নগর আদালত আইন : কিছু কথা
০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
সরকার গ্রাম আদালতের অনুকরণে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার বিরোধ মীমাংসার জন্য ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন ২০০৪’ শিরোনামে নগর আদালত গঠনের আইন পাস করে। কিন্তু দুই দশক অতিক্রম করার পরও সে আইন কেতাবেই শোভা পাচ্ছে। মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের পক্ষ হতে সর্বশেষ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ৬টি পৌরসভায় এই আইন সক্রিয়করণের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তারা আইনটি সংস্কারের জন্য মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) এর সাথে একটি সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে এডভোকেসি কার্যক্রমও গ্রহণ করে।
মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে জনসাধারণের আদালত বিমূখতাসহ আরো কিছু বাস্তবতার উল্লেখ করে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ‘নগর আদালত আইন : প্রস্তাবিত রূপরেখা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সংলাপে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন। তাতে নগর বলতে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনকে উদ্দিষ্ট করে নগর আদালতের গঠন, কার্যপ্রণালী, সমস্যা ও সমাধান প্রভৃতি বিষয় আলোচনান্তে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেন। সংশ্লিষ্ট সংলাপের আয়োজক ছিল, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ, মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশন (এমএলএএ), ব্লাস্ট এবং নাগরিক উদ্যোগ। সে উদ্যোগ নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে বর্তমানে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
উক্ত সংলাপে নগর আদালতের কাঠামো সংক্রান্ত যে সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে, তাতে গ্রাম আদালতের ন্যায় ইউনিয়নের পরিবর্তে মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ডভিত্তিক পাঁচ সদস্যের আদালত গঠনের কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রধান হবেন স্ব স্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলার। বাকী চারজন সদস্যের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে প্রত্যেক পক্ষের সমর্থনে একজন করে কাউন্সিলার ও একজন করে গণ্যমান্য ব্যক্তি থাকবেন। এ-ও বলা হয়েছে, একজন নারী যেন আদালতে থাকে। অবশ্য সেই একজন নারীর মর্যাদা কি, কার প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করবেন এবং তাকেসহ কত সদস্যের আদালত গঠিত হবে সে বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। এই আইনে আপিল আদালত হিসেবে মেয়র কর্তৃক অনুরূপ ভাবে গঠিত আদালতের কথা বলা হয়েছে।
নগর আদালতের উদ্দেশ্য সেখানকার পিছিয়ে পড়া মানুষকে স্বল্প খরচে হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতামুক্ত ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়া। খুবই ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কতটা সহজ হবে তা পূনর্বিবেচনার দাবি রাখে। বর্তমান সংশোধন প্রস্তাবেও উভয় পক্ষের প্রতিনিধির বিষয়টি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত তিন মহিলা সদস্যসহ মোট ১২জনের পরিষদ। অপরদিকে মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ডে একজনই কাউন্সিলার। প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে প্রতি ওয়ার্ডে একজনই কাউন্সিলার থাকেন সেখানে সেই ওয়ার্ডের প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীকে আরও একজন করে দুইজন কাউন্সিলার রাখতে হলে অন্যান্য ওয়ার্ডে ধরনা দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তদবস্থায় কমিশনারগণ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অপর কোনো ওয়ার্ডে গিয়ে সেখানকার (অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাসমান) মানুষের বিচারে প্রতিনিধিত্ব করার প্রবণতা রাখেন কিনা; কিংবা নিরীহ বিচারপ্রার্থীদের পক্ষে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা সহজ হবে কিনা, সে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে।
সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে, আনুষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থার সমান্তরালে গ্রামীণ সামাজিক বাস্তবতা ও অপরাধ প্রবণতার ধারণা থেকে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এর সমাজ বাস্তবতার সাথে আইনের তত্ত্বগত অসামঞ্জস্যের কারণে যুগ যুগ ধরে তা কার্যকর হতে পারেনি। দেশি-বিদেশি উদ্যোগে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে আনীত সংশোধনীর মাধ্যমে সেই অসামঞ্জস্য কিছুটা দূরীভূত হলেও এখনও দেশের অধিকাংশ ইউনিয়নে তা কার্যকর নয়। বিশেষত সালিসবিচারের তুলনায় এর সাফল্য খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে এর কিঞ্চিত সাফল্যকে পুঁজি করে অনুরূপ নিয়মের আওতায় নগর আদালত গঠন প্রক্রিয়া চলছে। এর সাফল্য সম্পর্কে বলতেই হচ্ছে, যদি এমন কিছু করতেই হয় তাহলে অবশ্যই নগর জীবনের সামাজিক বাস্তবতা ও সেখানকার অপরাধের ধরন সম্পর্কিত তত্ত্ব বিবেচনায় নিয়েই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিস্মৃত হলে চলবে না যে, গ্রাম এবং শহরের সামাজিক মেজাজ সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। সামাজিক বাস্তবতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক আইন বা সংশোধন প্রস্তাব প্রণয়নের সময় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। তাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হচ্ছে, গ্রামের জীবনযাত্রা যেমন সহজ তেমনি সে সমাজের প্রত্যেকে পারষ্পরিক সৌহার্দ ও সম্প্রীতির বন্ধনে নিবিড়ভাবে আবদ্ধ। যুগ যুগ ধরে বংশ-পরম্পরায় একে অপরের প্রতিবেশী হিসেবে জীবনযাপন করায় রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও সবাই আত্মীক বন্ধনে এমনভাবে সম্পৃক্ত যে, কেউ কারো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সকলে যেন একই বৃন্তের অজ¯্র পুষ্পদল। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে কারো কোনো সমস্যা হলে নিজের সকল কাজকর্ম ফেলে পরহিতে ভূমিকা পালনে সকলেই আন্তরিক। যারা নেতৃত্বে থাকেন তারাতো এসব কাজকে দায়িত্ব মনে করেন। এখানে সকলের তরে সকলেই নিবেদিতপ্রাণ। সালিসবিচারে যারা যুক্ত তাদের কেউ কেউ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও বিচারের ব্যাপারে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন। ব্যবসায়ী লোকজনের পরিমাণ এখানে খুবই সীমিত। সবচাইতে বড় কথা হল, প্রত্যেকটি গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ একে অন্যের চরিত্র, আর্থিক সঙ্গতি, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বাতন্ত্র্যের স্বরূপ তথা নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানেন। যারা নেতৃত্বে থাকেন তারা কেবল নিজের গ্রামই নয় সমগ্র ইউনিয়ন এমনকি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের লোকজন সম্পর্কেও সম্যক ধারণা রাখেন।
পক্ষান্তরে শহর হচ্ছে ব্যবসা, শ্রম ও অন্যান্য পেশাভিত্তিক পৃথক পৃথক অঞ্চল থেকে সমবেত আত্মকেন্দ্রীক মানসিকতা ও ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনশীল মানুষের এক মিশ্র জনসমাজ। এখানে বিনা কারণে কেউ কারো খোঁজ রাখার তাগিদ অনুভব করেন না। মানুষে মানুষে পারস্পরিক হৃদ্যতা ও আত্মিক বন্ধন খুবই শিথিল। এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বাড়ির কথা দূূরের থাক, একই বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন ফ্ল্যাটে বসবাসরত পরিবারসমূহও একে অপরের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। জীবিকার তাগিদে প্রায়শই বিভিন্ন পরিবার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় আবাসস্থল পরিবর্তন করতে অভ্যস্ত বা বাধ্য। সুবিধাবঞ্চিত সাধারণ মানুষেরা এখানে দাদা-চামচাদের উপদ্রবে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকের ন্যায় রুটি-রুজির সন্ধান করে বেঁচে থাকেন। মানুষে মানুষে পারস্পরিক সম্পর্ক না থাকায় কী স্বচ্ছল, কী অস্বচ্ছল কেউ কারো বিপদে এগিয়ে আসেন না। গ্রামে যেখানে ঝগড়া-বিবাদের কারণ সৃষ্টি হওয়ার সাথে পাড়া-প্রতিবেশী তা মীমাংসার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন সেখানে শহরের কোথাও সংঘটিত অনুরূপ ঘটনায় প্রত্যেকটি মানুষ দেখেও না দেখার ভান করে দ্রুততার সাথে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান।
শহরে প্রত্যেক পাড়ার বাড়িওয়ালারা ছাড়া মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% ভাগ মানুষই ভাড়টিয়া বা ভাসমান। অনেক ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালারাও অন্যত্র বিলাসবহুল জীবনচর্চায় মত্ত থাকেন। তাদের বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত কেয়ারটেকাররাও সেখানে দাদার চরিত্র ধারণ করতে কার্পণ্য করেন না। সম্পূর্ণ ভাসমান বস্তিবাসী মানুষের অবস্থা একবারেই সঙ্গিন। প্রায় নিজেদের ঠোট সেলাই করে জীবীকা নির্বাহ করতে হচ্ছে তাদের। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই প্রবাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ কথিত এই নগরসভ্যতা। বলতে বাধা নেই, অপরাধ প্রবণতা এখানে সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি। বর্তমানে তো সর্বপ্রকার অপরাধসহ শহরের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন রাজনীতির বরপুত্রগণ। এরকম অসংখ্য অপ্রিয় বাস্তবতার স্বর্গরাজ্য হচ্ছে এই নগর।
শহরে যারা দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে প্রথমত তাদের প্রায় পুরোটাই অস্থায়ী বাসিন্দা; দ্বিতীয়ত ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করে; তৃতীয়ত সকলেই রাজনৈতিক দুষ্টগ্রহ। তাদের বিরুদ্ধে বিচার দায়ের করা যেমন ঝঁকিপূর্ণ তেমনি বিচারের জন্য তাদেরকে খোঁজে পাওয়াও সহজ নয়। তাছাড়া বিচার করার সদিচ্ছা নগর আদালতের থাকবে কিনা সেটাও বিবেচ্য। এর বিপরীতে গ্রামের যারা দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাদের সকলকে সকলেই ভালমত চেনে। প্রতিটি গ্রামে ধনী-দরিদ্র উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন-শুভানুধ্যায়ীর অভাব নাই। যদি কোনো ঝগড়া সৃষ্টিকারীকে খোঁজে না পাওয়া যায় তাহলে তার স্বজনকে সমাজের কাছে জবাবদিহী করতে হয়।
গ্রামীণ বিরোধের অধিকাংশই ভূমি, নারী ও সামাজিক মর্যাদা বিষয়ক উপাদান সমৃদ্ধ। সেখানে শতকরা ৯৫% ভাগ মানুষ কমবেশি ভূমির মালিক। নারীসমাজের অন্তত ৯০% ভাগ মানুষ পরিবারের কর্তার আয়ের উপর নির্ভরশীল। সামাজিক মর্যাদা পারিবারিক ঐতিহ্য, বিবেকবোধের প্রেরণা, আর্থিক সঙ্গতি ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। সেখানকার প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ ঠিকানায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী। নিজের গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাসকে ঘৃণার চোখে দেখে। পক্ষান্তরে শহরের বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে নারীসমাজের ৮০% ভাগ মানুষ কোনো না কোনো ভাবে কর্মজীবীÑ জীবীকার জন্য পরিবারের কর্তার কাছে দায়বদ্ধ নন। শতকরা ৯৫% ভাগ মানুষ ভূমিহীন-ভাড়াটিয়া শ্রমজীবী বিধায় সঙ্গত কারণেই উভয় স্থানে বিরোধের ধরন এক হওয়ার কথা নয়।
এরকম সামাজিক বাস্তবতায় নগর আদালতের ধারণাÑ যা ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে আইনে পরিণত হয়েছে এবং এর বন্ধাত্ব কাটানোর লক্ষ্যে সংস্কারের জন্য সম্প্রতি ‘নগর আদালত আইন : প্রস্তাবিত রূপরেখা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা’ শীর্ষক যে তৎপরতা কাজ করছে তা কতটুকু সফলতা এনে দিতে পারবে সেটা কেবল ভবিষ্যৎই সঠিকভাবে বলে দিতে পারবে।
লেখক : বাংলাদেশের হাওর ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার