বর্তমানে সমাজে পর্নোগ্রাফি দেখা বেড়েই চলেছে, অনেকের ক্ষেত্রে যা আসক্তির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এর ফলে আগামী প্রজন্ম ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। পর্নোগ্রাফি দেখলে বদলে যায় মস্তিষ্ক। বাংলাদেশে খুব ছোট আকারের একটি জরিপে উঠে এসেছে, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে। মার্কিন গবেষক ড. জুডিথ রিসম্যান পর্নোকে ‘ইরোটোটক্সিন’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘পর্নোচর্চা করতে থাকলে মস্তিষ্কে ডোপামিন, এপিনেফ্রিন, এন্ডোরফিন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের সাম্যাবস্থা নষ্ট হয়, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চিন্তা ও আচরণের সমস্যা দেখা দেয়।’ কার্ডিফে একটি জিমের ম্যানেজার নিকি বলেছেন, পর্নোগ্রাফি দেখার কারণে পরবর্তী জীবনে সেক্স সম্পর্কে তার মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। একই সাথে নিজের শরীর সম্পর্কে তার যে অনুভূতি ছিল সেটাও ধ্বংস হয়ে গেছে। সাউথকোরিয়ার একটি গবেষণায় জানা যায়, পর্নোগ্রাফি দেখলে শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। টেস্টোস্টেরন হরমোন মানুষকে কর্মক্ষম রাখে। এটির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে মানুষ নিস্তেজ, কাজের প্রতি অনিহা, হতাশ হয়ে পড়ে। তাই পর্নোগ্রাফির এতো ক্ষতির কথা চিন্তা করে পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করুন। পর্নোগ্রাফি যেন কিশোর-কিশোরীসহ সর্বস্তরের মানুষের নাগালে সহজলভ্য না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

ফারুক হোসেন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।