ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনার দায় কে নেবে?

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম

দেশে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, নৌ দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, বিমান দুর্ঘটনা, অগ্নি দুর্ঘটনা, স্থাপনা ধ্বংস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব দুর্ঘটনায় ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে উন্নতির চরম ক্ষতি হচ্ছে। দেশের দুর্ঘটনাগুলোর সর্বাধিক হচ্ছে- সড়ক দুর্ঘটনা, যা বিশ্বের মধ্যেও সর্বাধিক! দ্বিতীয়ত: সড়ক দুর্ঘটনার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেলের সিসি যত বেশি দুর্ঘটনা তত অধিক। কোনো কোনো সড়ক দুর্ঘটনা সমগ্র জাতিকে নাড়া দেয়। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর কয়েক দিন ব্যাপক আন্দোলন হয়। তারপর সকলেই নিঃশ্চুপ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা চলতেই থাকে। গত ১৬ জানুয়ারি খবরে প্রকাশ, ২০২৩ সালে দেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৫ হাজার ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে, এটা বিআরটিএ’র হিসাব। অন্যদিকে, পুলিশের রিপোর্ট মতে, গত বছর ৫ হাজার ৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার ৪৭৫। আর রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, ৬ হাজার ৯১১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫২৪ জন এবং বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল, এই ১০ বছরে সড়কে ৫৬ হাজার ৩৬০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮ হাজার ১০৭ জন নিহত ও ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৯ জন আহত হয়েছে। অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে গড়ে ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং ১৪ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে। আহতদের ৬০ শতাংশ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, গত এপ্রিলে দেশে ৬৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে ৬৭৯ জন নিহত এবং ৯৩৪ জন আহত হয়েছে। উপরন্তু ২ হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় মানুষ যাতায়াতের জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার পর ঘরে না ফেরা পর্যন্ত চরম আতংকে থাকে পরিবার-পরিজন। উপরন্তু সড়ক দুর্ঘটনাজনিত বছরে সার্বিক জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৫.৩%। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এ ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। উল্লেখ্য যে, সড়ক দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের চালক ও হেলপারেরও মৃত্যু ও আহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট যান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সর্বোপরি এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাও ব্যাপক। গত ২৫ মার্চ, ২০২৩ খবরে প্রকাশ, ‘ঢাকার সড়কে গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ মামলা করেছে ৩৬ লাখেরও বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব মামলায় সড়কে শৃঙ্খলার পরিবর্তে ট্রাফিক পুলিশদের ব্যক্তিগত কোটা পূরণই গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। বাস্তবে ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেনি। মানুষের ভোগান্তি ও প্রাণহানির আশঙ্কাও কমেনি। দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়েছে অনেক’। অন্যদিকে, ঢাকার বাইরেও পুলিশের মামলার সংখ্যাও অনেক।

দেশে ব্যাপক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে: অপর্যাপ্ত সড়ক, যেটুকু সড়ক রয়েছে তার বেশিরভাগ ভাঙ্গাচুরা, অধিকাংশ যানবাহন ও চালক আনফিট ও অদক্ষ, ট্রাফিক আইনলঙ্ঘন, নির্ধারিত স্থানের বাইরে যত্রতত্র যানবাহন রাখা, যানবাহন চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা,শিশু-কিশোর চালক, লাইসেন্সহীন চালক, বেশিরভাগ চালক যানবাহন চালানোর নিয়ম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, জানলেও পালন না করা, দুর্ঘটনাজনিত তদন্ত কমিটিগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা, যানবাহনের ওভারটেক, সড়কে অত্যধিক বাঁক, চালকের বিরাট অংশের মাদকাসক্ততা, ব্যাপক অবৈধ যানবাহনের চলাচল, চালকের অত্যধিক পরিশ্রম এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও বিনোদনের অভাব ইত্যাদি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাম্প্রতিক জরিপ মতে, ভালো সড়কের তালিকায় ১৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম। ইউএন-এসকাপের প্রতিবেদন-২০২৩ মতে, অননুমোদিত যানবাহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে রয়েছে খুলনায় ৫৮% ও ঢাকায় ৫৪%। ডিএমপির তথ্য মতে, রাজধানীতে ধারণক্ষমতার চেয়ে ছয় গুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে।অন্য এক খবর মতে, দেশের সড়কে ৬ লাখ অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে!

তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ব্যাপক সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রধান দায়ী আনফিট যানবাহন ও চালক এবং অবৈধ যান চলাচল। গত ২৮ এপ্রিল এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘নিবন্ধিত মিনিবাসের ৭০.৪২% এবং বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকারের ২৫.২২% মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে’। এছাড়া, হাইওয়ে অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও এসব ব্যাপকভাবে চলছে অনবরত। মাঝে মধ্যে এসবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়। কিন্তু তা মাঝ পথেই অদৃশ্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে, গত ৭ মে খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি প্রকাশিত আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগের এক জরিপ রিপোর্ট মতে, ‘দেশের গাড়িচালকদের মধ্যে ৭৩% দৃষ্টিশক্তিজনিত এবং ৬০% শারীরিক জটিল সমস্যা রয়েছে’। উপরন্তু গাড়িচালকদের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যাও ব্যাপক। বিশেষজ্ঞদের মতে, আনফিট ও অবৈধ যানবাহন এবং চালকের চলাচল বন্ধ করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে’। অন্যদিকে, সড়কে কর্তব্যরত কিছু পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানীর ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৪ জুলাই,২০২৩ এক দৈনিকে প্রকাশ, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চার লেনে উন্নতকরণ, নতুন সেতু নির্মাণ, সড়ক-সেতু পুনর্বাসন, সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ৬৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০২৭-২৮ অর্থবছর মেয়াদি এক মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা বর্তমানে শেষভাগে চলে এসেছে।সওজ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে প্রাক্কলনের প্রায় দ্বিগুণ। তন্মধ্যে সরকারের এডিপির মাধ্যমে গত ১১ বছরে খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মহা পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার বেশির ভাগই পূরণ হয়নি! তাই এই মহাপরিকল্পনা থেকে যতটা সুফল পাওয়ার কথা বাস্তবে তা হয়নি। এজন্য দায়ী যথাযথভাবে এবং সঠিক সময়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারা, অবকাঠামো বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি করতে না পারা, প্রকল্প কেন্দ্রিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া, অনিয়ম-দুর্নীতি ও নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ইত্যাদি’। তাই সড়কের দৈন দশা চলছেই! সে সাথে সড়কে দুর্ঘটনার মহামারিও চলছে। কোনো কোনো দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সকলেই নিহত হচ্ছে। আবার দুর্ঘটনাজনিত বহু লোক আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে পরিবার ও সমাজের বোঝায় পরিণত হচ্ছে! অন্যদিকে, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে কার্যকরী বিধিমালা অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারকে নিহতদের জন্য ৫ লাখ টাকা এবং অঙ্গ হানির জন্য ৩ লাখ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু এ আইন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত বহু পরিবার নিঃশ্ব হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য যে, সড়কে ধীরগতির কারণে দেশের উন্নতিও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-এনবিইআর এর ধীরগতির শহরের সূচক-২০২৩ মতে, বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলের গতি ১.৩% বাড়াতে পারলে জিডিপি ১০% বাড়বে। তাই দেশের উন্নতির স্বার্থে সড়কের গতি বাড়াতেই হবে। সে লক্ষ্যে সড়ক উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, দুর্ঘটনার মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে আনফিট যানবাহন ও চালকের এবং অবৈধ যানবাহনের চলাচল বন্ধ করা আবশ্যক। সড়ক দুর্ঘটনারোধে জারীকৃত বিধিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। লাইসেন্স দেওয়ার সময় এবং নবায়ন করার সময় চালকের দক্ষতা, শারীরিক ফিটনেস ও মাদকাসক্ততা ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে। এসবের যে কোনো একটিতে ত্রুটি থাকলে তাকে লাইসেন্স প্রদান না করা অথবা তার লাইসেন্স নবায়ন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বোপরি গত ৫ মে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে দেশের কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে বলে যে নির্দেশনা জারী করা হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। উপরন্তু সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন যেন কোনো মতেই চলাচল করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি সড়ক থেকে সব ধরনের দোকান, হাটবাজার, স্থাপনা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ করতে হবে এবং পুনরায় যেন যাহা পূর্বং তাহা পরং না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি লাইসেন্সহীন ড্রাইভারের যানবাহন চালানো বন্ধ, রাস্তায় চলাচলের নিয়ম সম্পর্কে চালকদের ভালভাবে সচেতন করা, নির্ধারিত স্থানের বাইরে যানবাহন রাখা বন্ধ করা ইত্যাদি করতে হবে। এসব হলে সড়কে গতি যেমন বাড়বে, তেমনি দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। রাজধানীতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের নীতি বাস্তবায়ন করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। উপরন্তু বাস ও ট্রাকের রাজধানীর টার্মিনালগুলো মূল শহরের বাইরে নেওয়া পরিকল্পনা নির্ধরিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, এটা হলে আন্তঃজেলার বাস-ট্রাক রাজধানীর ভেতরে প্রবেশ বন্ধ হবে। তাতে যানজট অনেক হ্রাস পাবে। মহাখালি টার্মিনালের বাসগুলোতে গেট লক পদ্ধতি চাল করা হয়েছে। এটা সব বাস টার্মিনালে চালু এবং মেট্রোরেল টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে পারলে রাজধানীর যানজট ব্যাপক হ্রাস পাবে। অপরদিকে, সারা দেশের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনজনিত মামলার দ্রুত নিঃষ্পত্তি, সড়কে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ, পরিবহন শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষা আইন ও প্রয়োজনীয় দক্ষ ড্রাইভার তৈরি করতে হবে। রাস্তার বাঁক কমানোও জরুরি। স্মরণীয় যে, নৌ দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, বিমান দুর্ঘটনা এবং তাতে জানমালের ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। বরং অনেক। এর মধ্যে নৌ দুর্ঘটনা বেশি। এর জন্যও দায়ী আনফিট ও অবৈধ যানবাহন ও চালক এবং অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বহন। এসব বহাল থাকতে সংশ্লিষ্ট খাতে দুর্ঘটনা রোধ হবে না। বরং বাড়বে। নৌপথকে পূর্বাবস্থায় নিতে পারলে সড়কের উপর চাপ, ব্যয় ও দুর্ঘটনা অনেক হ্রাস পাবে। ভোয়ার খবর মতে, রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার কারণে বাংলাদেশে রেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। অন্যদিকে, এশিয়ান ট্রান্সপোর্ট আউটলুকের তথ্য মতে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রেলপথ নির্মাণে সর্বাধিক ব্যয় বাংলাদেশের। এসব দিকেও সুনজর দেওয়া দরকার।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার