ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

চোরাকারবারি কেন এমপি হবেন?

Daily Inqilab রিন্টু আনোয়ার

০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম

১৯৮১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মোট ৪ জন সংসদ সদস্য খুন হন।। এই চার জনের মধ্যে প্রথম দুজন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে এবং পরের দুজন সরকারে থাকা অবস্থায় খুন। ২০০৪ সালে গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে শাহ এম এম এস কিবরিয়া, ২০১৬ সালে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গাইবান্ধায় নিজ বাড়িতে খুন হন। সবশেষ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হলেন ভারতের কলকাতায়।

ভারতে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্য হত্যার ঘটনায় এখনো দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। মরাদেহের সন্ধান ও হত্যার কারণ জানতে উভয় দেশের কর্মকর্তারা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছেন। আসামিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের লাশ খুঁজে পেতে কয়েকদফা অনুসন্ধান করে সবশেষ কলকাতার যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ‘খুন হয়েছেন’ বলা হচ্ছে, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

তবে, প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের নাগরিক একজন এমপিকে ভারতে হত্যার ঘটনায় বিচার হবে কোন দেশে? কারণ হত্যা সংঘটনের স্থান ভারতের কলকাতায় হলেও এর পরিকল্পনা হয় বাংলাদেশে বলে বলা হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভুক্তভোগী, আসামি, ঘটনাস্থল এবং হত্যাকা-ের মোটিভ বিবেচনায় দুই দেশেরই এই হত্যা মামলার বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে।

এদিকে আনোয়ারুল আজীম আনারের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হওয়ার কারণে ঝিনাইদহ-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারছে না জাতীয় সংসদ সচিবালয়। কোনও কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না করলে জাতীয় সংসদ আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারবে না। কারণ আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ পাওয়া যায়নি। হত্যার মোটিভও বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় পুলিশ কেউই জানতে পারেনি। কোনও একটা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে হত্যা নিশ্চিত না হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
বিদেশে বাংলাদেশের কোন সংসদ সদস্যের হত্যার ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। সেটাও আবার বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশি নিরাপদ দেশ ভারতে! এর আগে বিদেশি কারাগারে ঠাঁই হয় আমাদের আর এক মাননীয়র। তাও ইসলামি দুনিয়ার নামকরা দেশ কুয়েতে। নিজ দেশে মাননীয়দের কারো কারো সাবেক হওয়ার পর জেলে যাওয়া বড় ঘটনা নয়। বিদেশে কারাগারে ঠাঁই হওয়ার রেকর্ডটা হয়েছিল কুয়েতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দিয়ে। ঘটনা রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক কারণে নয়, মানব ও অর্থপাচার, ভিসা কায়কারবারসহ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে। তাকে লাশ হতে হয়নি চলতি সংসদের আনোয়ারুল আজীম আনারের মতো।

ভিন্ন মতের রাজনীতিক-সাংবাদিকদের ধরে সীমান্তের ওপারে ফেলে আসার রেকর্ডটা পুরনো। চারা বড় হয়ে এখন ফল ফলছে। আগে থেকে ভাবলে হয় তো এই টাইপের মাননীয়রা সোনা চোরাচালান-মাদক বেচাকেনা, হুন্ডি ব্যবসার মতো কাজে জড়িয়ে কলা গাছ হওয়ার আগে কিছুটা হলেও ভাবতেন। মাননীয় আনার কলকাতায় নিখোঁজ হবার ঘটনাটা শুরুতে দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায়নি। টানা কয়েকদিন কোনো কোনো পত্রিকায় এটি প্রচার হয়েছে নেহায়েত নিখোঁজ সংবাদের মতো। তার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ায় পাল্টে গেল দৃশ্যপটও। ব্রেকিং নিউজে তথ্যের কতো যে ধুম। কারা কতো দিন ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে, কীভাবে খুন করেছে- আরও কত্তো প্রশ্ন। সঙ্গে অন্তহীন কথামালা। একজন টাটকা-তরতাজা মাননীয় প্রতিবেশী দেশে গিয়ে টানা কয়েক দিন নিখোঁজ থাকলেন। দু’দেশের পুলিশ গোয়েন্দারা হদিসই বের করতে পারলো না! দেশটিতে নিযুক্ত আমাদের কূটনৈতিক মিশন কী করছিল-এমন প্রশ্নবান তো রয়েছেই।

কেবল মাননীয় নন, যে কোনো মুসলিমের মৃত্যু সংবাদ জানার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিমদের প্রথম কাজ হচ্ছে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাইজউন’ পাঠ করা। ক্ষমা করে দেওয়াসহ তার প্রশংসা করা। তাকে ভালো বলা। বড় ভালো লোক ছিলেন বলে সমবেদনা জানানো। আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে বলা এবং বলানোর চেষ্টা চলে তাকে ‘বড় ক্লিনম্যান’ প্রচার করা। এমপি-মন্ত্রী হলে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা। কিছুক্ষণ তার প্রশংসা গাওয়া। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানানো। তাদের শোক সইবার ক্ষমতা দিতে আল্লাহর দরবারে দোয়া-খায়ের করা। এ শোক যেন শক্তিতে পরিণত হয়, সেই কামনা করা। পরপারে তিনি যেন ভালো থাকেন, সেই দোয়া করা। আলোচিত আনারের জন্যও তা করা হচ্ছে। তিনি এলাকায় ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন বলে হত্যার শিকার হয়েছেন মর্মে তার দল থেকে দাবি করা হয়েছে। এর বিপরীত চিত্র স্যোশাল মিডিয়ায়। স্যোশাল মিডিয়া মাড়িয়ে মূলধারার কোনো কোনো গণমাধ্যমে সমানে মাননীয় আনারের কা-কীর্তি প্রচার করছে। স্বর্ণের কারবার থেকে হুন্ডি কিছুই বাদ পড়ছে না। তার মতো ক্লিন ইমেজের আরও কতোজন মাননীয় আমাদের মহান জাতীয় সংসদে আছেন, সেই আলোচনা তো আছেই।

গত বছর কয়েক ধরে এই মাননীয়দের কারো কারো ক্লিন ক্রিয়াকর্ম রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছে। চন্দ্রবিন্দু দিয়ে তাদের সম্বোধন করতে হয়, তারা মান্যবর। নামের পূর্বাপরে বলতে হয় মাননীয়-মহোদয়। এটা তাদের সাংবিধানিক প্রিভিলেজ। নিজ নিজ সীমানায় বা এলাকায় মহাশয় পর্যায়েও তাদের কেউ কেউ। জনগণ মনে মনে যাই ভাবুক, জনগণকে ঠিকই নানা উদামকা- মেনে নিতে বাধ্য করে ছাড়ছেন তারা। যেখানে যার মন যা চায় করছেন, বলছেন। এর মধ্য দিয়ে নিজেরা ফ্রিস্টাইলে উদাম বা দিগম্বর হচ্ছেন। আর সরকারকে ফেলছেন মোটা দাগের প্রশ্নের মুখে। জনগণকে তোয়াক্কা না করতে করতে এখন আর সরকারকেও তোয়াক্কার দরকার মনে করেন না তারা। যেন ধরেই নিয়েছেন, সরকার বা দলের শীর্ষ পর্যায় এখন আর তাদের কিছু করবে না বা করতে পারবে না।

সরকারকে সমানে ডোবানোর কাজে সাবরিনা, পাপিয়া, খালেদ, সাহেদ, শোভন-রাব্বানীরা যারপরনাই অবদান রেখেছেন। আনিসুর রহমান, মমিনুল হক সাঈদ, মোল্লা কাউছাররাও কম করেননি। তাদের বাইরে সাংবিধানিক মাননীয় চট্টগ্রামের শামসুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলার নুরুন্নবী শাওন, নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজন। ডা. দীপু মনিও বাদ পড়েননি। চাঁদপুরে নদী দখল এবং চড়া দামে বিকিকিনিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর জড়িত থাকার খবর সবার জানা। তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাওয়াদুর রহিম টিপুসহ বেশ কয়েক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ৪৮ একরের বেশি খাসজমি দখলের খবর সরকারকে সামলে দিতে হয়েছে।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের কর্মীদের ওপরই মামলা-হামলা, নানা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততা, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক, মাদক কারবার, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগও আছে তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে। জলমহাল, সরকারি খাস পুকুর, বাড়িঘর দখল, টেন্ডারবাজি তো মামুলি। এ ধরনের কিছু মহাশয়ের বিরুদ্ধে আরো আগেই তৃণমূল থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে। এ ফাঁকে নাতনীর বয়সী কলেজ ছাত্রী নাদিয়াকে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছেন এক মাননীয়। পরিচয় গোপন রেখে দোসরা বিয়ে করে জেলহাজত খেটে মুখ দেখাতে সমস্যা হচ্ছে না পাবনার মাননীয় খন্দকার আজিজুল হক আরজুর। মাননীয় সংসদ সদস্যরা ‘ফ্রি স্টাইলে’ ঋণখেলাপি হচ্ছে। নয়-ছয় করে, ঘুষ-দুর্নীতি করে টাকা আয় করছে। সে টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।

বর্তমানে নির্বাচিত ৮০ ভাগ এমপিই চোরাকারবারে জড়িত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন,স্মাগলার, চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী বা মাদক পাচারকারীর সংসদ সদস্য কোনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন দলে থাকার কথা নয়। রাজনীতি যেখানে যাওয়ার চলে গেছে, বাকি তো কিছু নেই আর। যেভাবে ভোট হচ্ছে, ভোটটাকেও দিলো শেষ করে। সবাই চান নিজেরটা। কিন্তু দেশের কী হবে কেউ চিন্তা করে না। চিন্তা করে, আমার কী হবে, আমি কত টাকা বানাতে পারলাম, হাজার কোটি টাকা... এসব।

চোরাকারবারি কেন এমপি হবেন? এমপি হবেন তারা, যাদের সংসদ, আইন এসব সম্পর্কে জানেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংসদে চোরাকারবারি আছেন, ব্যবসায়ী আছেন। প্রশ্ন হলো, তারা আইন প্রণেতা হন কীভাবে, আইন প্রণয়ন করবেনইবা কীভাবে?

এসবের কোন জবাব নাই।

রাজনীতি নষ্ট হয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধও। এগুলোর অনুপস্থিতি যতটা প্রকট হচ্ছে, আনারের মতো চিহ্নিতরা এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়ে বসছেন। এরকম বহু আনার এখনো আছে ক্ষমতার চারপাশে, দাবি করেন অনেকে। জনগণ তাদের কিছু বলে না, কেবল সয়ে যায়। অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সইতে সইতে এই জনগণও হয়ে উঠেছে আস্ত মহাশয়। না হয়েই বা উপায় কি? তাঁদের হাতে ক্ষমতা আছে, ক্ষমতার দাপট আছে, সেই দাপট দেখানোর হাজার কলাকৌশল যন্ত্রপাতিও আছে তাদের!

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
ৎরহঃঁ১০৮@মসধরষ.পড়স


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার