে নারীর বিরুদ্ধে নারী ও পুরুষের মধ্যকার অসম ক্ষমতা সম্পর্কের প্রকাশ। এছাড়াও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে অধীনস্থ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া প্রধান সামাজিক কৌশলগুলোর মধ্যে একটি বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র উভয়ের দ্বারাই সংঘটিত হয়ে থাকে। ধর্ষণ, গৃহ নির্যাতন, যৌন হয়রানি, প্রজননগত জোর- জবরদস্তি, কন্যা শিশু হত্যা, লিঙ্গভিত্তিক গর্ভপাত, প্রসবকালীন সহিংসতা, উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা সহিংসতা বা দাঙ্গা, রীতি বা আচরণগত চর্চা যেমন অনার কিলিং, যৌতুক বা পণ, নারী খৎনা, অপহরণপূর্বক বা জোরপূর্বক বিবাহ এ ধরনের সহিংসতাগুলো সাধারণত ব্যক্তি দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্র কর্তৃক সহিংসতার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা, সংঘর্ষের সময় যৌন দাসত্ব, বাধ্যতামূলক নির্বীজান, জোরপূর্বক গর্ভপাত, পুলিশ বা কর্তৃত্বকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ইত্যাদি। অপরাধচক্রের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে নারী পাচার, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, সাইবার ক্রাইম, সাইবার বুলিং ইত্যাদি।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আলোকে বাংলাদেশের নারী সমাজ সহিষ্ণু পরিবেশের ক্ষেত্রে খুব একটা এগিয়ে ছিল, তা কিন্তু বলা যাবে না। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যে চিত্র অদ্যাবধি দেখা যায় তা হলো, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২০৫৭ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৯৭ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণ ১১৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮৯ জনের সঙ্গে। এছাড়াও অন্যান্য কারণে হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জন নারীকে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১১ জন, আত্মহত্যা করেছেন ২৬৭ জন, অপহরণের শিকার হয়েছে ১২২ জন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৪২ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ তথ্য উপস্থাপন করে। তারা বারোটি জাতীয় পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ থেকেই আমাদের দেশে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার অনুপস্থিতি এবং সহিংসতার একটি চিত্র উঠে আসে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘ কর্তৃক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ এবং ১৯৭৯ সালে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গৃহীত হয়। ইউএন উইমেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘কমব্যাটিং জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স (সিজিবিভি)’ রিসার্চ,মনিটরিং, ইমপ্যাক্ট, ইভ্যালুয়েশন ও ইনোভেটিভ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত পরিবেশ তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর আওতায় কমিউনিটি মোবিলাইজেশন এপ্রোচ ‘সাসা! টুগেদার’ ও ‘সম্মান ও সমতার জীবন’ নামক সহিংসতা রোধী প্রতিরোধ মডেল প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১২ টি দেশে ইউকে এইডের সহায়তায় ‘হোয়াট ওয়ার্কার্স টু প্রিভেন্টস ভায়োলেন্স এগেইনেস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমেও নারীর প্রতি সহিংসতার হার কমিয়ে আনার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা তৈরি এবং সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ব্যক্তি, পরিবার, নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্র সবাইকে সমভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পারিবারিক পর্যায়ে সহিষ্ণুতার অনুশীলন করতে হবে। পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার, সহনশীলতা ও নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সহিষ্ণুতার প্রাথমিক পাঠ ঘর থেকেই শুরু করা প্রয়োজন। সহিংসতামূলক কার্যক্রম যেমন; যৌতুক, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, বৈষম্য ইত্যাদি থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে শূন্যনীতি গ্রহণে পরিবারের সদস্যদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার ক্ষেত্র তৈরিতে সচেতন নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন নাগরিক সমাজ সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের নিমিত্তে জোরালো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি। সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ, নারী বান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সংবেদনশীল নীতি গ্রহণ, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নির্যাতন বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিকভাবে আন্দোলনকে বেগবান ও জোরালো করার পদক্ষেপ গ্রহণ নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার সিম্বলরূপে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যমকে নারী সহিষ্ণু গণমাধ্যমে পরিণত করার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা এখন একটি মুখ্য বিষয়। পরিবার, সমাজ, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও রাজনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা একটি স্থিতিশীল এবং স্মার্ট সোসাইটির স্লোগান হওয়া উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৭৯ সালে গৃহীত নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদের প্রতিটি অনুশাসনই বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ এর সংবিধানে বিদ্যমান । তাঁর প্রতিষ্ঠিত নারী পুনর্বাসন বোর্ড ছিল এর অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত। বর্তমানে এটি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা হিসেবে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকার নারীর প্রতি সহিষ্ণুতাকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে বহুবিধ কর্মসূচি প্রণয়ন করছে। সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য নারী সহিষ্ণু জেন্ডার বাজেট চালু করে। যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান বাজেটের ৩৪.৩৭ শতাংশ এ খাতে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীবান্ধব এবং নারী উপকারভোগী নীতিমালা অনুসরন ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সরকারের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন-২০২০ প্রণয়ন করেছে। এসব আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নারীর প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ রোধ করার পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিষ্ণুতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি করা।

সরকারের পক্ষ থেকে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নারীরা আজ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্যসহ সচিব, বিচারক এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি স্ব স্ব ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হচ্ছেন। নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্লানেট ৫০-৫০, এজেন্ট অভ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, শান্তি বৃক্ষ ও সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। (পিআইডি)

 


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার